ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

পোশাক শিল্পে একের পর এক সংকট
উৎপাদন ব্যাহত, উদ্বিগ্ন ব্যবসায়ীরা
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৭:১৪ এএম  (ভিজিট : ৪২২)
দেশের রফতানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্পের স্বাভাবিক গতি চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। একের পর এক সংকটে বিঘ্ন ঘটছে উৎপাদনে। গত চার-পাঁচ মাস ধরে চলছে চরম গ্যাস সংকট। 

এরপর জুলাই মাস থেকে টানা অস্থিরতায় কারখানার চাকা থমকে ছিল বেশ কিছু দিন। চলতি মাসের শুরু থেকে বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবিতে শ্রমিক আন্দোলন চলমান থাকায় শিল্পে অস্থিতিশীলতা দেখা দেয়। দাবির আড়ালে পোশাক শিল্প খাতকে অস্থিতিশীল করতে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন শিল্পমালিকরা। এভাবে একের পর এক সংকট দেখা দেওয়ায় শিল্পের উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এতে চরম উদ্বিগ্ন শিল্প মালিকরা। 

এদিকে দেশের পোশাক খাতের চলমান অস্থিরতায় বিদেশি ক্রেতারাও উদ্বেগ জানাচ্ছেন শিল্পমালিকদের কাছে। তারা সময় মতো তাদের পণ্য পাওয়া নিয়ে সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন। বিভিন্নভাবে ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দেশের শিল্প মালিকদের কাছে সময়মতো পণ্য পাওয়ার বিষয়ে তাগিদ দিচ্ছেন। আর ক্রেতা ধরে রাখার স্বার্থে শিল্পমালিকরা তিন থেকে চার গুণ বেশি খরচে কার্গো বিমানে করে পোশাক পাঠাচ্ছেন ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের কাছে। এতে লোকসানে পড়তে হচ্ছে উদ্যোক্তাদের। 

এ বিষয়ে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম সময়ের আলোকে বলেন, ‘ধারাবাহিক বাধার কারণে শিল্প-কারখানায় স্বাভাবিক উৎপাদন চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। একটা সংকট কাটতে না কাটতে আরেক সংকট এসে হাজির হচ্ছে। এভাবে তো ব্যবসা-বাণিজ্য করা যায় না। আমরা এখন চারদিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। সময় মতো পণ্য উৎপাদন করতে পারছি না, ক্রেতার চাহিদামাফিক সময়ে পণ্য পাঠাতে পারছি না। বাড়তি খরচে পণ্য বিমানে পাঠাতে গিয়ে লোকসান গুনতে হচ্ছে। ব্যাংকের ঋণের টাকা সময়মতো দিতে পারছি না এবং অনেক কারখানা মালিকের পক্ষে সময়মতো শ্রমিকের বেতন দেওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে। সুতরাং আমরা যাতে স্বাভাবিকভাবে কলকারখানা চালাতে পারি দ্রুত সে পরিবেশ তৈরির দাবি জানাচ্ছি। আশার কথা হচ্ছে-বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া ইতিবাচক সিদ্ধান্ত এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যেভাবে শিল্পের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে তাতে আমরা আশাবাদী হচ্ছি এবং স্বস্তি পাচ্ছি। আশা করব সরকার আরও দ্রুত শিল্পের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনবে।’

শিল্পমালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত দুই মাস ধরেই নানা সংকটের কারণে বিদেশি ক্রেতারা বাংলাদেশের বাজারকে তাদের পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। এই সময় প্রায় প্রতিটি কারখানাতেই আসন্ন শীত মৌসুমের পোশাকের অর্ডার রয়েছে এবং কাজ চলছে। আবার এই মৌসুমের জন্য নতুন আদেশও এখনও আসছে। তবে শিল্পে অস্থিরতা ও সংকটের কারণে বিদেশি ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো ২০ থেকে ২৫ শতাংশ নতুন রফতানি আদেশ অন্য দেশে সরিয়ে নিয়েছেন। এটা বড় শঙ্কার বিষয়। 

অর্থনীতিবিদরাও বলছেন, পোশাক শিল্পে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা খুবই জরুরি। কেননা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধিতে এবং অর্থনীতি সচল রাখতে এই খাতই মুখ্য ভূমিকা পালন করে। এ মন্তব্য করে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম হোসেন সময়ের আলোকে বলেন, ‘পোশাক খাত দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। বিগত সরকারের আমলেই দেশের রিজার্ভ অনেক কমে যায়, এখনও অনেক কম। রিজার্ভ বাড়াতে হলে পোশাক খাতকে স্বাভাবিক করতে হবে। অর্থনীতিকে সচল রাখতে হলে পোশাক খাতের চলমান সংকট দূর করতে হব। 

কয়েক দিনের অস্থিরতার পর পরিস্থিতির উন্নতি : তৈরি পোশাক খাতের শিল্পাঞ্চলে চলমান শ্রমিক অসন্তোষ স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারি ও মালিকদের ইতিবাচক ভূমিকায় কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে গতকালও ৩০টি কারখানা বন্ধ ছিল। এর মধ্যে সাভার আশুলিয়ায় ২৭টি এবং গাজীপুরে বন্ধ ছিল তিনটি কারখানা। এদিকে সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া শিল্পাঞ্চলে স্বস্তি দীর্ঘস্থায়ী হবে বলে আশা উদ্যোক্তাদের। 

গতকাল বুধবার তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ শিল্প পুলিশ সূত্র এ তথ্য জানায়। এ ছাড়া টঙ্গী ও রূপগঞ্জে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকরা। বিজিএমইএ তথ্য অনুসারে গতকাল ৯৮ শতাংশ কারখানা খোলা ছিল। বিজিএমইএ সদস্য কারখানাগুলোর মধ্যে খোলা ছিল ২ হাজার ১১৪টি। সংগঠনটির সক্রিয় কারখানার সংখ্যা ২ হাজার ১৪৪টি। শ্রম আইনের ১৩/১ ধারায় অনির্দিষ্টকালের জন্য আশুলিয়ায় বন্ধ ছিল ১৬টি কারখানা।
আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চল পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, কারখানার ভেতরে ২/১ কারখানায় গতকালও শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করেন। পরে দুপুরের পর ছুটি দিলে শ্রমিকরা কারখানা থেকে বের হয়ে যান। তিনি জানান, গতকাল ২৫টি কারখানা বন্ধ ছিল। এর মধ্যে শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারায় ২০টি । পাঁচটি কারখানায় সাধারণ ছুটি রয়েছে। 

এদিকে সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া পোশাক শিল্পাঞ্চলে স্বস্তি দীর্ঘায়িত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিজিএমইএ পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল। তিনি বলেন, এর ফলে নেপথ্যে থেকে যেসব দুর্বৃত্ত শ্রমিকদের ইন্দন দিয়ে আসছিলেন তারা আরও বেশি সতর্ক হবে।

শান্ত আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চল বন্ধ, ছুটিতে ২৬ কারখানা : আশুলিয়া ও টঙ্গী প্রতিনিধি জানান, আশুলিয়ার বেশিরভাগ পোশাক কারখানায় চলছে উৎপাদন। তবে এখনও বন্ধ রয়েছে ২৬টি কারখানা। যার মধ্যে অনির্দিষ্টকালের জন্য শ্রম আইনে বন্ধ রয়েছে ২০টি ও বাকি ৬টি কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার সকাল ৮টা থেকে শ্রমিকরা কাজে ফিরলে আশুলিয়ার অধিকাংশ পোশাক কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলতি সপ্তাহে নতুন করে কোনো কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেনি কর্তৃপক্ষ। তবে শ্রমিক অসন্তোষ চলাকালীন গত সপ্তাহের বিভিন্ন সময় সর্বোচ্চ ৮৬টি পোশাক কারখানাকে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬-এর ১৩(১) ধারায় বন্ধ ঘোষণা করা হয় এবং সাধারণ ছুটি দেওয়া হয় ১৩৩টিতে। যার মধ্যে এখনও ২০টি কারখানা আজও খোলা হয়নি। এ ছাড়া সাধারণ ছুটিতে রয়েছে আরও ৬টি কারখানায়। তবে বাকি সব কারখানায় পুরোদমে উৎপাদন চলছে। শ্রমিকরাও শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করছেন।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, কয়েকটি কারখানায় শ্রমিকরা প্রবেশ করে বিভিন্ন দাবিতে কাজ বন্ধ করে বসে রয়েছেন। সমস্যা সমাধানে মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করছেন। আবার কয়েকটিতে মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলমান।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড সোয়েটার শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইনবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টু বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। তাই বন্ধ কারখানাগুলো খুলে দিতে আমরা মালিকপক্ষ ও বিজিএমইএর কাছে অনুরোধ করেছি। না হলে এই বন্ধ কারখানাগুলোকে কেন্দ্র করে নতুন করে বিশৃঙ্খলা তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, কারখানা বন্ধ রাখা কোনো সমাধান নয়। খুলে দিয়ে মালিকপক্ষের উচিত শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করা।

এদিকে বকেয়া বেতনের দাবি জানিয়ে আশুলিয়ার ইউসুফ মার্কেট এলাকার জেনারেশন নেক্সট কারখানার শ্রমিকরা কারখানার সামনে অবস্থান নিয়েছে এবং আশুলিয়ার পলাশবাড়ী এলাকার পার্ল গার্মেন্টসের সামনে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে শ্রমিকরা অবস্থান নিয়েছেন। এ ব্যাপারে আশুলিয়ার শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম সময়ের আলো বলেন, শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় আজ ২৬টি কারখানা বন্ধ রয়েছে। বন্ধ কারখানাগুলোর মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে কারখানাগুলো খুলে দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, শিল্পাঞ্চলে শান্তিপূর্ণভাবে কাজ চলছে। কারখানাগুলোর সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পাশাপাশি সেনাবাহিনীর টহল অব্যাহত রয়েছে। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন বলেও জানান তিনি।

এদিকে গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব থানা মেঘনা রোড এলাকায় এমট্রানেট গ্রুপের কারখানার শ্রমিকরা ১৪ দফা দাবি নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। এ সময় শ্রমিকরা কারখানার মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেয়। তাদের দাবিগুলো হলো-১. সব শ্রমিক/কর্মচারীদের তিন কর্মদিবসের মধ্যে পেস্লিপ এবং সাত কর্মদিবসের মধ্যে বেতন দিতে হবে; ২. সব অপারেটর এবং হেলপারদের বিজিএমইএ ঘোষণা অনুযায়ী হাজিরা বোনাস দিতে হবে; ৩. সব শ্রমিক/কর্মচারীদের বাৎসরিক ছুটির টাকা এক বছর পূর্ণ হলে ১৮ দিনের ছুটির টাকা বছর শেষে জানুয়ারি মাসের মধ্যে দিতে হবে; ৪. সব শ্রমিক/কর্মচারীদের সার্ভিস বেনিফিট বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী যা আসবে তা দিতে হবে; ৫. টিফিন বিল ও নাইট বিল বিজিএমইএর ঘোষণা অনুযায়ী দিতে হবে, এবং সন্ধ্যা ৭টার পর থাকলে টিফিন দিতে হবে; ৬. ঈদ বোনাস বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী ছয় মাস হলে তাদের হাফ বেসিক এবং এক বছর পূর্ণ হলে ফুল বেসিক দিতে হবে; ৭. সব শ্রমিক/কর্মচারী গর্ভবতী মেয়েদের বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী ছুটিতে যাওয়ার আগে দুই মাসের বেতন এবং ছুটি থেকে আসার পর দুই মাসের বেতন তিন কর্মদিবসের মধ্যে দিতে হবে; ৮. সব শ্রমিক/কর্মচারীদের সঙ্গে কোনোরকম অসদচারণ ও গালাগাল করা যাবে না এবং করলে তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে; ৯. ঈদের ছুটির ক্ষেত্রে আমাদের কোনো অর্জিত ছুটি থেকে কাটা যাবে না ও ঈদের ছুটি ১০ দিন দিতে হবে এবং এটি অতিরিক্ত ছুটি জেনারেলের ডিউটির মাধ্যমে সমন্বয় করা হবে; ১০. শ্রমিক ও কর্মচারীদের চাকরি অবসানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী সব পাওনাদি চাকরি ছাড়ার ২০ কর্মদিবসের মধ্যে দিতে হবে; ১১. আন্দোলনকারী কোনো শ্রমিক/কর্মচারীকে কোনোরকম হয়রানিমূলক চাকরি থেকে ছাঁটাই করা যাবে না; ১২. যাদের পদত্যাগ করা হয়েছে তারা কোনোভাবে ফ্যাক্টরিতে প্রবেশ করতে পারবে না এবং বাকি যারা আছে তাদেরও পদত্যাগ করতে হবে। সুজন (অ্যাডমিন), রফিক (অ্যাডমিন), লাকি (অ্যাডমিন), শফিউল্লাহ (অ্যাডমিন ব্রাভো), হাবিব (অ্যাডমিন), রানা (পিএম) (আই ডিপার্টমেন্ট ব্রাভো), নিলুফা (অ্যাডমিন), সুমন (আই ম্যানেজার ব্রাভো) এবং ফরিদ। ১৩. নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টার্গেট অনুযায়ী প্রোডাকশন বাড়াতে হবে এবং ১৪. নতুন শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে ছেলেমেয়ে সমান হারে নিয়োগ দিতে হবে।
তারা আরও জানায়, ওই দাবিগুলো মেনে নিয়ে কোম্পানির চেয়ারম্যানের সিল-স্বাক্ষরসহ নোটিস দিতে হবে। পরে শিল্প পুলিশ ও সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে শ্রমিকরা রাস্তা থেকে কারখানার ভেতরে অবস্থান নেন।

সময়ের আলো/আরএস/ 




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close