রাজধানীর মেরুল বাড্ডা আনন্দনগর এলাকায় স্বামীর ছুরিকাঘাতে আহত স্ত্রী বিথী আক্তার(২২) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। তবে ঘটনার পরপরই হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায় স্বামী কমল মিয়া।
সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩টার দিকে মেরুল বাড্ডা ডিআইটি প্রজেক্ট আনন্দনগর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মারা যায়। এই ঘটনায় প্রতিবেশী জীবন বাড্ডা থানায় আটক আছে।
মৃত বিথীর বড় ভাই ইয়াছিন মিয়া জানান, তাদের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলার কাইশাপুর গ্রামে। বর্তমানে গাজীপুর জেলার টঙ্গি পূর্ব থানার পাগার বটতলা এলাকায় স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে ভাড়া থাকতো বিথী। স্বামী কমল বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কাজ করতো।
ইয়াছিন আরো জানান, সন্ধ্যার দিকে জানতে পারি আমার বোন বিথীকে বাড্ডা ডিআইটি প্রজেক্ট এলাকায় তার স্বামী কমল ছুরিকাঘাত করেছে। তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। পরে হাসপাতালে এসে বোনের মরদেহ দেখতে পাই। তবে স্বামী কমল হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছে। প্রতিবেশী জীবনকে হাসপাতালে দেখতে পাই। পরে পুলিশ জীবন থানায় ধরে নিয়ে যায়।
ইয়াছিন জানান, বিথী স্বামী সন্তান নিয়ে আগে বাড্ডা এলাকায় থাকতো। তিনমাস ধরে টঙ্গি থাকে। সোমবার বিথীকে টঙ্গি থেকে বাড্ডায় এনে ছুরিকাঘাত করে। পরে নিজেই ঢাকা মেডিকেল নিয়ে যায়। হাসপাতালে চিকিৎসককে জানায় এক্সিডেন্ট করেছে। এবং ভর্তি খাতায় এক্সিডেন্ট উল্লেখ করে। পরে কমল তার প্রতিবেশী জীবনকে রেখে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়।
বাড্ডা থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) ফাতেমা সিদ্দিকা সোমা জানান, পারিবারিক কলোহের জেরে সোমবার স্বামী কমল স্ত্রী বিথীর ডান পাজরে ছুরিকাঘাত করে। পরে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। ঘটনার পর স্বামী কমল পালিয়ে গেছে। তবে তার এক বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে।
সময়ের আলো/এএ/