ই-পেপার রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪
রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪

ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে চায় সরকার
প্রকাশ: সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৮:৪৯ পিএম  (ভিজিট : ১৮৮)
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলে আওয়ামী সরকার ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হওয়ার পর অর্ন্তবর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ঢাকা-নয়াদিল্লি সম্পর্কে টানাপোড়েন লক্ষ্য করা গেছে। তবে প্রতিবেশি রাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রক্ষা করতে চায় অন্তবর্তী সরকার। মূলত ঢাকা চায় যে বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশের সম্পর্ক দুই দেশের মানুষ কেন্দ্রিক হবে।

সোমবার ( ২ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রণালয়ে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে টানাপোড়েন এবং পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক নিবিড় হচ্ছে কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, এই দুটোর একটাকেও আমি ঠিক মানছি না। আমি মনে করি যে, কোনো এক পর্যায়ে, কোনো এক কারণে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কে একটু টানাপোড়ন ছিল। স্বাভাবিক একটা সম্পর্ক যদি উন্নীত হয়, আমাদের সবার খুশি হওয়া উচিত। আমরা তো সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই। পাকিস্তানের সঙ্গে তো এখন আমাদের শত্রুতা করে কোনো ফায়দা নেই।

ভারত ইস্যুতে উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আপনারা যদি মনে করেন একটু টানাপোড়ন চলছে, সেটা দ্বিপাক্ষিকভাবে আমাদের চেষ্টা করতে হবে সেটাকে কিনারায় নিয়ে আসা। তবে আমরা একটা কথা মনে করি, সম্পর্ক মানুষ কেন্দ্রীক হতে হবে। আসলে এমন হতে হবে যেন মানুষও মনে করে যে, সম্পর্কটা ভালো। আওয়ামী লীগের শাসনামলে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সোনালী অধ্যায়ের কথা বলা হতো। 
এই প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, সম্পর্কের সোনালী অধ্যায় ছিল দুই সরকারের মাঝে। আমরা চাই, সুসম্পর্ক থাকুক জনসাধারণের পযায়ে, মানুষ সেটাতে যুক্ত হোক। মানুষ মনে করুক, আসলে খুব ভালো সম্পর্ক। সেটা যে ছিল না এটা স্বীকার করা ভালো। মানুষের মাঝে ক্ষোভ ছিল, সেগুলো প্রশমন করা সম্ভব। দ্বিপাক্ষিক সঠিক পদক্ষেপ নেওয়ার মাধ্যমে আমি মনে করি।

ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে, তাতে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কিনা, জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এটাতো বিচার করবেন আরও অনেক পরে। তখন দেখবেন যে আমাদের কোনো ক্ষতি হয়েছে কিনা। এই মুহূর্তে আমরা একটা পরিবর্তনের ভেতর দিয়ে যাচ্ছি। এখন আপনি বিচার করতে পারবেন না, আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি কিনা। তাৎক্ষণিক আমি কোনো সমস্যা দেখছি না। 

ভারতীয় গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, ভারতীয় মিডিয়ায় যেটা হয়েছে, সেটা একেবারে মিথ্যার বেশাতীত, বাড়াবাড়ি। বিপ্লব সাধিত হওয়ার পর কিছু বিশৃঙ্খলা থাকে। এখানে একটা বিপ্লব হয়েছে। এটা মেনে নিতে হবে। কিছু বিশৃঙ্খলা ছিল, সেখানে কিছু দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। সেটা নিয়ে ভারতীয় মিডিয়া যেভাবে লেগে পড়েছিল, বিশ্ব মিডিয়ায় যারা নিরপক্ষ তারা কেউ কিন্তু ভারতীয় লাইনটাকে গ্রহণ করেনি। ভারতীয় মিডিয়া একেবাবে হাইপ সৃষ্টি করেছে। আমার মনে হয় আমরা সেই স্টেজ পার হয়ে আসছি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  এখনও দিল্লিতে আছেন কিনা বা তিনি অন্য কোথাও চলে গেলে জানতে পারবেন কিনা-এন প্রশ্নে তৌহিদ হোসেন বলেন, ওনার সঙ্গে তো আমাদের কোনো চ্যানেল (যোগাযোগ) নেই। উনি ভারতের আশ্রয়ে আছেন। যদি উনি অন্য কোনো দেশে চলে যান, সেটা তো আপনারা আমার কাছ থেকে জানতে হবে না। আপনারা নিজেই জানতে পারবেন। আপনারা যেভাবে জানবেন, আমিও হয়তো সেভাবে জানব। কারণ, এটা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পত্রপত্রিকায়, মিডিয়াতে চলে আসবে। এটা নিয়ে আমরা চিন্তা করছি না।

তিনি আরো বলেন, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে এবং পরবর্তীতে শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কে এক ধরণের টানাপোড়ন চলছিল। এটা স্বীকার করে নেওয়া ভালো। যেসব ইস্যুতে টানাপোড়ন চলছিল, সেগুলো কিন্তু এই সরকারের যে এজেন্ডা আছে বা ছাত্র-জনতার যে এজেন্ডা এসেছে, তার সঙ্গে কিন্তু সংগতিপূর্ণ। আমি চূড়ান্তভাবে কোনো দ্বন্দ্বের কোনো সুযোগ দেখিনা। তারা (পশ্চিমাদের সঙ্গে) যেসব ইস্যুতে উদ্বিগ্ন ছিল, আমাদের ছাত্ররা যেসব ইস্যুতে উদ্বিগ্ন ছিল।

সময়ের আলো/এম 




এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close