ই-পেপার রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪
রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪

লোডশেডিংকে দুষছেন খামারিরা
চাঁদপুরে প্রচণ্ড গরমে মরছে খামারের মুরগি
প্রকাশ: বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৬:১৩ এএম  (ভিজিট : ১৬০)
প্রচণ্ড গরমে নাকাল জনজীবন। একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লোডশেডিং। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবন ও ব্যবসা-বাণিজ্য। তবে সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় পড়েছেন চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার পোল্ট্রি খামারিরা। দিন ও রাতের বেশির ভাগ সময়েই মিলছে না বিদ্যুৎ। ফলে প্রচণ্ড গরমে প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকার খামারে মুরগি মারা যাচ্ছে। 

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা পলাশ কুমার দাস বলেন, বিদ্যুৎ না থাকলে শুধু জেনারেটর দিয়ে মুরগি পালন করা কঠিন। এ জন্য এমন স্থানে খামার তৈরি করতে হবে যাতে সেখানে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস আসতে পারে। এ ছাড়া প্রচণ্ড গরমের সময় বিদ্যুৎ না থাকলে মুরগির শরীরে পানি স্প্রে করতে হবে। তাহলে হিট স্ট্রোকে মুরগি মারা যাওয়ার হার কমবে।

খামারিদের অভিযোগ, গত কয়েকদিন ধরে চাঁদপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ নিজেদের ইচ্ছেমতো বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। কোনো শিডিউল ছাড়াই দিন-রাত মিলিয়ে ৮-৯ ঘণ্টার জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকছে। এটা ক্ষতির বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুপুরের দিকে প্রচণ্ড গরমের কারণে হিট স্ট্রোকে মুরগি মারা যাচ্ছে। 

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৩৫৭টি পোলট্রি খামার রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ব্রয়লার মুরগির খামার রয়েছে ৩১৫টি এবং লেয়ার ও দেশি মুরগির খামার রয়েছে ৪২টি। তীব্র লোডশেডিংয়ের কারণে প্রতিদিনই এসব খামারের মুরগি মারা যাচ্ছে। খামারের ওপর নির্ভরশীল অনেক খামারি তাই দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। বিদ্যুতের বিকল্প জেনারেটর না থাকাসহ পর্যাপ্ত আলো-বাতাস খামারে প্রবেশ করতে না পারা মুরগির হিট স্ট্রোকের প্রধান কারণ। 

প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা বলছেন, হিট স্ট্রোক কোনো রোগ নয়। গরমের হাত থেকে যদি মুরগিকে রক্ষা করা যায় তাহলে হিট স্ট্রোকে মুরগির মারা যাওয়া ঠেকানো সম্ভব। এ ছাড়া কোনো ধরনের ওষুধ কিংবা চিকিৎসা দিয়ে মুরগি বাঁচানো সম্ভব নয়।বিদ্যুতের বিকল্প হিসেবে জেনারেটর ব্যবহার করা যায়। তবে এতে উৎপাদনে খরচ বেড়ে যাবে। ছেংগারচর পৌরসভার ঘনিয়ারপাড় গ্রামের খামারি সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমার খামারে তিন হাজার ব্রয়লার মুরগি আছে। বিদ্যুৎ না থাকায় এবং প্রচণ্ড গরমের কারণে মাত্র এক সপ্তাহে আমার প্রায় ৬০০ মুরগি মারা গেছে। আমি মনে করি, এর জন্য দায়ী লোডশেডিং। যদি রুটিন মাফিক লোডশেডিং হতো, তবু আগাম ব্যবস্থা নিয়ে হয়তো মুরগিগুলো বাঁচানো যেত। 

উপজেলার ওঠারচর গ্রামের খামারি শিপন মিয়া বলেন, দুই দিনে হিট স্ট্রোকে আমার খামারের ৯০টি মুরগি মারা গেছে। প্রতিটি মুরগির ওজন দুই কেজির ওপরে। গরমের কারণে কোনোভাবেই হিট স্ট্রোক থেকে রক্ষা করা যাচ্ছে না। লোডশেডিংয়ের কারণে ফ্যান চালিয়েও রাখতে পারছি না। এভাবে চলতে থাকলে লোকসান কোথায় ঠেকবে বলা মুশকিল। 

লোডশেডিংয়ের বিষয়ে চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর মতলব উত্তর জোনাল অফিসের এজিএম রায়হানুল ইসলাম বলেন, প্রায় ১ লাখ ৫ হাজার গ্রাহকের জন্য আমাদের প্রতিদিনের বিদ্যুতের যা চাহিদা তার মাত্র ৫০ ভাগ বরাদ্দ পাচ্ছি। এছাড়া প্রধান সংযোগ লাইনও মাঝে মাঝে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে বাধ্য হয়েই লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close