প্রকাশ: রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১:২১ পিএম আপডেট: ২৯.০৯.২০২৪ ২:৫১ পিএম (ভিজিট : ১৫৯)
সিলেটের সদর, কোম্পানীগঞ্জ ও বিশ্বনাথে বজ্রপাতে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) ভোরে উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের সাড়ইল গ্রাম সংলগ্ন ডুবির হাওরে, সকাল ১০টায় কোম্পানীগঞ্জের ইসলামপুরে এবং দুপুরে সিলেট সদর উপজেলার কাটিমারা গ্রামে পৃথক বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। বিশ্বনাথে নিহত রেদওয়ান আহমদ সাড়ইল গ্রামের ওলিউর রহমানের ছেলে ও সিলেট এমসি কলেজের বিএসএস ১ম বর্ষের ছাত্র। আর সিলেট সদর উপজেলায় নিহত মফিজ আলী পেশায় দিনমজুর।
ভোরে বিশ্বনাথে বাড়ির পুকুর সেচকালে বিকট শব্দ হলে রেদওয়ান ও সুফিয়ান পুকুরপারে লুটিয়ে পড়েন। পরে তাদের সিলেট নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপতালে নেওয়া হলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে সিলেট সদর উপজেলার খাদিমপাড়া ইউনিয়নের কাটিমারা গ্রামে দুপুরে নিজ বাড়ির পাশে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান মফিজ আলী। বজ্রপাতের আঘাতে তার শরীর ঝলসে গেছে।
এদিকে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় বজ্রপাতে মাসুক আহমেদ (৪১) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় উপজেলার পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের মধ্য রাজনগর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তিনি উপজেলার পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের মধ্য রাজনগর গ্রামের কনু মিয়ার ছেলে। তিনি ২ মেয়ে ২ ছেলে সন্তানের জনক।
এদিকে গত কয়েকদিনের টানা তাপদাহের পর সিলেটে বজ্রসহ বৃষ্টি হচ্ছে। সকাল থেকে টানা বর্ষণে ব্যহত হতে থাকে নগরীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। মেঘাচ্ছন্ন আকাশের পাশাপাশি ঝড়বৃষ্টির কারণে রাস্তাঘাট অনেকটা ফাঁকা ছিলো। রাস্তায় যানবাহন বের হলেও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হয়েছে। স্বাভাবিক দিনের তুলনায় রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল কম ছিলো। যারা একান্ত প্রয়োজনে বের হয়েছেন, তারাও ছাতা নিয়ে চলাচল করতে দেখা যায়।
রাস্তাঘাটে যানচলাচল কম থাকায় অনেককে রিক্সা, গাড়ির জন্য দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। যারা রিক্সা পেয়েছেন, তারাও বেশি ভাড়ায় গন্তব্যে যেতে বাধ্য হয়েছে। বৃষ্টির কারণে সকালে স্কুল, কলেজগামী শিক্ষার্থীরা রিক্সা, সিএনজি অটোরিকশা না পেয়ে বিপাকে পড়েন।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় সিলেটে ৩৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। রোববার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৮০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস রয়েছে।
সময়ের আলো/এএ/