দখলদারদের হাত থেকে দেশ মুক্ত হওয়ায় মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে

টেকনাফে বিএনপির কর্মী সমাবেশে শাহজাহান চৌধুরী

প্রকাশ: শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৯:৩৮ পিএম আপডেট: ২৮.০৯.২০২৪ ৯:৪০ পিএম (ভিজিট : ২৬৩)

কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি ও উখিয়া-টেকনাফ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী বলেছেন, দেশ দখলদারদের হাত থেকে মুক্ত হওয়ায় মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় রঙ্গীখালী ঈদগাহ ময়দানে গেছিলাম হ্নীলা দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে, সাধারণ সম্পাদক আবছার কামাল সিদ্দিকী ও সাংগঠনিক সম্পাদক জুহুর আলমের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির সাবেক এই এমপি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, গত ১৭ বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপি নেতা কর্মীদের মামলা-হামলা ও গায়েবি মামলা দিয়ে ব্যাপক হয়রানি করেছেন। বাড়িতে পুরুষ লোক না পেয়ে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের ধরে নিয়ে নানা নির্যাতনের পর জেল হাজতে পাঠিয়েছেন। এমন কি শিশুরা পর্যন্ত এই নির্যাতন থেকে রেহায় পায়নি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের অতীতে করা উন্নয়নের ওপর ভর করে আওয়ামী বাকশালী সরকার উন্নয়নের বরাদ্দ পকেটস্থ করে টেকনাফ ও উখিয়া এলাকায় মাদক নির্মূলের নামে নিরীহ শত শত মানুষকে রাষ্ট্রীয়ভাবে খুন করেছেন। ওসি প্রদীপকে দিয়ে শত শত নারীদের করেছে গণধর্ষণ। এসময় রঙ্গীখালী এলাকার নির্যাতিত বিএনপির জন্য শহীদ পরিবারের সন্তান যুবদল নেতা শাহ আলমের বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে শাহ জাহান চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগের দোসররা দীর্ঘ বছর পূর্বে যুবদল নেতা শাহজালাল ও ছৈয়দুল আমীনকে এলাকায় হত্যা করেছিল এবং তাদের পরিবারের সদস্য বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করে আসছিল। এসবের বিচার বাংলার মাটিতে একদিন হবেই হবে ইনশাআল্লাহ।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বাধ্য হয়ে ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের ডাইনী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকার দেশ ছেড়ে পালালে দেশের মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে শুকরিয়ার মস্তক অবনত করে সেজদায় লুটিয়ে পড়ে। মহান আল্লাহর কাছে জালিমের জুলুম থেকে রক্ষা পেয়েছে বলে শুকরিয়া আদায় করেছেন। এই সরকার দীর্ঘ ১৭ বছর মানুষকে শুধু জুলুমই করেছে ভাগ্যন্নোয়নে জন্য কোন কিছু করেনি। কল কারখানা শূন্য এই উখিয়া-টেকনাফে। একদিকে ইয়াবার অজুহাতে নাফ নদী বন্ধ অন্যদিকে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ অব্যাহত রেখে এলাকায় চুরি ডাকাতি, সন্ত্রাসী ও অপহরণ বাণিজ্য জিয়ে রেখেছেন।

‘আমাদের কাজ হচ্ছে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন এই সরকারকে দেশ সংস্কারের কাজে সহযোগিতা করে একটি অবাধ নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। আর নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পারলে তবে আমাদের আন্দোলন সার্থক হবে। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করতে আহবান জানিয়েছেন তিনি।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন টেকনাফ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি হাশেম আহমদ সিআইপি, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসাইন, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ আলী মেম্বার, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. সেলিমুল মোস্তফা, এএইচ এম ওসমান গণী। যুগ্ম সম্পাদক জামাল ছাদেক, টেকনাফ উপজেলা যুবদলের আহব্বান মোহাম্মদ কাইয়ুম, হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা জলাল উদ্দীন চৌধুরী, সাবেক উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি জাহেদুর রহমান, জেলা যুবদলের সদস্য মোক্তার আহাম্মদ, মানবাধিকার সম্পাদক নাছির উদ্দীন রাজ, যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হুদাসহ যুবদল ও ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ।

সময়ের আলো/আরআই