ই-পেপার রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪
রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪

লালমনিরহাটে কমছে তিস্তার পানি, বাড়ছে ভাঙন আতঙ্ক
প্রকাশ: সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৯:৫৩ পিএম  (ভিজিট : ১৬৪)
লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে ভাঙন আতঙ্কে রয়েছেন তিস্তা নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষজন। গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে গতকাল (রোববার) সকালে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিলো। এরপর দুপুরে পানি কমে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। গতরাত থেকে তিস্তা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে, দুপুর ১২ টায় তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে ও বিকেল ৩টায় তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, জেলা সদরের গোকুন্ডা ইউনিয়নের গরিবুল্লা পাড়া, হরিনচড়া এলাকার বেশকিছু এলাকার আবাদি জমি বিলীন হয়ে যাচ্ছে ও ৬টি বাড়ি তীরবর্তী এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের বাগডোরা এলাকা ও আদিতমারি উপজেলার গোবর্ধন এলাকার কিছু আবাদি জমি ও রাস্তা ভেঙ্গে গিয়েছে। তবে এসব এলাকার ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করছে।

সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ আনন্দ বাজার এলাকার এনামুল হক জানান, শীতকালীন সবজি চাষাবাদের জন্য আমরা জমি প্রস্তুত করেছিলাম। এই বন্যায় আবাদি জমির পাশাপাশি আমাদের সকল বীজ নষ্ট হয়ে গেছে।

একই এলাকার লুৎফর রহমান বলেন, এই বন্যায় আমাদের ধানগুলো পানিতে ডুবে গেছে। আরও অন্যান্য ফসল পানিতে ডুবে যাওয়ায় আমরা বিপাকে পড়েছি।

লালমনিরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ৮৩৩ হেক্টর জমির ধান পানিতে নিমজ্জিত ছিলো আর অন্যান্য ফসলি জমি ১৪৩ হেক্টর পানিতে নিমজ্জিত ছিলো।

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. সাইখুল আরিফিন জানান, পানিতে নিমজ্জিত ধান ক্ষেত থেকে পানি নেমে গেলে তেমন ক্ষতি হবে না। তবে অন্যান্য ১৪৩ হেক্টর জমির ফসলের পানি নেমে গেলে আমরা জানতে পারবো কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ৬টি ফসলের ওপর প্রণোদনা দেওয়ার ব্যবস্থা করবো।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনিল কুমার বলেন, আমরা কয়েকটি জায়গায় জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করছি। এছাড়া আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সকল তথ্য প্রেরণ করেছি। অনুমতি সাপেক্ষে ভাঙন ঠেকাতে জিও ব্যাগ ফেলানো হবে।

সময়ের আলো/আরআই







https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close