প্রকাশ: শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৬:২০ পিএম (ভিজিট : ১৯৬)
নাটোরের বড়াইগ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষে ৯ জন আহত ও চার বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার জোয়াড়ী সৈয়দ মোড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে দুজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহতরা হলেন- আওয়ামী লীগ কর্মী কসের উদ্দিন (৫৬), জিল্লুর রহমান (৩৮), ওসমান আলী (১৮) ও বিএনপি কর্মী হাবিবুর রহমান (৩৫), মাহফুজুর রহমান (২৪), জুয়েল রানা (৩২), আল আমিন আকাশ (২৬), আল আমিন (২০), রিয়াদ হাসান (১৭), আব্দুর রহিম (২৮)। আহতদের মধ্যে হাবিবুর রহমান ও মাহফুজুর রহমানকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বৃ-কাছুটিয়া গ্রামে বিএনপি কর্মী সাইফুর রহমানের সাথে জোয়াড়ী গ্রামের দুলাল হোসেনের সাথে এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসতেছিল। এরই সূত্র ধরে গতকাল (শুক্রবার) রাতে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে।
দুলাল হোসেন বলেন, সাইফুর রহমানের ভাতিজা ঈমান হোসেন, আব্দুর রহিমের সাথে গাঁজা বিক্রি বিষয় নিয়ে জামাত আলীর ছেলে নাইম, শহিদুলের ছেলে শিহাবের দ্বন্দ্ব হয়। এই সংক্রান্ত একটি ৮ মিনিটের ভিডিও প্রকাশ প্রায়। শুক্রবার সন্ধ্যায় সাইফুর রহমান উপজেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে বিএনপির সন্ত্রাসীদের নিয়ে এসে জামাত আলী, শহিদুল ইমলামের বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করে আমার বাড়িতে হামলা করে। আমার ভাই কসের উদ্দিন বাধা দিলে তাকে কুপিয়ে আহত করে। পরে আমার ভাতিজারা একত্র হয়ে ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়।
সাইফুর রহমানের ভাতিজা ঈমান হোসেন বলেন, আমাদের আম বাগানে দুলাল হোনেরা সব সময় অত্যাচার করে। আমরা প্রতিবাদ করলেই দলীয় প্রভাব খাটিয়ে মারপিট করে। শুক্রবার সন্ধ্যায় চায়ের স্টলে রাজনৈতিক কথা বলা নিয়ে কথা কাটাকটির এক পর্যায়ে দুলাল হোসেন ও তার লোক নিয়ে এসে আমাদের ওপরে হামলা করে। এতে ৬ জন আহত ও তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সময়ের আলো/আরআই