প্রকাশ: সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৩:২৩ এএম (ভিজিট : ৩৫৪)
কুমিল্লার দেবিদ্বারে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি করে চেয়ারে বসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া সেই শিক্ষার্থীকে ক্ষমা করে দিয়েছে প্রধান শিক্ষক।
গতকাল রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ইউএনও ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে প্রধান শিক্ষক কাজী আলমগীর হোসেনের কাছে ক্ষমা চাইলে তিনি ক্ষমা করে দেন। চেয়ারে বসা শিক্ষার্থীর নাম ইকরামুল হাসান। সে উপজেলার মোহনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র।
এর আগে গত বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার মোহনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী আলমগীর হোসেনের পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভ করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ চলাকালে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহযোগিতায় বিদ্যালয় ত্যাগ করেন ওই শিক্ষক।
পরে বিকালে ওই শিক্ষার্থী প্রধান শিক্ষকের চেয়ারে বসে ছবি তুলে তার নিজের ফেসবুকে পোস্ট দেন। পোস্টে লেখেন ‘‘আমাদের সু-সম্মানিত আলমগীর স্যার কোথায়’’ এরপর মুর্হুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবিটি ছড়িয়ে পড়ে সমালোচনা শুরু হয়।
সভা শেষে নিজের ভুল বুঝতে পারার কথা স্বীকার করে শিক্ষার্থী ইকরামুল হাসান বলেন, আমি আবেগে স্যারের চেয়ারে বসেছিলাম, স্যারের চেয়ারে বসা আমার ঠিক হয়নি, আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি, স্যারের নিকট ক্ষমা চেয়েছি। স্যার আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। ভবিষ্যতে এমন ভুল আর কখনই করব না।
প্রধান শিক্ষক কাজী আলমগীর হোসেন বলেন, সে এসএসসি পরীক্ষার্থী। ছোট মানুষ ভুল করেছে, ক্ষমা চাওয়ায় আমি তাকে ক্ষমা করে দিয়েছি। সে এমন ভুল আর কখনই করবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিষয়টি শান্তিপুর্ণ সমাধান হলেও মিথ্যা অভিযোগে একটি মহল এখনো আমাকে চাকুরীচ্যুত করার চেষ্টায় লিপ্ত আছে।
বিদ্যালয় পরিচালানা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নিগার সুলতানা বলেন, প্রধান শিক্ষকের চেয়ারে বসা শিক্ষার্থীর একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এ নিয়ে রোববার বিকালে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে ওই শিক্ষার্থী ক্ষমা চাইলে প্রধান শিক্ষক তাকে ক্ষমা করে দেন। তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে কয়কজন শিক্ষকের জড়িত থাকার প্রমান মিলেছে তাদের শোকজ করা হবে। অভিযোগের সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সময়ের আলো/আরএস/