প্রকাশ: বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৭:১৬ এএম (ভিজিট : ২৩৬)
বাংলাদেশের কিংবদন্তি শিল্পী দুজন। একজন হলেন রুনা লায়লা আর অপরজন হলেন সাবিনা ইয়াসমিন। এই শিল্পীকে কোনোভাবেই তুলনা করা যাবে না। একটি ছবির গানে তারা দুজনই একসঙ্গে গেয়েছিলেন, 'তুমি বড় ভাগ্যবতী'। আসলে দুজনই ভাগ্যবতী। সাবিনা ইয়াসমিনকে বাংলাদেশের গানের পাখি বলা যায়।
তার কন্ঠের প্রতিটি গান যেন অন্তর ছুঁয়ে যায়। কী ছবিতে, কী আধুনিক বাংলা গানে। গানের সংখ্যা বলে যেমন শেষ করা যাবে না, তেমনি তার কন্ঠের মেলোডির প্রশংসা শেষ করা যাবে না। সাবিনা ইয়াসমিনের প্রতিটি গানই মানুষের মুখে মুখে। যখনই তিনি গান গেয়েছেন তখন যেন চিরন্তন হয়ে ধরা দিয়েছেন শ্রোতামনে।
সাবিনা ইয়াসমিন ছাড়া কোনো চলচ্চিত্র নির্মাণ পরিপূর্ণ হয় না, বলেছিলেন এদেশেরই স্বনামধন্য আরেক কিংবদন্তি গীতিকার পরিচালক গাজী মাজহারুল আনোয়ার। আর আরেক বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা খান আতাউর রহমান বলেছিলেন, সাবিনা ইয়াসমিনের কন্ঠ আসলে এক জাদুকরি কন্ঠ।
আসলে জাদুকরি কন্ঠের অধিকারী সাবিনা ইয়াসমিন সম্পর্কে আরেক কিংবদন্তি শিল্পী রুনা লায়লা বলেছিলেন, তার তুলনা সে নিজেই। তার কন্ঠের সঙ্গে কারও তুলনা করা যায় না।
কিংবদন্তি শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনের আজ জন্মদিন। তিনি সম্ভবত ৭১ বছরে পা দেবেন। কিন্তু তার কন্ঠ এখনও সাবলীল এক বহমান নদীর স্রোতের মতো ধাবমান। এখনও তার জাদুকরি কন্ঠ আবেশে ভরিয়ে দেয় শ্রোতামনে। জন্মদিন উপলক্ষে গতকাল সন্ধ্যায় শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনের সঙ্গে টেলিফোনে কিছুক্ষণ আলাপ হয়। তিনি প্রথমেই জানালেন, ভালো আছেন। শরীর সুস্থ আছে।
গান গাওয়া প্রসঙ্গে তিনি জানান, এখন কি গান গাওয়ার সময়? দেশের এই পরিস্থিতিতে গানও হচ্ছে না। ছবির কাজও পারতপক্ষে একেবারে নেই বললেই চলে। ছবির কাজ হলে তো গান হবে। তবে সময় হলে আবার গান গাইব। তিনি তার জন্মদিনের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন, যেন শরীর সুস্থ থাকে।
সময়ের আলো/আরএস/