ই-পেপার রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪
রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪

রাজনৈতিক-চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ চায় না পররাষ্ট্র
প্রকাশ: বুধবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৪, ৩:১০ এএম আপডেট: ২৮.০৮.২০২৪ ২:৩৪ পিএম  (ভিজিট : ৪৫৬৭)
পররাষ্ট্র সচিবের পদমর্যাদা মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সমান হতে হবে। রাষ্ট্রদূত/হাইকমিশনার পদে ৯০-১০০ শতাংশ বিসিএস পররাষ্ট্র ক্যাডারের পেশাদার কূটনীতিক কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে নিয়োগ দিতে হবে। সব ধরনের রাজনৈতিক-চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বন্ধ করতে হবে। কারা প্রটোকল পাবেন সেটির সুস্পষ্ট গাইডলাইন লাগবে। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগকে আবশ্যিকভাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিয়ে আসতে হবে।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর দেশের সব স্তরে যখন সংস্কারের ঢেউ লেগেছে তখন পররাষ্ট্রের কর্মকর্তারাও তাদের মন্ত্রণালয়ে সংস্কার করতে চান। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংস্কার বিষয়ে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএসএ) কর্মকর্তারা গত ২৫ আগস্ট বিশেষ বৈঠক করে এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আগামী এক সেপ্টেম্বর তাদের এই প্রস্তাবনা পররাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে উপস্থাপনের কথা রয়েছে।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, ‘জাতীয় স্বার্থ এবং পরিবর্তিত জাতীয় ও বৈশি^ক পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রক্ষা করে আধুনিক পররাষ্ট্র নীতি বাস্তবায়নে পররাষ্ট্র সার্ভিস এবং পররাষ্ট্র ক্যাডারদের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ’ শীর্ষক বিএফএসএর কর্মকর্তাদের গত ২৫ আগস্ট বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ইজিএম সভায় পররাষ্ট্র সার্ভিস এবং পররাষ্ট্র ক্যাডার কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে মন্ত্রণালয়ের সব কর্মকর্তার দেওয়া সংস্কার প্রস্তাবগুলোর প্রশংসা করা হয়। কর্মকর্তারা ব্যাচভিত্তিক এবং ব্যক্তি পর্যায়ে সংস্কার প্রস্তাবগুলো কমিটির কাছে জমা দেন। সভায় বলা হয় যে সংস্কার প্রশ্নে কর্মকর্তাদের প্রস্তাবগুলো চূড়ান্তভাবে যাচাই-বাছাই করে আগামী ১ সেপ্টেম্বর পররাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে উপস্থাপন করা হবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংস্কার প্রশ্নে কর্মকর্তারা তাদের দেওয়া প্রস্তাবে বলেন, ফরেন সার্ভিস আইন উপধারায় প্রস্তাব করা হয়, ১৯৬২ সালে প্রণীত ফরেন সার্ভিস রুলস এবং পরবর্তী সময়ে প্রণীত ফাইন্যান্সিয়াল গাইডলাইন্স ফর বাংলাদেশ মিশনস এব্রোড বর্তমান যুগের চাহিদা মেটাতে সক্ষম নয়। কর্মকর্তাদের অডিট আপত্তির কবলে পড়া থেকে রক্ষা করতে আর্থিক বিধিগুলো হালনাগাদ করা একান্ত প্রয়োজন। দূতাবাসের অকূটনৈতিক উইংয়ের অনুমোদন, স্থাপন, কর্মকর্তা নিয়োগ ইত্যাদি ক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার শক্তিশালী করতে হবে। জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট ইস্যুতে হুইসেলব্লোয়ারদের আইনি নিরাপত্তা দিতে হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারভুক্ত কর্মপরিধির অধিকতর আইনি কর্তৃত্ব, স্পষ্টতা এবং প্রয়োগযোগ্যতা প্রদান করতে হবে।

ফরেন সার্ভিস বোর্ড ইস্যুতে প্রস্তাব করা হয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজ পদায়ন এবং এখতিয়ারগত ধরন, প্রকৃতি অন্য সব মন্ত্রণালয়ের কাজের ধরন থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হওয়ার কারণে ফরেন সার্ভিসের জন্য স্বতন্ত্র বোর্ড করার যৌক্তিকতা থেকে যায়। সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের পরিবর্তে ফরেন সার্ভিস বোর্ডের সুপারিশের ভিত্তিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী-উপদেষ্টা এবং প্রধানমন্ত্রী-প্রধান উপদেষ্টার সানুগ্রহ অনুমোদন নিয়ে পররাষ্ট্র ক্যাডার কর্মকর্তাদের পদোন্নতি সম্পন্ন হবে। ফরেন সার্ভিস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং দূতাবাস সম্পৃক্ত সব প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত দেওয়ার অধিকার রাখবে। দূতাবাসের অকূটনৈতিক উইংসমূহে পদায়িত পররাষ্ট্র ক্যাডারবহির্ভূত কর্মকর্তারা ফরেন সার্ভিস বোর্ডের প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের আওতাভুক্ত হবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী-উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র সচিব, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও প্রয়োজনক্রমে অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের উপযুক্ত প্রতিনিধি দলের উপস্থিতিতে ফরেন সার্ভিস বোর্ড গঠিত হতে পারে।

স্বতন্ত্র পদায়ন নীতিমালা এবং ক্যারিয়ার প্ল্যানিং প্রণয়ন ইস্যুতে প্রস্তাব করা হয়, পররাষ্ট্র ক্যাডার কর্মকর্তাদের মন্ত্রণালয় এবং দূতাবাসে পদায়নের ক্ষেত্রে সুযোগের সমতা বিধান এবং সব কর্মকর্তার বিকাশের সুযোগ রেখে কর্মজীবন পরিকল্পনা নীতি প্রণয়ন করা যেতে পারে। পূর্ণ পেশাদারিত্ব বজায় রাখতে পররাষ্ট্র ক্যাডারবহির্ভূত কর্মকর্তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং দূতাবাসে ডেপুটেশন রহিতকরণ করতে হবে। কোনো কর্মকর্তাকে পদায়নের আগে মূল্যায়নের জন্য পূর্ববর্তী তিনজন কর্মকর্তার নিরপেক্ষ অভিমত গ্রহণ করতে হবে। মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন অনুবিভাগের অধীনে একটি পৃথক মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা শাখা প্রতিষ্ঠা করতে হবে, যা কেবল কর্মকর্তাদের বদলি, প্রশিক্ষণ, পদায়ন ও প্রেষণের রেকর্ড সংরক্ষণ করবে।

রাষ্ট্রদূত-হাইকমিশনার পদে নিয়োগ এবং রাজনৈতিক নিয়োগ ইস্যুতে প্রস্তাব করা হয়, রাষ্ট্রদূত-হাইকমিশনার পদে ৯০-১০০ শতাংশ বিসিএস পররাষ্ট্র ক্যাডারের পেশাদার কূটনীতিক কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে নিয়োগ দিতে হবে। মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব থেকে মহাপরিচালক/অতিরিক্ত সচিব এবং দূতাবাসে তৃতীয় সচিব থেকে মিনিস্টার পদে সব রাজনৈতিক-চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ রহিতকরণ করতে হবে। দূতাবাসে সংস্কার ইস্যুতে প্রস্তাব করা হয়, আমাদের মিশন, আমাদের জনবল এবং একটি বাজেট। বিদেশে অবস্থিত মিশনগুলোতে সব ধরনের পদের পদায়ন ও বদলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হাতে থাকবে। এমনকি কূটনৈতিক উইং বাদে অন্য উইংয়ে পদায়নের নিমিত্ত যাচাই-বাছাই কমিটির প্রধান হবেন মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক বা অতিরিক্ত সচিব। এ ক্ষেত্রে নিজ নিজ মন্ত্রণালয় কর্তৃক কর্মকর্তাদের প্রাথমিক বাছাইয়ের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চূড়ান্ত বাছাই করবে। পররাষ্ট্র ক্যাডার কর্মকর্তা ব্যতীত কাউকে দূতালয় প্রধান করা যাবে না। সব উইংয়ে কমপক্ষে ৫০ ভাগ পদে পররাষ্ট্র ক্যাডার থেকে পদায়ন করতে হবে। সব উইংয়ের কর্মকর্তাদের মিশনে পদায়নের আগে ফরেন সার্ভিস একাডেমি থেকে বাধ্যতামূলক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে। মিশন পরিচালনার ক্ষেত্রে সব উইংয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক আওতাধীন থেকে কাজ করাই যৌক্তিক। দূতাবাসে পালিত অন্যান্য দিবসের সংখ্যা সীমিত করতে হবে। একই সঙ্গে আর্মড ফোর্সেস ডে’র অনুরূপ প্রতি বছর ‘ফরেন সার্ভিস ডে’ পালন করতে হবে। শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র আইন-২০১৮ অনুসারে সংশ্লিষ্ট দূতাবাসে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র স্থাপন বা অফিস সময়ে শিশু পালনের জন্য আয়া নিয়োগ দিতে হবে।

দূতাবাসে সুনির্ধারিত প্রটোকল গাইডলাইন ইস্যুতে প্রস্তাব করা হয়, বিদেশে বাংলাদেশের মিশনসমূহে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, হাইকোর্ট এবং সরকারি সংস্থাগুলো থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রটোকল দিতে হবে। কিন্তু মিশনগুলোতে প্রটোকলের জন্য পর্যাপ্ত তহবিল, জনবল এবং যানবাহনের অভাব রয়েছে। এ ছাড়া কোন পর্যায়ের কর্মকর্তারা প্রটোকল পেতে পারেন সে বিষয়ে কোনো নির্দেশনা নেই। অনেক সময় স্বল্প নোটিসে প্রটোকল চাওয়া হয়। সুযোগ-সুবিধা মনমতো না হলে অনেকে উষ্মা প্রকাশের পাশাপাশি ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। এ জন্য একটি প্রটোকল গাইডলাইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন। দূতাবাসে কনস্যুলার-লেবার-ইকোনমিক উইং সম্পর্কিত সংস্কার ইস্যুতে প্রস্তাব করা হয়, দূতাবাসের উইংয়ের নাম পরিবর্তন করে সেকশন রাখা যেতে পারে। নিজ নিজ মন্ত্রণালয় থেকে প্রেরিত সব নির্দেশনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মিশনপ্রধান বরাবর প্রেরণ করতে হবে। মিশনপ্রধান পরবর্তী নির্দেশনা জারি করবেন। হেড অব মিশনকে না জানিয়ে কোনো রিপোর্ট প্রেরণ করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

মিশন উপপ্রধান ইস্যুতে প্রস্তাব করা হয়, সব মিশন উপপ্রধান পদ সৃষ্টি করতে হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস ইস্যুতে প্রস্তাব করা হয়, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ আবশ্যিকভাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিয়ে আসতে হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৩-৪টি বিভাগ থাকতে পারে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ল অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের ওপর পূর্ণ প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ থাকতে হবে। এলোকেশন অব বিজনেস, রুলস অব বিজনেসের সংস্কার করতে হবে। পাসপোর্ট ও ভিসা উইং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকতে হবে। কূটনৈতিক পাসপোর্ট দেওয়ার ক্ষমতা পররাষ্ট্র ক্যাডারের হাতে থাকতে হবে।

পদোন্নতি জট দূরীকরণ ইস্যুতে প্রস্তাব করা হয়, শূন্য পদ থাকা সাপেক্ষে নিয়মিত পদোন্নতি দিতে হবে। সব পর্যায়ে যৌক্তিক সংখ্যক পদ সৃষ্টি করতে হবে। পদক্রম ইস্যুতে প্রস্তাব করা হয়, পররাষ্ট্র সচিবের পদমর্যাদা মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মহাপরিচালকের মর্যাদা যুগ্ম সচিব এবং পরিচালকের মর্যাদা উপসচিবের সমান হতে হবে।

পররাষ্ট্র সচিব ইস্যুতে প্রস্তাব করা হয়, পররাষ্ট্র সচিব পদে নির্দিষ্ট কোনো কর্মকর্তার মেয়াদ সর্বোচ্চ ২-৩ বছরে সীমিত করতে হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং দূতাবাসে কূটনৈতিক উইংয়ে অন্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তার ডেপুটেশন রহিতকরণ ইস্যুতে প্রস্তাব করা হয়, সদর দফতর এবং দূতাবাসের কূটনৈতিক উইংয়ে পররাষ্ট্র ক্যাডারের বাইরে অন্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের ডেপুটেশনে নিয়োগ স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে হবে। জনকূটনীতি অনুবিভাগের সব কার্যক্রম পররাষ্ট্র ক্যাডারদের দিতে হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর একান্ত সচিব পদে পররাষ্ট্র ক্যাডার কর্মকর্তা নিয়োগ করতে হবে।

কর্মকর্তাদের বদলি ইস্যুতে প্রস্তাব করা হয়, একজন কর্মকর্তাকে পর্যায়ক্রমে সব বিভাগে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। প্রশিক্ষণ, সেমিনার বা ভাষা কোর্সের জন্য সবাইকে সমান সুযোগ দিতে হবে। সহকারী সচিব-সিনিয়র সহকারী সচিবদের ছয় মাস অন্তর ডেস্ক রোটেশন করতে হবে। পররাষ্ট্র সচিবের পরিচালক পদে এক বছর পরপর পরিবর্তন আনতে হবে। পরপর দুই মেয়াদে রাষ্ট্রদূত-মিশনপ্রধানের দায়িত্ব পালন শেষে সদর দফতরে বদলি করতে হবে।

সদর দফতরের সংস্কার ইস্যুতে প্রস্তাব করা হয়, মন্ত্রণালয়ের স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। আধুনিক ওয়েবসাইট বানাতে হবে। বিভিন্ন উইংয়ের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। লিগ্যাল অ্যাফেয়ার্সে জনবল বাড়াতে হবে এবং খণ্ডকালীন পেশাদার আইনজ্ঞ নিয়োগ দিয়ে দ্রুত অভিযোগগুলোর নিষ্পত্তি করা উচিত। এ ছাড়াও ক্যাডার সক্ষমতা বৃদ্ধি, সদর দফতরে নতুন উইং সৃজন ও মিশন সংখ্যা বৃদ্ধিসহ আরও একাধিক ইস্যুতে প্রস্তাব পেশ করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।


সময়ের আলো/আরএস/ 







https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close