ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির রহস্যজনকভাবে পদত্যাগ
আয়ুর্বেদিক ও ইউনানী মেডিসিন অনুষদের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
প্রকাশ: শনিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৪, ১০:৫১ পিএম  (ভিজিট : ৭৭৬)
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় জামালদীতে অবস্থিত হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পদত্যাগ করেছেন। তবে কর্তৃপক্ষ জোরপূর্বক তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছেন এমন দাবি করে তাকে সপদে বহলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে আয়ুর্বেদিক ও ইউনানী মেডিসিন অনুষদের শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (৩১ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৪টায় হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় গিয়ে দেখা যায় প্রতিষ্ঠানটির প্রধান ফটোকে অবস্থান নিয়ে কয়েক'শো শিক্ষার্থী বিক্ষোভ করছে। প্রতিষ্ঠানটির একাধিক কর্মকর্তা এবং শিক্ষক আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করলেও তা অমান্য করে আন্দোলন চালিয়ে যেতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।

খবর নিয়ে জানা যায়, বেসরকারি এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ২০১৪ সালে আয়ুর্বেদিক ও ইউনানী মেডিসিন অনুষদ খোলা হয়। এই অনুষদের অধীনে ব্যাচেলর অব ইউনানী মেডিসিন ও সার্জারি এবং ব্যাচেলর অফ আয়ুর্বেদিক মেডিসিন ও সার্জারি নামে দুটি বিভাগ খোলা হয়। প্রতি সেশনে ৫০ জন করে দুটি বিভাগে ১০০ জন শিক্ষির্থী ভর্তি হবার সুযোগ পায়। তবে কোর্স দুটি চালু করার পর থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো শিক্ষার্থী ডিজি হেলথ থেকে রেজিস্ট্রেশন পায়নি। এমতাবস্থায় শিক্ষাজীবন পার করেও চাকরি পাচ্ছে না প্রতিষ্ঠানটি থেকে পাশ করা শিক্ষার্থীরা এবং অনিশ্চয়তা জীবন কাটাছে  প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান শিক্ষার্থীদের।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে অলরেডি পাঁচটি ব্যাচ পাশ করে বেরিয়ে গেছে। বর্তমানে আমাদের প্রায় ২ শতাধিক শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অন্ধকার। পাস করার পরেও আমরা ডিজি হেলথ থেকে রেজিস্ট্রেশন নাম্বার পাচ্ছিনা ফলে নামের পূর্বে ডাক্তার পদবী যোগ করতে পারছি না আমরা। পাশাপাশি রেজিস্ট্রেশন না থাকায় আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে পাশ করা শিক্ষার্থীদের চাকরি দিচ্ছে না বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এটি নিয়ে ২০২২ সাল থেকে আমরা আন্দোলন করছি। বিষয়টির সমাধানে ডিজি হেলথ বরাবর আমরা লিখিত আবেদন করি। আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে গত বছরের অক্টোবরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয় তারা। কিন্তু চিঠি দেওয়ার প্রায় এগারো মাস পার হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোন তৎপরতা দেখতে পাইনি আমরা। সম্প্রতি আমাদের ভিসি অধ্যাপক ড. ফারুক উজ জামান চৌধুরী স্যার আমাদের পক্ষে দাঁড়ান। তিনি আমাদের সব ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। শনিবার আড়াইটার দিকে শুনতে পেলাম তিনি পদত্যাগ করেছেন। আমরা নিশ্চিত তিনি আমাদের পক্ষে দাঁড়ানোর কারণে জোরপূর্বক তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। আমরা তাকে সপদে বহাল এবং আমাদের রেজিস্ট্রেশন নাম্বারের দাবিতে আন্দোলন করছি।

আরেক শিক্ষার্থী সজল দাশ গুপ্ত বলেন, 'ইউনানী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. খাইরুল আলম ও আয়ুর্বেদিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. বাবুল আক্তার স্যার মনে হয় চান না আমরা রেজিস্ট্রেশন পাই। প্রথম থেকে তাদের ভূমিকা ছিল রহস্যজনক। আজকে ভিসি স্যারের পদত্যাগের মাধ্যমে এটা প্রমাণিত হয়ে গেলো তারা দুজন সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছেন। অজ্ঞাত স্থানে বসিয়ে জোরপূর্বক স্যারের কাছ থেকে পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে। সেই পদত্যাগ পত্র ইমেইলে পাঠিয়ে সাধারণ ছাত্রদের বোঝানো হচ্ছে তিনি পদত্যাগ করেছেন। আমরা ভিসি স্যারকে স্বপদে বহালের দাবি জানাচ্ছি। অনতিবিলম্বে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে না নেওয়া হলে আমরা আরো কঠোর কর্মসূচি দিব।

বিষয়টি সম্পর্কে তার বক্তব্য জানতে বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিসি প্রফেসর ড. ফারুক উজ জামান চৌধুরীর মুঠোফোনে একাধিক বার কল করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে ব্যাচেলর অফ আয়ুর্বেদিক মেডিসিন এন্ড সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. বাবুল আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের পক্ষে। একটি ভুল বোঝাবুঝির কারণে তার আন্দোলন করছে। বিষয়টির শান্তিপূর্ণ সমাধানে চেষ্টা করছি আমরা।

সময়ের আলো/জিকে




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close