প্রকাশ: রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৮:০৬ পিএম (ভিজিট : ২৬২)
বলা হয় বর্ষা বা শীত মৌসুমে সুন্দরবন ভ্রমণের উপযুক্ত সময়। বৃষ্টির পানিতে বনের বিভিন্ন স্থানে কানায় কানায় পূর্ণ ওয়ে ওঠে। এই জলরাশির ওপর মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকে সুন্দরী ও করচগাছের বন। স্বচ্ছ পানি, সুন্দরবন লাঘোয় নদীর মৃদুমন্দ ঢেউ, অগণিত পাখির কলতান পর্যটকদের মন ভুলিয়ে দেয়। কিন্তু বিধি বাম। সুন্দরবন দেখতে আসা পর্যটকরা টানা ভারী বৃষ্টিতেই তার কিছুই উপভোগ করতে পারেনি। যে কারণে পুরো সুন্দরবন না দেখেই ফিরে আসতে হয়েছে প্রায় ৪০০ ভ্রমণ পিয়াসুদের।
এই তথ্য জানিয়ে পূর্ব সুন্দরবন করমজল বন্যপ্রাণী ও পর্যটন কেন্দ্রের ওসি হাওলাদার কবির রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জানান, টানা ভারী বৃষ্টির কারণে গত শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) থেকে করমজল পর্যটন কেন্দ্রে কোন পর্যটক আসেনি। বনের আরেক সৌন্দর্য স্থান কটকা ও কচিখালীতে ৯টি পর্যটকবাহী লঞ্চ বা নৌযানে চেপে প্রায় ৪০০ পর্যটক আসলেও সুন্দরবন না দেখেই ফিরে গেছেন তারা।
বন কর্মকর্তা আজাদ কবির আরও বলেন, কটকা ও কচিখালীতে শুক্রবার সুন্দরবন ভ্রমণের জন্য ‘দি ওয়েব, মোহাম্মদিয়া-২, আল আসকা, সিলভার ক্রুস, জলফড়িং, সুনশাইন, রেইনবো, রেজাদ ও সিপাল-৩’ লঞ্চে চেপে প্রায় ৪০০ পর্যটক প্রবেশ করেন। কিন্তু ভারী বৃষ্টিতে ওইসব পর্যটকরা কটকা ও কচিখালীর ভূমিতেই পা রাখতে পারেনি। সুন্দরবন না দেখেই ফিরে আসেন তারা।
ট্যুর অপারেটর ব্যবসায়ী গোলাম রহমান বিটু বলেন, সুন্দরবনের কটকা ও কচিখালী হরিণ ও পাখি দেখার জন্য ভাল জায়গা। কটকা অনেক বিরল এবং মহিমান্বিত বন্য প্রাণীর জন্য সুপরিচিত। কিন্তু এই কটকা ও কচিখালী দেখতে যে পর্যটকরা এসেছিলেন তারা ভারাক্রান্তে হৃদয়ে আবার ফিরে গেছেন। একই সাথে তারাও আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
সময়ের আলো/আরআই