ই-পেপার রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪
রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪

খুঁড়িয়ে চলছে শতবর্ষী ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
প্রকাশ: রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৮:০৮ পিএম  (ভিজিট : ১৮০)
ঝালকাঠির শতবর্ষী ঐতিহ্যবাহী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রয়োজনের তুলনায় অর্ধেক শ্রেণিকক্ষ, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ আর শিক্ষক স্বল্পতা নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। আট শ্রেণিতে এক হাজার ৭২০ শিক্ষার্থীর জন্য ২০টি কক্ষের প্রয়োজন হলেও শ্রেণি পাঠদানের উপযোগী আছে মাত্র ৪টি। ঐতিহ্যবাহী এই বিদ্যালয়ে ৫৩টি পদের বিপরীতে শিক্ষক রয়েছেন ৪৩ জন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯০৯ সালে ঝালকাঠির ঐতিহ্যবাহী সুগন্ধা নদীর তীরে ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ের  লেখাপড়ার মান ভালো হওয়ায় সময়ের ব্যবধানে ছাত্রদের সংখ্যা বেড়ে যায়। এ অবস্থায় পুরাতন ভবনের ১২টি কক্ষ মেরামত করার জন্য ভেঙে  ফেলায় কক্ষের সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে কোনও কোনও শ্রেণিতে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আছে। বিদ্যালয়ে দুটি শাখা থাকলেও শ্রেণিকক্ষের অভাবে স্কুলের হল রুম ও বিশেষ প্রকল্প (সেসিপ) ভবনে চলে পাঠদান। ফলে লেখাপড়ার সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকায় ব্যাহত হচ্ছে। কক্ষের অভাবে ভাঙা ভবনের টেবিল বেঞ্চসহ অন্যান্য ফার্নিচার রাখার জায়গা সংকুলান হচ্ছে না।

শহরের পূর্ব চাঁদকাঠি এলাকার বাসিন্দা মো. বাবুল হোসেন বলেন, ‘আমার সন্তান এই বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী, এখানে একাডেমিক ভবন ও শিক্ষক সংকট রয়েছে। ভবন ও শিক্ষক সংকটের বিষয়টি দ্রুত সমাধান করা জরুরি।’

ভবন ও শিক্ষক সংকটের কথা জানিয়ে ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. ইব্রাহিম খলিল বলেন, ‘আমি কিছুদিন হলো যোগদান করেছি, এসেই দেখি ভবনের জরাজীর্ণ অবস্থা। ১২টি কক্ষের মেরামতের কাজ চলছে। তাছাড়া সম্পূর্ণ স্কুল ভবন নতুন দরকার। এটা এত পুরানো যার কারণে যেকোনো সময় অফিস ও শ্রেণিকক্ষের পলেস্তারা ধসে পরে কে কখন আহত হয়। ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় মাঠে পানি জমায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ক্লাস করছে শিক্ষার্থী। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে তারা।

সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মো. ফয়সাল রহমান জসিম বলেন, ‘আমাদের স্কুলের ভবনের অবস্থা খুবই খারাপ। হঠাৎ হঠাৎ পলেস্তরা ভেঙে পড়ে, শিক্ষার্থীদের ওয়াস ব্লক ভাঙা, ফ্লোরের অবস্থা ভালো না, বৃষ্টির দিনে স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে যায়। গত বছর  থেকে ১২টি শ্রেণি কক্ষের মেরামতের কাজ চলছে। এই ১২টি শ্রেণিকক্ষ ঠিক হয় গেলে আমার সমস্যা অনেকটা কমবে।’

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. ইব্রাহিম খলিল বলেন, ‘আমাদের স্কুল প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক, বাংলা একজন, ইংরেজি একজন, গণিত দুজন, ইসলাম শিক্ষা একজন, ভৌত বিজ্ঞান একজন, ভূগোল একজন ও শারীরিক শিক্ষার একজন শিক্ষক নাই। যার কারণে অন্য শিক্ষকদের প্রতিদিন ৫-৬টি ক্লাস নিতে হয়। কর্মচারী ৭ জনে আছে ৬ জন।’ 

ভবন মেরামতের কাজ পাওয়া ঠিকাদার মো. আতিকুল ইসলাম হৃদয় বলেন, ‘আমি সড়ক দুর্ঘটনা কবলিত হয়ে হাসপাতালে ছিলাম দীর্ঘদিন, এখনো পুরোপুরি সুস্থ না। আমি সুস্থ থাকলে দ্রুত কাজ শেষ করতে পারতাম। তারপরও আমি যত দ্রুত সম্ভব কাজ শেষ করবো।’

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুনিল চন্দ্র সেন বলেন, ‘ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য নতুন একটি ভবন খুবই জরুরি। জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় বিষয়টি তুলে ধরবো।’

সময়ের আলো/আরআই


আরও সংবাদ   বিষয়:  জরাজীর্ণ ভবন-শিক্ষক সংকট   ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়  




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close