ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

গার্মেন্টসে অস্থিরতা
কলকাঠি নাড়ছে কারা
আশুলিয়ায় নিহত এক শ্রমিক, আহত অনেকে
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর, ২০২৪, ৭:৫০ এএম  (ভিজিট : ৪৬৪)
আন্দোলনরত গার্মেন্ট শ্রমিকরা ১৮টি দাবি জানিয়েছিল সরকারের কাছে। তার সবই মেনে নেওয়া হয়েছিল গত মঙ্গলবারের সরকার-মালিক-শ্রমিক ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে। দাবি মানার পর বৈঠকে উপস্থিত থাকা ৪০ শ্রমিক নেতা স্বাক্ষর করে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন-শ্রমিকরা আর আন্দোলনে নামবে না, তারা শ্রমিকদের বোঝাবেন। শ্রমিক নেতারা সে প্রতিশ্রুতি রাখতে পারেননি। আবারও আন্দোলনে নেমেছে শ্রমিক, কারখানায় হামলা চালানো হয়েছে এবং সহিংসতায় গতকাল সোমবার আশুলিয়ায় এক শ্রমিক নিহতও হয়েছে। অর্থাৎ দুই-তিন দিন কিছুটা স্থিতিশীল থাকার পর আবারও চরম অস্থিরতা দেখা দিয়েছে শিল্প এলাকায়।

শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে শিল্প মালিক, শ্রমিক নেতা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সাধারণ গার্মেন্ট শ্রমিকদের মনেও প্রশ্ন-সব দাবি মানার পরও কেন আবার এই হামলা-ভাঙচুর। কেনই বা ঝরল শ্রমিকের প্রাণ। এ প্রশ্নের জবাব নেই কারও কাছেই। তবে সব পক্ষই বলছে, অস্থিরতার পেছনে নিশ্চয় কোনো পক্ষের ইন্ধন রয়েছে। শিল্পে অস্থিতিশীলতা বজার রেখে কোনো একটি গোষ্ঠী ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে। তবে ১৮ দাবির সব মানার পর কেন শিল্পে সহিংসতা তার কারণ খোঁজা হয় সময়ের আলোর পক্ষ থেকে। এতে শিল্পে অস্থিরতার পেছনে কয়েকটি সুনির্দিষ্ট কারণের কথা বলেছেন সব পক্ষই। কয়েকজন শ্রমিক নেতা জানিয়েছেন, চলমান শ্রমিক অসন্তোষের পেছনে বিদায়ি শেখ হাসিনা সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী-এমপি বা আওয়ামী লীগ সমর্থক কয়েকজন গার্মেন্টস মালিকের ইন্ধন রয়েছে। যাদের মধ্যে কেউ দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন আবার কেউ আত্মগোপনে আছেন। আড়ালে থেকেই তারা শিল্পে অস্থিরতায় ইন্ধন দিচ্ছে। কারণ গার্মেন্টস খাতে অস্থিরতা জিইয়ে রাখলে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে সংকটে ফেলা যাবে।

এমন তথ্য জানিয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শ্রমিক নেতা সময়ের আলোকে বলেন, ‘ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামের ইসলাম গ্রুপের রোজ গার্মেন্টসসহ কয়েকটি কারখানা বন্ধ রয়েছে, কিন্তু এসব কারখানার শ্রমিকরা নিয়মিত আসছে কারখানা এলাকায়। আমরা জানতে পেরেছি এসব কারখানার শ্রমিকরা শিল্প এলাকায় বিশৃঙ্খলায় জড়াচ্ছে এবং ইন্ধন দিচ্ছে। এ রকম আগের সরকার সমর্থিত অনেক কারখানা মালিক বা তাদের কারখানার শ্রমিকরা সহিংসতা ছড়াচ্ছে বলে আমাদের কাছে তথ্য আছে।’

শ্রমিক নেত্রী কল্পনা আক্তারও এ ধরনের ইঙ্গিত দিয়ে সহিংসতার বিষয়ে সময়ের আলোকে বলেন, ‘শিল্পে অস্থিরতা জিইয়ে রেখে কয়েকটি পক্ষ উসকে দিচ্ছে শ্রমিক আন্দোলন। এখন এই উসকানি আগের সরকার সমর্থিত কারখানা মালিকরা দিচ্ছে, নাকি ঝুট ব্যবসা যারা নিয়ন্ত্রণ করছে তারা উসকানি দিচ্ছে, নাকি অন্য কোনো পক্ষ ভুলভাল দাবি সামনে এনে শ্রমিকদের উসকে দিচ্ছে-এটি বের করার দায়িত্ব সরকারের বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। আগের সরকারের আমলে যারা ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করত, সরকার পতনের পর সামনে এসেছে আরেক পক্ষ। যেন উত্তরাধিকার সূত্রে ঝুট ব্যবসার হাতবদল হয়েছে। এই পক্ষ কোনো ইন্ধন দিচ্ছে কি না-এগুলোতে সরকারকে বের করতে হবে। গোড়ায় হাত না দিলে তো সংকট দূর করা যাবে না।’

শিল্প এলাকায় এখন নানা রকম গুজব ছড়িয়ে এবং অবাস্তব কিছু দাবি-দাওয়া তুলেও শ্রমিকদের উসকে দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। গতকাল আশুলিয়ার মন্ডল গ্রুপের যে কারখানায় হামলা ও সহিংতায় একজন শ্রমিক নিহত ও কয়েকজন আহত হয়েছে-সেখানেও গুজব ছড়ানো হয়েছে। বলা হয়েছে, ওই কারখানার শ্রমিকদের আটকে রেখে বেদম প্রহার করা হয়েছে এবং দুজন শ্রমিক মারা গেছে। এই গুজব বাইরে ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের বেশ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা মন্ডল গ্রুপের কারখানার সামনে এসে হামলা চালায়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা শ্রমিকদের নিবৃত্ত করতে গেলে সহিংসতা বেঁধে যায়। এতে একজন শ্রমিক নিহত হয়েছে, আহত হয়েছেন শ্রমিক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। অথচ ওই কারখানার শ্রমিকদের আটকে রাখার খবরটি ছিল গুজব। এভাবে গুজব ছড়িয়ে অস্থিতিশীল করা হচ্ছে শিল্প এলাকায়।

এ বিষয়ে শ্রমিক তৌহিদুর রহমান সময়ের আলোকে বলেন, ‘সব দাবি মানার পরও যখন আবার শ্রমিকরা অস্থিরতা করছে, কারখানায় ভাঙচুর করছে তখনই বুঝতে হবে এর পেছনে কোনো স্বার্থান্বেষী মহলের ইন্ধন রয়েছে। আমরাও বুঝতে পারছি বিষয়টি, কিন্তু কারা ইন্ধন দিচ্ছে সেটি খুঁজে বের করার দায়িত্ব সরকারের। তবে আমরা যখন দেখছি দেড় বছর আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানার শ্রমিকরাও এখন আন্দোলনে নামছে তখন বুঝতে বাকি থাকে না-কারও ইন্ধনেই তারা এসেছে।’

এদিকে শিল্প পুলিশও ইন্ধনদাতাদের ব্যাপারে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশের ডিআইজ মো. আশরাফুজ্জামান সময়ের আলোকে বলেন, ‘সব দাবি মানার পরও কেন আন্দোলন হচ্ছে-সে কারণ আমরাও খুঁজছি। নিশ্চয় কারও অসৎ উদ্দেশ্য রয়েছে। তবে আসলে কারা ইন্ধন দিচ্ছে তাদের খুঁজে বের করতে গোয়েন্দা বাহিনীগুলো কাজ করছে।’

আর শিল্প সচিব এএইচএম শফিকুজ্জামান এ বিষয়ে সময়ের আলোকে বলেন, ‘গত মঙ্গলবারের শ্রম মন্ত্রণালয়ের ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে ৪০ জন শ্রমিক নেতা স্বাক্ষর করে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, শ্রমিকরা আর আন্দোলনে নামবে না-তাদের বুঝিয়ে কাজে ফেরানো হবে। কিন্তু শ্রমিক নেতারা সে প্রতিশ্রুতি রাখলেন না। সব দাবি মানার পরও কেন আন্দোলন হচ্ছে-তার জবাব দিতে হবে শ্রমিক নেতাদের।’
শিল্প সচিব জানান, গর্মেন্ট শ্রমিকদের জন্য ন্যায্যমূল্যে টিসিবির পণ্য দেওয়ার কার্যক্রম আজ মঙ্গলবার আশুলিয়া এলাকায় উদ্বোধন করার কথা থাকলে সেটি হচ্ছে না। এই উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আপাতত এ কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।

নিরাপত্তা না পেলে কারখানা খুলবেন না মালিকরা : নিজেদের ও কর্মীদের জন্য নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন রফতানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানার মালিকরা। নিরাপত্তা নিশ্চিত না করলে তারা কারখানা চালাবেন না বলে জানান। দাবি পূরণ করার পরও শ্রমিকরা কারখানায় ঢুকে মারধর ও ভাঙচুর চালানোর পরিপ্রেক্ষিতে এসব জানান তারা। স্থানীয় উসকানিদাতা দুর্বৃত্তদের হাত থেকে কারখানাগুলো বাঁচাতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না হলে কারখানা খোলা হবে না।

সোমবার বিজিএমইএ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাভার ও আশুলিয়া অঞ্চলের কারখানা মালিকরা এ দাবি জানান। বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল্লাহিল রাকিব সরকারের কাছে বার্তা পাঠানোর আশ্বাস দেন।

সভায় ফ্যাশন ডটকম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খান মনিরুল আলম (শুভ) বলেন, ‘অতীতে নিরাপদ কর্মক্ষেত্রের দাবিটা শ্রমিকদের জন্য। এখন নিরাপদ কর্মস্থল শুধু শ্রমিক নয়, এটি মালিক ও কর্মীদের জন্য। শ্রমিকরা মারমুখী। কর্মকর্তারা কাজ করতে চান না নিরাপত্তার কারণে।’

লুসাকা গ্রুপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান দাবি করেন, ‘হঠাৎ করে মানবসম্পদ প্রশাসক প্রধানের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে মারধর করা হয়েছে। মানবসম্পদ বিভাগের প্রধানকে মারধরকারী কয়েকজন শ্রমিকের বিরুদ্ধে মামলা হলেও তাদের দাবির মুখে তা প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু শ্রমিকরা তাদের বিক্ষোভ থামায়নি, বরং কাজ থেকে বিরত থাকছে।’

একদল লোক এআর জিন্স কারখানায় আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে এবং তারা কারখানা চত্বরে ভাঙচুর চালায়। এআর জিন্সের মালিক রাকিবুল কবির বলেন, ‘একটি অজ্ঞাতপরিচয় দল আমার কারখানার সামনে এসে কারখানায় আগুন লাগানোর চেষ্টা করে। আতঙ্কিত হয়ে আমি বিজিএমইএ নেতাদের ফোন করি এবং তারা সেনাবাহিনীকে খবর দেন। তারা আড়াই ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।’

বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল্লাহিল রাকিব বলেন, ‘কিছু বহিরাগত কয়েকজন শ্রমিক নিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। নিরাপত্তার দাবি কারখানা মালিকদের অধিকার। এটি যেকোনো মূল্যে নিশ্চিত করা উচিত যদি কারখানার মালিকরা তাদের কর্মচারীর নিরাপত্তা নিয়ে ভয় পান। কারখানাটি বন্ধ করে দিলে অর্থনীতি ও শ্রমিকদের জন্য ভালো হবে না।’

আশুলিয়ায় সংঘর্ষ, নিহত ১ : আশুলিয়া প্রতিনিধি রাকিব হাসান জিল্লু জানান, আশুলিয়ায় বিক্ষোভের জেরে শ্রমিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন মারা গেছে। এ ছাড়া চারজন গুলিবিদ্ধসহ ৩০ শ্রমিক আহত হয়েছেন।

সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডিউটি ম্যানেজার ইউসুফ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের জিরাবো এলাকার মন্ডল গ্রুপের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শ্রমিক হলো কাউসার হোসেন খান, তার গ্রামের বাড়ি বরিশালের কাজিরহাট থানার বিদ্যানন্দ এলাকায়। তিনি ম্যাঙ্গোটেক্স কারখানার অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি আশুলিয়ার জিরাবো এলাকার ম্যাঙ্গো টেক্স লিমিটেড কারখানার শ্রমিক। গুলিবিদ্ধ অন্যরা হলে-আশুলিয়ার ন্যাচারাল ডেনিমসের শ্রমিক হাবীব ও ন্যাচারাল ইন্ডিগো কারখানার শ্রমিক নাজমুল হাসান, নয়ন ও রাসেল।

জানা যায়, মন্ডল পোশাক কারখানার কয়েকজন শ্রমিককে গুম হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আশুলিয়া-জিরাবো এলাকায় শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেন। এ সময় ন্যাচারাল ও ম্যাঙ্গো টেক্স পোশাক কারখানার শ্রমিকরা মন্ডলের শ্রমিকদের সঙ্গে বিক্ষোভে অংশ নেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ তিনটি পোশাক কারখানার কয়েক শতাধিক শ্রমিকরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে এবং পুলিশ, সেনাবাহিনী ও র‌্যাবের কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গুলি ছোড়ে। এতে অন্তত ৩০ জন শ্রমিক আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন এবং একজনের মৃত্যু হয়েছে। সাভার প্রতিনিধি দেওয়ান ইমন জানান, থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে গোটা শিল্পাঞ্চলে।

গাজীপুরে কারখানায় ভাঙচুর : গাজীপুর প্রতিনিধি মো. মিলটন খন্দকার জানান, গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীতে পোশাক কারখানায় ভাঙচুর চেষ্টার অভিযোগে আটজনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। সোমবার বিকালে কোনাবাড়ী থানার আমবাগ পিএন কম্পোজিট লিমিটেড কারখানার সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়। আটকরা হলো-সজিব (২২), আলাউদ্দিন (২০), মঞ্জু (৩১), সম্রাট (২২), মোশাররফ হোসেন (২০), শাকিল (২৩), হৃদয় মণ্ডল (২২) এবং মোয়াজ্জেম আলী (১৯)। তাদের কোনাবাড়ী থানায় হস্তান্তর করে যৌথবাহিনী।

নিহত শ্রমিকের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ : আশুলিয়ায় সংঘর্ষে শ্রমিক নিহত শ্রমিক কাউসার হোসেন খানের পরিবারকে তাৎক্ষণিক ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিল পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। একই সঙ্গে শ্রম আইন অনুযায়ী তার সব পাওনাদি অতি দ্রুত পরিশোধ করা হবে বলেও সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়। সোমবার বিজিএমইএর পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।


সময়ের আলো/আরএস/ 




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close