ই-পেপার রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪
রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪

চবিতে ৯ বছর ধরে আটকে আছে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীর অনার্সের ফলাফল
প্রকাশ: শুক্রবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৪, ৬:০৯ পিএম  (ভিজিট : ১১২)
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আইন বিভাগে  ৯ বছর ধরে আটকে আছে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সোলাইমান বাদশার অনার্সের ফলাফল। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) চবি সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে কথা বলেন ঐ শিক্ষার্থী।

বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. নির্মল কুমার সাহার উদাসীনতাকে দায়ী করে ঐ শিক্ষার্থী দাবি করেন অনার্সের ফাইনাল পরীক্ষার ফলাফলের সাথে টিউটোরিয়াল পরীক্ষা ফল যোগ না করায় এই দীর্ঘসূত্রিতা হয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সুলাইমান বলেন, ১৮তম ব্যাচের নিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেবে ২০১৪ সালে চতুর্থ বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করি কিন্তু একটা বিষয়ে অকৃতকার্য হই। ফলে ২০১৫ সালে পুনরায় পরীক্ষা দিয়ে সব বিষয়ে পাশ করি। আমার চতুর্থ বর্ষের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর দেখি আমি নাকি ক্লাস টিউটোরিয়াল পরিক্ষায় ফেল করেছি। সব টিউটোরিয়াল পরীক্ষা দেওয়ার পর ফেল দেখানো হয়েছে। তারপরও আমি ফেল করেছি এটা মেনে নিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক ও শিক্ষকদের পরামর্শে ২০১৫ সালে পরিক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান ও বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নির্মল কুমার সাহা স্যারের কাছে টিউটোরিয়াল পরীক্ষায় বসার অনুমতির জন্য অনুরোধ করি। কিন্তু একজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধি ছাত্র হওয়ার পরও নির্মল স্যার আমাকে টিউটোরিয়াল পরিক্ষা গ্রহণের অনুমতি দেননি। এরপর ২০১৭ সালে এবি এম আবু নোমান স্যার আইন বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হয়। আমি নোমান স্যারের কাছে গিয়ে আমার বিষয়টা বুঝিয়ে বলি তখন স্যার আমাকে টিউটোরিয়াল পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেন। আমি পুনরায় টিউটোরিয়াল পরীক্ষা দিয়ে পাশ করলাম। এরপর তৎকালীন পরিক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক নির্মল কুমার সাহা স্যারকে টিউটোরিয়াল পরীক্ষা ফল যোগ করে অনার্সের ফাইনাল পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করতে অনুরোধ করলাম। 

তিনি বললেন, প্রকাশ করবো, অপেক্ষা করো। কিন্তু সেই ২০১৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত আমার রেজাল্ট প্রকাশ করা হয়নি। আমি রেজাল্ট প্রকাশ করার জন্য স্যারের নিকট হাজারো বার গিয়েছি কিন্তু স্যারের মন নরম হয়নি। এখন আমার বয়স প্রায় ৩৫ বছর। পাশ করার পরও অনার্সের রেজাল্ট প্রকাশ না করার কারণে আমি কোন সরকারী বা বেসরকারি চাকরির পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারিনি।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত অধ্যাপক নির্মল কুমার সাহা বলেন, তার পরীক্ষাগুলো অনেকদিন আগের, পর পর কয়েকটা স্পেশাল দেওয়ায় রেজাল্ট প্রকাশ করতে একটু দেরি হচ্ছে। চতুর্থ বর্ষের এখনো তিনটা টিউটোরিয়ালের রেজাল্ট হাতে পাইনি, হাতে পেলে রেজাল্ট দিয়ে দিব। আমি চেয়েছিলাম একটু দেরি হলেও তার রেজাল্টটা যাতে ভালো হয়। এই জন্য একটু দেরি হচ্ছে।

সময়ের আলো/জিকে




এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close