প্রকাশ: সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪:৪৪ পিএম (ভিজিট : ২৭০)
হবিগঞ্জে সরকারি জায়গা দখল করে অবৈধভাবে মার্কেট নির্মাণ করছেন কতিপয় প্রভাবশালী মৎস্য ব্যবসায়ীরা। যদিও ইতিমধ্যে তাদেরকে সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে চিঠি দিয়ে নিষেধ করা হয়েছে এসব স্থাপনা নির্মাণ না করার জন্য। কিন্তু তারা সরকারি নির্দেশনায় কর্ণপাত না করে একের পর এক পাকা ভবন নির্মাণ করে চলেছেন। তারা বলছেন, সাবেক জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান (ডিসি) ২০২২ সালে তাদেরকে মৌখিকভাবে অনুমতি দিয়েছেন মার্কেট নির্মাণ করার জন্য। কিন্তু হাতে কোন কাগজপত্র না থাকায় বর্তমানে কাগজপত্র তৈরি করছেন।
এদিকে সড়ক ও জনপথ বিভাগ বলছে, আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে মৎস্য আড়তের জন্য ঘর নির্মাণের কোন নির্দেশনা আমাদের কাছে আসে নাই। উপরোন্ত যারা দোকানের জন্য ভবন নির্মাণ করছে তাদেরকে নোটিশ দিয়েছি ভবন ভেঙ্গে ফেলার জন্য। আমরা খুব শীঘ্রই উচ্ছেদ অভিযান শুরু করব।
হবিগঞ্জ শহরতলীর বাইপাস সড়কের দুই নম্বর পুল এলাকায় হবিগঞ্জ থেকে নসরতপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে মৎস্য আড়তের জন্য ঘর নির্মাণ করছেন কতিপয় মৎস্য ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে সেখানে ২০টি একতলা ভবনের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। যদিও তাদেরকে চলতি মাসে ২ সেপ্টেম্বর সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে চিঠি দিয়ে অবৈধভাবে নির্মাণ করা ভবন ভেঙ্গে ফেলার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, নির্দেশনা অমান্য করে পুরোদমে চলছে নির্মাণ কাজ। সড়ক বিভাগ বলছে, মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা রয়েছে যে, সড়ক-মহাসড়কের পাশে কোন ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করে হাট বাজার বসানো যাবে না। তাছাড়া সরকারি জায়গা দখল করে স্থায়ী ভবন নির্মাণ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
আর স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এই আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে হবিগঞ্জ থেকে ঢাকা সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যানবাহন চলাচল করে। এখানে মার্কেট হলে দুর্ঘটনার হার বেড়ে যাবে।
মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, শায়েস্থানগর এলাকার যানজট নিরসনের লক্ষে আমাদেরকে সাবেক জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান ঘর নির্মাণের অনুমতি দিয়েছেন। তবে কোন কাগজ এই মুহূর্তে নেই। কাগজপত্র তৈরি প্রক্রিয়াধীন আছে বিধায় আমরা ঘর নির্মাণ করছি।
এবিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিল মোহাম্মদ ফয়সাল সময়ের আলোকে জানান, আঞ্চলিক সড়কটি প্রশস্তকরণের প্রক্রিয়া চলছে। সেই মুহূর্তে রাতারাতি সরকারি জায়গা দখল করে অবৈধভাবে তারা ভবন নির্মাণ করছেন। আমরা মৎস্য ব্যবসায়ীদেরকে চিঠি দিয়েছি ঘর গুলো ভেঙ্গে ফেলার জন্য। এছাড়া জেলা প্রশাসকের কাছে উচ্ছেদ অভিযানের জন্য ম্যাজিস্ট্রেট চেয়ে আবেদন করেছি। খুব শীঘ্রই উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে।
সময়ের আলো/আরআই
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
যত্নে রাখুন জামদানি শাড়ি 
লেজেগোবরে জনপ্রশাসন
শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের উদ্যোক্তার শেয়ার বিক্রির ঘোষণা
হাতিয়ায় জামায়াতে ইসলামীর ব্যবসায়ী সমাবেশ
কালিহাতীতে কোটা আন্দোলনের মামলায় গ্রেফতার ৩
সোলস আমার পরিবারের একটি অংশ: তুষার
টস জিতলো ভারত, ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
ছাত্রদলের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী
স্টার কাবাবে পঁচা কাবাব পরিবেশনের প্রতিবাদ করায় সাংবাদিককে মারধর