ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৫

প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর, ২০২৪, ৮:৫০ পিএম (ভিজিট : ১০২)

গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীতে কারখানার ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহতদের গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে কোনাবাড়ীর জরুন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- আলম খন্দকার, বাদল খন্দকার, শামীম খন্দকার, জহিরুল খন্দকার ও বাবুল হোসেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কোনাবাড়ীর জরুন এলাকায় এসট্রো নিটওয়্যার নামের একটি তৈরি পোশাক কারখানায় দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঝুট ব্যবসা করে আসছিলেন। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর কারখানা নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এসট্রো নিটওয়্যার কারখানার ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিতে চেষ্টা করেন নগরের ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান ও ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি বিপ্লব খান। তাদের নেতৃত্বে এক দল লোক ওই কারখানা থেকে আজ (মঙ্গলবার) সকালে ঝুট মাল বের করতে যান। এসময় বিএনপির সাবেক নেতা জহিরুল ইসলাম ও বাবুল হোসেনের নেতৃত্বে দলের ১০-১৫ জন তাদের বাধা দেয়। এ সময়ে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে দেশি অস্ত্র নিয়ে হামলা ও কুপিয়ে জখম করা হয়। এতে পাঁচজন আহত হন।

দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার সময় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আশপাশের ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে দেন। পরে আহতদের উদ্ধার করে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান জানান, এসট্রো নিটওয়্যার কারখানায় বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন ঝুট ব্যবসা করেন। তাদের বাধা দিতে গিয়েছিল বিএনপির আরেকটি পক্ষ। তখন সংঘর্ষ হয়েছে।

বিএনপি নেতা আহত আলম খন্দকার বলেন, এসট্রো গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিতে ফারুক হোসেনের নেতৃত্বে সালাউদ্দিন, হাবিব এবং বিপ্লব খান, পাভেল, পলাশসহ প্রায় ১৫/২০ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। আমরা সদরে ভর্তি আছি।

গাজীপুর মহানগরীর কেনাবাড়ি জরুন ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি সালাউদ্দিনকে ঝুট ব্যবসা মিলেমিশে করার প্রস্তাব দেয়ায় সকালে জরুন বাজারে চায়ের দোকানে বসে চা-খাচ্ছি। এ সময় সালাউদ্দিন এবং তার দুই ভাতিজাসহ ৫০-৬০ থেকে জন সন্ত্রাসী এসে হঠাৎ জালালের দোকানের সামনে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে। এতে অনেকের নাকে মুখে লেগে রক্তাক্ত জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। এক প্রকার ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হলে জরুন পেয়ারা বাগান এলাকাতে মারপিট করে সালাউদ্দিনের লোকজন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জরুন এলাকায় মহড়া দিচ্ছেন।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি তেমন কিছু নয়। দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। একজন হয়তো সামান্য আহত হয়েছেন। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সময়ের আলো/আরআই