প্রকাশ: শুক্রবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৪, ১১:২০ এএম (ভিজিট : ৩২০)
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর-গফরগাঁও উপজলার সীমান্ত দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে কাশফুলের অনিন্দ্য মোহনীয় সাজে প্রকৃতি। নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা আর কাশফুলের শুভ্রতা প্রকৃতিকে সাজিয়ে তুলেছে অপার সৌন্দর্যের মহিমায়। প্রকৃতিতে পালাবর্তনে কাশফুলের সৌন্দর্যে দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসছে কাশবনে। উপজেলার হোসেনপুর ও গফরগাঁ ব্রহ্মপুত্রের নদের তীরে গিয়ে দেখা যায় সাদা পরিরা দল বেঁধে দক্ষিণা বাতাসে মাথা ঝুলিয়ে নৃত্যে করছে। নদী তীরবর্তী এ কাশফুল বাগানের সৌন্দর্য উপভোগ করছেন নানা বয়সের মানুষ।
প্রিয়জনকে নিয়ে প্রকৃতির সাথে একাকার করে দিতে হাজির হয়েছেন প্রকৃতি প্রেমীরা। কেউ আসছে প্রেমিক-প্রেমিকা নিয়ে কেউবা আসছে পরিবার বা বন্ধু-বান্ধব নিয়ে। প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থীরা কাশবনে সেলফি বা নিজের ছবিটা ক্যামেরা বৃদ্ধি করে রাখছে সীয়জনকে নিয়ে।
বর্ষা শেষ হতেই শরতে কাশফুলের দেখা মেলে। কাশবন শুধু সৌন্দর্যেই সীমাবদ্ধ নয় এ ফুলের গাছ দিয়ে পানের বরজ ঘরের চালা বা সবজি বাগানের বেড়া হিসাবেও ব্যাবহার হয়। এছাড়াও নদীর মাটি ধ্বস বা ভাঙন রোধে এটি কাজ করে। সব মিলিয়ে কাশফুল কেবল শরতের মুগ্ধতার প্রতীক নয় আমাদের জীবনযাত্রার সঙ্গেও জড়িয়ে আছে এর উপকারিতা।
হোসেনপুর উপজেলার পাশ দিয়ে বয়ে চলা ব্রহ্মপুত্র নদের চরাঞ্চলের ২ কিলোমিটার বিস্তৃত কাশফুলের বিশাল সমারোহ রয়েছে। যান্ত্রিক জীবনের কোলাহল থেকে মুক্ত আনন্দ পেতে প্রতিনিয়ত মানুষ ছুটে আসছে এ কাশবনে। বিকেলের দিকে জন সমারোহ থাকে বেশি।
কাশফুল দেখতে আসা খোকন মিয়া ও সাইফুল আলম জানান, মানসিক প্রশান্তি আর কাশফুলের শুভ্রতা উপভোগ করতে এখানে ছুটে এসেছি। প্রতিবছর এখানে কাশফুল ফুটে। অনেকে ফুল ছিঁড়ে নিয়ে যাওয়ার কারণে এর সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে।
সময়ের আলো/আরআই