প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৪, ৮:২৯ পিএম আপডেট: ২৭.০৮.২০২৪ ৮:৩০ পিএম (ভিজিট : ২৭৩)
বৈষম্য বিরোধী কোটা আন্দোলনে শহীদ কলেজ ছাত্র নাইমের শোকে এখনও শোকে মুহ্যমান তার পরিবার। নাইমের কথা বলতেই অঝোরে কান্না করেন বাবা-মা। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) শিল্পকলা একাডেমী হলরুমে ঝালকাঠি জেলা জামায়াত আয়োজিত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে শহীদ পরিবারের মধ্য থেকে বক্তৃতাকালে শোকার্ত বাবার কণ্ঠে ছেলে হারানোর আর্তনাদ।
বক্তৃতাকালে নিহত কলেজছাত্র নাইমেরা বাবা কামরুল ইসলাম কান্না জড়িত কণ্ঠে জানান, ‘আমার পুত্র ঢাকায় পড়াশুনা করতো। সংবাদ আসে ছেলে গুলিবিদ্ধ। সংবাদ পাওয়া মাত্রই যেন আকাশ ভেঙে মাথায় পড়লো, বুকটা খুব ভারী হয়ে গেলো। কোন কিছু চিন্তা না করেই ঢাকার উদ্দেশ্যে ছুটলাম। ঢাকা মেডিকেল কলেজে গিয়ে স্টাফদের সাথে আলাপ করলাম। তারা আমাকে লাশ ঘরে নিয়ে গেলো। সেখানে ৭টি মৃতদেহ দেখালো। ওখানে নাইমকে পেলাম না। ভাবলাম হয়তো গুরুতর আহতাবস্থায় কোন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।’
‘তবুও স্টাফদের কাছে আবার জিজ্ঞাসা করলাম মৃতদেহ এ কয়টিই এখানে, নাকি আরও আছে? তারা জানালো আরও ৩টা আছে তা আপনাকে দেখানো হয়নি। নিয়ে গেলো সেই তিনটার কাছে। প্রথমটা দেখলাম, সেটা না। দ্বিতীয়টা দেখলাম, সেটাও না। তৃতীয়টা দেখানো মাত্রই নাইমকে পেলাম। পুরো শরীর রক্তে ভেজা। ফ্লোরে রক্তে লাল হয়ে গেছে। স্টাফরা জানালো, আর কিছুক্ষণ পরেই আমরা মর্গে নিয়ে পোস্টমর্টেম করতাম। এরপর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে লাশ বুঝে নিয়ে বাড়িতে আসতেই এলাকাবাসীর ভিড় হতে থাকে।’
বক্তৃতা চলাকালে কান্নায় ভেঙে পড়েন শহীদ নাইমের বাবা। এসময় তিনি বাকী কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
জানা গেছে, ঝালকাঠি সদর উপজেলার শেখেরহাটে পারিবারিক গোরস্থানে শহীদ নাইমকে দাফন করা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জামায়াতের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার তাকে জড়িয়ে ধরে কোলাকুলি করেন এবং শান্তনা দেন। শোকার্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
সময়ের আলো/আরআই