ই-পেপার রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪
রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪

ঝালকাঠির সাবেক পিপি, আমুর এপিএসসহ  ৯৩ জনের নামে মামলা
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৬:৫২ এএম  (ভিজিট : ২৩৪)
গর্ভের সন্তান নষ্ট ও বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গণতন্ত্র হত্যা দিবসে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল পন্ড করার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। ঝালকাঠি জেলা মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শহরের আমতলা গলি সড়কের আঃ কুদ্দুস হাওলাদার (লেলিন) এর স্ত্রী মুক্তা বেগম বাদী হয়ে সদর থানায় এ মামলা করেন।

ঝালকাঠি পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান রসুল, আমির হোসেন আমুর এপিএস ফখরুল মজিদ কিরণ, অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট আসম মোস্তাফিজুর রহমান মনু, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজ আল মাহমুদ,  জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রেজাউল করীম জাকির, আরো ৪ আইনজীবীসহ ৯৩জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাতনামাসহ ৩৪৩ জনের নামে ঝালকাঠি সদর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা দিবসে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পন্ড করে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীদের নির্যাতনে গুরুতর আহত হয়ে গর্ভের ভ্রুণ নষ্ট হয়েছে গেছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

ঝালকাঠি সদর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, এক নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। আসামীরা পলাতক রয়েছে। গ্রেফতারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।  

মামলায় মুক্তা বেগম উল্লেখ করেন, ২০২২ সালের ৫জানুয়ারী সকাল সাড়ে ১০টায় ঝালকাঠি জেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল নেতা কর্মীরা মিছিল নিয়ে আইনজীবী সমিতি অতিক্রমকালে আসামীরা দেশীয় অস্ত্র লোহার রড, হকিস্টিক, জিআই পাইপ, হাতুরি, রামদা, চাইনিজ কুড়াল, চাপাতি, লাঠিসোঠাসহ ককটেল বোমা নিয়া মিছিলের নেতাকমীদের খুন, জখম ও হত্যার উদ্দেশ্যে  অর্তকিত  হামলা চালিয়ে ককটেল  বিস্ফোরণ ঘটায়। এসময় জনমনে চরম অতংক সৃষ্টি হয় এবং নেতা কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হলে আসামীরা বিএনপির নেতাকর্মীদের  মারাত্মক জখম করে এবং বিএনপির নেতাকর্মীরা জীবন বাঁচাতে পালিয়ে যায়। তখন আমি (মুক্তা) তিন মাসের অন্তসত্তা থাকায়  ঘটনাস্থল  থেকে পালিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করলে আসামীরা আমার চুলের মুঠি ধরিয়া পেটে লাথি ও কিল ঘুষি মারে। আমি পাকা রাস্তার উপর পরে যাই। এরপর অন্যান্য আসামীরা একত্রিত হয়ে আমার  পেটে বুকে লাথি মারে ও পদদলিত করে। আসামীদের নির্যাতনে আমার গর্ভের ভ্রুণ নষ্ট হয়ে যায় এবং আমি রক্তাক্ত হইয়া রাস্তায় পরে যাই। আসামীরা বোমার বিস্ফোরণ ঘটাইয়া ঘটনাস্থল ত্যাগ করার কিছুক্ষণ পর কতক সাক্ষীরা আমাকে উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে জরুরী বিভাগে নিয়ে যায়। ডাক্তাররা প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করার কিছুক্ষণের মধ্যেই ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও  আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শারমিন মৌসুমি কেকার  নেতৃত্বে সকল গুন্ডাবাহিনীসহ হাসপাতালে গিয়ে জোর পূর্বক আমাকে জরুরী বিভাগ থেকে বের করে দেয়। আমার আত্মীয় স্বজন গোপনে বিভিন্ন স্থানে প্রাইভেট চেম্বারে চিকিৎসা করায়। চিকিৎসকরা পরীক্ষা নিরিক্ষা করে জানায় আসামীদের নির্যাতনে গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে গেছে। আমি তৎকালীন স্বৈরাশাসনের ফলে অস্বাভাবিক পরিস্থিতির কারণে ঝালকাঠি সদর থানা বা বিজ্ঞ আদালতে মামলা করতে পারিনি। ন্যায় বিচার প্রাপ্তির জন্য এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সময়ের আলো/আরএস/




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close