ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

বড় বোঝা হাসিনা আমলের ঋণ
প্রকাশ: শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৭:১৪ এএম আপডেট: ২৯.০৯.২০২৪ ৭:৫৬ এএম  (ভিজিট : ৩৭৯)
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার বিদায়ি হাসিনা সরকারের কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে বিশাল ঋণের বোঝা ও ভঙ্গুর অর্থনীতি পেয়েছে। দেশি-বিদেশি মিলে বর্তমান সরকারের ঘাড়ে ১৮ লাখ কোটি টাকারও বেশি ঋণ রয়েছে। এর মধ্যে ১০ লাখ কোটি টাকার বেশি দেশি ঋণ, বিদেশি ঋণ ৮ লাখ কোটি টাকার। এর পুরোটাই পতনের সময় রেখে গেছে হাসিনা সরকার। এ বিশাল অঙ্কের ঋণ বর্তমান সরকারের পথচলা কঠিন করে দিয়েছে। আবার ব্যাংকসহ পুরো আর্থিক খাতও নাজকু অবস্থায়। রাজস্ব আহরণ কমে গেছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও নড়বড়ে করে রেখে গেছে আগের সরকার।

এ অবস্থায় সরকারি ব্যয় মেটানো এবং বিশাল দায়দেনা পরিশোধ করতে রীতিমতো গলদঘর্ম অবস্থা সরকারের। অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা বলছেন, বর্তমান সরকারকে যেমন অভ্যন্তরীণ আয় বাড়াতে হবে, তেমনি প্রবাসী আয় ও রফতানি আয় যাতে দ্রুত বাড়ানো যায় সে উদ্যোগ নিতে হবে। একই সঙ্গে ব্যাংক খাতে সরকার ইতিমধ্যেই যে সংস্কার কাজ শুরু করেছে, সেই সংস্কার কাজ শুরু করতে হবে অর্থ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সংস্থা এবং অধিদফতরেও।

এ বিষয়ে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন সময়ের আলোকে বলেন, ‘উত্তরাধিকার সূত্রে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ঘাড়ে বড় ঋণের বোঝা চেপে আছে। অভ্যন্তরীণ ও বিদেশি মিলে সরকারের মোট ঋণের পরিমাণ এখন ১৮ লাখ কোটি টাকারও বেশি। এখন বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধ করতে হচ্ছে বেশি। প্রতি ৮ টাকায় এক টাকা সুদ দিতে হচ্ছে সরকারকে। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদও পরিশোধ করতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে বর্তমান সরকারকে আগের সরকারের আমলের ঋণ নিয়ে বেশ বিপাকেই পড়তে হয়েছে। কারণ বিদায়ি সরকার যেমন বিশাল ঋণের বোঝা রেখে গেছে, ঠিক তেমনি একটি ভঙ্গুর অর্থনীতিও রেখে গেছে। সরকারের আয়ের পথগুলোও সঙ্কুচিত হয়ে গেছে। তাই একদিকে বড় ঋণের দায় শোধের চাপ অন্যদিকে রাজস্ব আয় কমে যাওয়া-বর্তমান সরকারের সামনের পথচলা কঠিন করে দিচ্ছে।

ড. জাহিদ হোসেন আরও বলেন, ‘সরকারের কাছে আরও দুই বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে আসা এবং ডলারের বাজারের অস্থিরতা। একই সঙ্গে বর্তমান সরকারকেও আগামী দেড়-দুই বছরে অনেক বিদেশি ঋণও নিতে হবে। ব্যাংকগুলোতে এখনও ডলারের প্রকট সংকট রয়েছে। সব মিলিয়ে এ সরকার আগের সরকারের আমলের অনেক অর্থনৈতিক বিড়ম্বনা নিয়ে পথচলা শুরু করেছে। এসব বিড়ম্বনা বা সংকট দূর করার জন্য তো আর সরকারের হাতে আলাদিনের চেরাগ নেই, যে রাতারাতি সব সমস্যার সমাধান করে ফেলবে। অর্থনৈতিক সংকট দূর করতে এবং দেশি-বিদেশি ঋণের বোঝা কমাতে হলে সরকারকে যেমন অভ্যন্তরীণ আয় বাড়াতে হবে, তেমনি প্রবাসী আয় ও রফতানি আয় যাতে দ্রুত বাড়ানো যায় সে উদ্যোগ নিতে হবে।’

জানা যায়, ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা যখন ক্ষমতায় আসে তখন বাংলাদেশের ঋণের পরিমাণ ছিল মাত্র ৩৩ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন ডলার। গত ৫ আগস্ট ছাত্র অভ্যুত্থানের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন তিনি। কিন্তু দেশ ও ক্ষমতা ছাড়ার আগে দেশি ও বিদেশি মিলিয়ে ১৫৬ বিলিয়ন ডলার ঋণের বোঝা রেখে যান তিনি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ৩০ জুন পর্যন্ত স্থানীয় মুদ্রায় দেশের মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে নেওয়া হয়েছে ৮৮ বিলিয়ন ডলার বা ১০ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকার বেশি এবং বাকি ৬৮ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকা বিদেশি ঋণ।

এদিকে সরকার টানা তিন মেয়াদে মোট ব্যয় করেছে প্রায় ৫৪ লাখ কোটি টাকা এবং রাজস্ব আয় হয়েছে মাত্র ৩৭ লাখ কোটি টাকা। সরকারের ব্যয় ২০০৮-০৯ অর্থবছরের ৯৪ হাজার কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে ৭ লাখ কোটি টাকা হয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের রাজস্ব-জিডিপি অনুপাত ৯ শতাংশের আশপাশে ঘোরাফেরা করছে, যা বিশ্বের সর্বনিম্ন একটি।

এসব ঋণ সরকারি ও সার্বভৌম নিরাপত্তাপ্রাপ্ত ঋণ হিসেবে পরিচিত। ঋণ নেওয়া, ঋণের সুদ দেওয়া, আসল পরিশোধ করা, আবার ঋণ নেওয়া-বিষয়গুলো এভাবে চলতে থাকে। স্থিতি হিসেবে উল্লেখ থাকা অর্থ ভবিষ্যতে পরিশোধযোগ্য। গত ডিসেম্বর শেষে ৯ লাখ ৫৩ হাজার ৮১৪ কোটি টাকার দেশি ঋণের মধ্যে শুধু ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে নেওয়া ঋণের স্থিতিই ছিল ৫ লাখ ২৫ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা। বাকি ঋণ নেওয়া হয়েছে ট্রেজারি বিল ও বন্ডের বিপরীতে। এ ছাড়া সঞ্চয়পত্র ও সাধারণ ভবিষ্য তহবিলের বিপরীতেও আছে বড় অঙ্কের ঋণ।

অর্থ বিভাগের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০১৭ সালের ডিসেম্বরেও দেশি ঋণের স্থিতি ছিল ৩ লাখ ২০ হাজার ২৭২ কোটি টাকা। ক্ষমতায় তখন আওয়ামী লীগই ছিল। কিন্তু ছয় বছরের ব্যবধানে এ ঋণ বেড়ে প্রায় তিনগুণ হয়। আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি যখন সরকারের দায়িত্ব নেয়, তখন দেশি-বিদেশি ঋণের স্থিতি ছিল ২ লাখ ৭৬ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা। ওই সময় দেশি ঋণের চেয়ে বিদেশি ঋণের স্থিতি বেশি ছিল। কিন্তু সদ্য বিদায় নেওয়া সরকারের শেষ দিকে এসে তা উল্টে যায়। এ সময়ে অবশ্য মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আকারও বাড়ে।

বিপুল ঋণ নেওয়ার কারণে আসল ও সুদ পরিশোধের চাপ এখন বর্তমান সরকারের ঘাড়ে। সাম্প্রতিক সময়ে সুদের হারও অনেক বেড়েছে। দুই বছর আগেও সরকারি ট্রেজারি বিল-বন্ডের সুদহার ছিল ১ থেকে ৬ শতাংশ। বর্তমানে গড় সুদহার ১২ শতাংশ। সঞ্চয়পত্র নতুন করে বিক্রি হচ্ছে কম। তবে এর বিপরীতে আগে নেওয়া ঋণের সুদ দিতে হচ্ছে জনগণের করের টাকায়। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে সুদ পরিশোধ বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, যার মধ্যে দেশি ঋণের সুদই ৯৩ হাজার কোটি টাকা।

সূত্রগুলো জানায়, প্রতি বছর যত বিদেশি ঋণ পায় সরকার, তার এক-তৃতীয়াংশ অর্থই চলে যায় ঋণের সুদ ও আসল শোধ করতে। সবশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরেই আগের অর্থবছরের চেয়ে ২৫ শতাংশ বেশি বিদেশি ঋণ শোধ করতে হয়েছে।

ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, গত অর্থবছরে সব মিলিয়ে বিদেশি ঋণের সুদ ও আসল মিলিয়ে রেকর্ড প্রায় ৩৩৬ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়েছে। এর মধ্যে আসল ২০১ কোটি ডলার ও সুদ প্রায় ১৩৫ কোটি ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছরে সুদ ও আসল মিলিয়ে ২৬৮ কোটি ডলার পরিশোধ করেছিল বাংলাদেশ। অথচ এর ঠিক এক দশক আগে, ২০১২-১৩ অর্থবছরে সব মিলিয়ে ১১০ কোটি ডলার ঋণ পরিশোধ করেছিল বাংলাদেশ।

ঋণ পরিশোধের চাপই এখন বেশি : বর্তমান সরকারের কাছে ঋণের বোঝা যেমন বড় সমস্যা ঠিক তেমনি ঋণ পরিশোধের চাপও এখন আরেক মাথা ব্যথার কারণ। বিদেশি ঋণ পরিশোধের চাপ বেশি বেড়েছে গত এক-দুই বছরে। ১০ বছর আগেও পরিস্থিতি এমন ছিল না। গত এক দশকের ব্যবধানে ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, বড় বড় প্রকল্পের বিদেশি ঋণের গ্রেস পিরিয়ড শেষ হতে চলেছে এবং এটিই বিদেশি ঋণ শোধ বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ।

ইতিমধ্যেই রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পে নেওয়া ৫০ কোটি ডলারের ঋণ পরিশোধ শুরু হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা থাকায় কিস্তির অর্থ রাশিয়ায় পাঠানো সম্ভব না হলেও তা বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি বিশেষায়িত হিসাবে রাখা হচ্ছে। ওই হিসাবে গত দেড় বছরে তিন কিস্তিতে ৪৪ কোটি ডলার রাখা হয়েছে, যা ঋণ পরিশোধ হিসেবে দেখানো হয়েছে। রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের মূল প্রকল্পের জন্য ২০১৬ সালে ১ হাজার ১৩৮ কোটি ডলার দিয়েছে রাশিয়া। এ অর্থ পরিশোধ শুরু হবে ২০২৬ সালে। মেট্রোরেল-৬-এর জন্য নেওয়া ঋণের কিস্তি পরিশোধও শুরু হয়েছে। প্রতি বছর দুটি কিস্তিতে আগামী ৩০ বছর ধরে ঋণের অর্থ ফেরত দিতে হবে।

চলতি বছরে ঋণ পরিশোধ শুরু হবে পদ্মা রেল সেতু সংযোগ প্রকল্পের। চীনকে আগামী ১৫ বছরে দিতে হবে ২৬০ কোটি ডলার। প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন (পিইডিপি-৪) কর্মসূচির গ্রেস পিরিয়ড শেষ হচ্ছে এ বছর। এ প্রকল্পের প্রায় ৫০ কোটি ডলার পরিশোধ শুরু হবে। এ ছাড়া ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের জন্য চীনের কাছ থেকে ১১০ কোটি ডলার নিয়েছে বাংলাদেশ। ২০২৬ সালে গ্রেস পিরিয়ড শেষে ১৫ বছরে অর্থ শোধ করতে হবে।

বেতন-ভাতা দিতেও ঋণ নিতে হচ্ছে সরকারকে : বর্তমান সরকারের কাছে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করাই কঠিন হয়ে পড়েছে। এ পরিস্থিতির জন্যও দায়ী বিদায়ি সরকার। কারণ ভঙ্গুর অর্থনীতির কারণে পরিচালন ব্যয় মেটাতে সরকারকে দ্বারস্থ হতে হয় ব্যাংক ঋণের। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত জুলাইয়ে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ১২ হাজার ৭১১ কোটি টাকা নিট ঋণ নিয়েছে সরকার। মূলত সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও ঋণের সুদ পরিশোধ করতেই। এর আগে গত বছরের জুলাইয়ে ব্যাংক থেকে নেওয়া সরকারের নিট ঋণের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকা। এ অনুযায়ী গত জুলাইয়ে সরকারের ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় পাঁচগুণেরও বেশিতে।

বর্তমানে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আরেক অর্থনীতিবিদ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম সময়ের আলোকে বলেন, ‘আর্থিক খাতের সংকট দূর করতে বর্তমান সরকারকে দাতা সংস্থাগুলোর দ্বারস্থ হতে হবে এবং প্রধান উপদেষ্টার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফসহ অনেক সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে এর প্রতিফলনও দেখা গেছে। এ সরকারের কর্মকাণ্ডে দাতা সংস্থা বা উন্নত দেশের সরকারপ্রধানরা বাংলাদেশের প্রতি আকৃষ্ট হয়তো হচ্ছে, তবে তাদের কাছ থেকে নগদ সহায়তা নিতে হলে স্বল্পমেয়াদি কিছু সংস্কার করতে হবে সরকারকে। যদিও ইতিমধ্যে সরকার কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ আর্থিক খাতে কিছু সংস্কারে হাত দিয়েছে, তবে এখনও অনেক কাজ করতে হবে। প্রাথমিক প্রস্তুতি সরকার শুরু করেছে। তবে শুধু কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ পুরো ব্যাংকিং খাতের সংস্কারে হাত দিয়ে বসে থাকলেই হবে না, অর্থ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, জ্বালানি মন্ত্রণালয়সহ আরও কিছু মন্ত্রণালয় ও সংস্থাকে সংস্কার কার্যক্রম শুরু করতে হবে। তা হলেই বিশ্বব্যাংক এবং আইএমএফ বাংলাদেশে আরও অর্থায়নের বিষয়ে ইতিবাচক ভাববে। বিশেষ করে আগামী মাসে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের যে বৈঠক রয়েছে সেখানে আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি পেতে হলে দ্রুত সংস্কার কাজ শুরু করতে হবে।’


সময়ের আলো/আরএস/




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close