ই-পেপার রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪
রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪

পাবনায় বালু মহলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই গ্রুপের গোলাগুলি, অস্ত্রসহ আটক ১০
প্রকাশ: রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১০:২৫ পিএম  (ভিজিট : ৩০৮)
পাবনা সদর উপজেলার ভাঁড়ারায় পদ্মা নদীতে থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের দখল ও প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে  গোলাগুলির ঘটনা হয়েছেন।  এই ঘটনায় দুটি অস্ত্রসহ ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আলোচিত এই বালু মহলের নিয়ন্ত্রণ‌ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে উত্তেজনা চলে আসছে বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় একটি পক্ষকে আটকে গণপিটুনি দিয়ে  আহত করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে অপরপক্ষ। পুলিশ অস্ত্রসহ তাদের আটক করেছেন। এনিয়ে পাবনা ও কুষ্টিয়ার বালু খেকোদের মধ্যে চরম উত্তেজনা চলছে।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ভাড়ারা ইউনিয়নের চরকণ্ঠগজরা এলাকার পদ্মা নদী এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- পাবনার সুজানগর উপজেলার চর সুজানগরের মৃত জলিল শেখের ছেলে আলতাফ শেখ (৩০), মজিদ শেখের ছেলে জয়নাল শেখ (২৮), আব্দুল বাতেনের ছেলে  রিপন শেখ (২৬),  বাদশা শেখের ছেলে মোস্তফা শেখ (২৮), চর ভবানীপুর এলাকার বাবুল শেখের ছেলে হৃদয় শেখ (২২), শহীদ শেখের ছেলে রাকিব শেখ (২৫), পাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারার শ্রীপুর এলাকার আব্দুল জলিল শেখের ছেলে আবুল হাসেম (৩৬), চক ভাড়ারার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে ঈসমাইল হোসেন (৬০) এবং লবু জোয়াদ্দার শেখের ছেলে সুরুজ জোয়াদ্দার (৩৬)। এর মধ্যে রাকিব গুলিবিদ্ধ এবং সুরুজ জোয়াদ্দার গত ৪ আগস্ট পাবনা শহরে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার মামলার আসামি।

তবে বালু মহলের সঙ্গে সংযুক্ত একাধিক সূত্র জানায়, দেশের প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেই বালু উত্তোলনের মহাকর্মযজ্ঞ চলিয়ে আসছে একটি গ্রুপ। প্রশাসনকে ম্যানেজ করে পাবনা, রাজবাড়ী ও কুষ্টিয়ার প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এই বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছিল। কিন্তু সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর বালু উত্তোলন বন্ধ ছিল। কিন্তু আবারও কুষ্টিয়ার কুমারখালীর আব্দুল আলিম, নয়ন, তোফাজ্জল, বকুলের নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট বালু উত্তোলন শুরু করেন। এবার পাবনা ও রাজবাড়ীর অংশের সবাইকে বাদ দেয়া হয়। এনিয়ে চলছিল উভয় গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা। ঘটনারদিন পার্শবর্তী রাজবাড়ী জেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খানের হয়ে সুরুজ ও ঈসমাইলের নেতৃত্বে বালু মহলের নিয়ন্ত্রণ নিতে যান তারা। এসময় দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি হয়। একপর্যায়ে পাবনা থেকে যাওয়া ১০ জনকে আটক করে তাদেরকে বেধরক পিটিয়ে বেধে রেখে পাবনা সদর থানার পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এই ঘটনায় গুরুত্বর তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কা জনক।

এবিষয়ে বাহাদুরপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান বলেন, ‘আমার পার্শ্ববর্তী এলাকা হলেও কিছু জানি না। আমি তাদেরকে চিনিই না, তারা পাবনার লোক। আমি নিজেই বালু উত্তোলনের বিপক্ষে। আমরা মানুষের জমিজমা রক্ষা করতে এবং বালু উত্তোলন বন্ধ করতে জেলা প্রশাসকদের কাছে আবেদন করেছি।’ এবিষয়ে কুষ্টিয়া-৪ আসনের সাবেক এমপি সেলিম আলতাফ জর্জে সহযোগী আব্দুল আলিমের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়ায় মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

পাবনা সদর থানার ইন্সপেক্টর (ওসি-অপারেশন) আব্দুস সালাম বলেন, খবর পেয়ে আমরা সেখান গিয়ে আহতবস্থায় ১০ জনকে আটক করেছি। ভাঙাচোড়া দুইটি অস্ত্র উদ্ধার করেছি। তাদের মধ্যে ৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এবিষয়ে পরে বিস্তারিত বলা যাবে।




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close