ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

ময়মনসিংহের নান্দাইলের চপই দাখিল মাদরাসা
মাসের পর মাস অনুপস্থিত, তুলেছেন বেতন-ভাতা
প্রকাশ: শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২:৫৯ এএম  (ভিজিট : ২৯৬)
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চপই দাখিল মাদরাসার ইংরেজি শিক্ষক মো. আবদুল গাফফার যোগদানের পর থেকে অনুপস্থিত থেকেও ১১ মাসের বেতন-ভাতা উত্তোলন করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে সরকারের মোট ১ লাখ ১৯ হাজার ৮২০ টাকা অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। 

অভিযোগ রয়েছে, মাদরাসার সুপার মো. হারুন অর রশীদ ও ম্যানেজিং কমিটির সদ্য সাবেক সভাপতি আবদুর রহিমের সহায়তায় হাজিরা খাতায় অভিযুক্ত শিক্ষকের স্বাক্ষর জালিয়াতির (এক দিনে সব হাজিরার স্বাক্ষর নিয়ে) মাধ্যমে বেতন-ভাতা উত্তোলন করেছেন ওই শিক্ষক। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা।

জানা গেছে, আবদুল গাফফার ২০২৩ সালের ২৫ অক্টোবর এ মাদরাসায় যোগদান করেন। কিন্তু যোগদানের পর থেকে এক দিনও আসেনটি মাদরাসায়। এমনকি তাকে চেনে না শিক্ষার্থীরাও। বেতন তোলার বিষয়টি জানাজানি হলে অভিযুক্ত শিক্ষক গত বুধবার দুপুরে নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দফতরে পদত্যাগপত্র জমা দেন। 

মাদরাসার শিক্ষার্থীরা জানায়, সব শিক্ষক-কর্মচারী নিয়মিত উপস্থিত থাকলেও আবদুল গাফফার নামে কোনো শিক্ষককে তারা কখনো দেখেনি। বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম মাদরাসা পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, এ বিষয়ে শিগগিরই তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। 

অপরদিকে চপই মাদরাসার পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি চিনু মিয়া বলেন, ওই শিক্ষক যোগদানের দিন কয়েক ঘণ্টার জন্য মাদরাসায় উপস্থিত ছিলেন। এরপর আর কখনো দেখা যায়নি। কিন্তু মাদরাসা সুপার ও সাবেক সভাপতি আবদুর রহিম মিলে অনুপস্থিত শিক্ষকের স্বাক্ষর জাল করে প্রতি মাসেই বেতন-ভাতা উত্তোলন করেছেন। তবে অভিযুক্ত শিক্ষক আবদুল গাফফারকে একাধিকবার কল করেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। 

এ বিষয়ে নান্দাইল চপই দাখিল মাদরাসার সুপার হারুন অর রশিদ জানান, শিক্ষক আবদুল গাফফার একবারেই যে আসেননি, সেটা সঠিক নয়। মাঝেমধ্যে এসে স্বাক্ষর করে গেছেন। তা হলে মাস শেষে বেতন উত্তোলন করলেন কীভাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা মাদরাসার অভ্যন্তরীণ বিষয়।’ 
উপজেলা নির্বাহী অফিসার অরুণ কৃষ্ণ পাল জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ জানার পর মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে পাঠানো হয়েছিল। তবে এক দিন পর ওই শিক্ষক সুপার বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন শুনেছি। এ ছাড়া আমার বরাবরও একটি অভিযোগপত্র রয়েছে। সুপারকে বলেছি, কেন ওই বিষয়টি তিনি হাইড করেছেন, তা ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য।


সময়ের আলো/আরএস/ 




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close