নওগাঁয় মিথ্যা ষড়যন্ত্র ও হত্যার পরিকল্পনা থেকে বাঁচতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী জুমাতুল এম ইসলাম সৌরভ।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে শহরের কাজীর মোড় তার বাসায় সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন- নওগাঁ মেডিকেল কলেজ এর প্যাথলজি
বিভাগের কিউরেটর ডাক্তার আবু জার গাফ্ফার তার ভগ্নীপতি (বড় বোন নুরে
ই-আফসানা জেরির স্বামী)। তিনি একজন মুখোশধারী ও ভূমিদস্যু। আমার পৈত্রিক
সম্পত্তি অবৈধ ভাবে দখলের জন্য ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে একাধিক বার আমাকে
হত্যা চেষ্টা করেছেন।
কয়েক বছর আগে বাবা মারা গেছে। তারপর তারা
স্বামী-স্ত্রী মিলে যোগসাজশ করে আমার মাকে কৌশলে তাদের বাসায় নিয়ে রাখেন।
নওগাঁ শহরে একাধিক আবাসিক ভবন এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ভাড়া আদায়ের
দায়িত্বে ছিলেন আমার মা। কিন্তু মা ভগ্নীপতির বাসায় যাওয়ার পর থেকে ভাড়ার
টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেয়। গত ২৮ মাসের ভাড়ার হিসেবে প্রায় দেড় কোটি টাকা
আমার মায়ের কাছে জমা হয়। আমি টাকা চাইতে গেলে ভগ্নীপতির কু-পরামর্শে এবং
তার অসৎ উদ্দেশ্যে মাকে বাদী করে আমার নামে চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা দেয়।
ওই মামলায় আমাকে ২১ দিন জেল খাটতে হয়েছে। সর্বশেষ গত ৫ আগস্ট আমাকে হত্যার
চেষ্টা করা হয়।
তিনি অভিযোগ করে বলেন- আবু জার গাফ্ফার ডাক্তার পদবী
ব্যবহার করে অর্থের বিনিময়ে কিছু ব্যক্তিবর্গ ও প্রশাসন দিয়ে তার মতো করে
কাজ করাচ্ছেন এবং প্রতিনিয়ত হয়রানি করে আমার পৈত্রিক সম্পদ দখলের চেষ্টা
করছেন। আমি আমার পরিবার নিয়ে প্রাণের সংশয়ে আছি। বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত
সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবী জানান তিনি।
তিনি আরও
বলেন, কিছুদিন পরে আমার পরিচয়পত্র এবং আমার স্বাক্ষর নকল করে আমার সম্পত্তি
নামজারি করার আবেদন করেন ভূমিদস্যু ডাক্তার, পরে আমি তা জানতে পেরে সেই
আবেদনটি বাতিল করি। আমার নামে সে বিভিন্ন জায়গায় মিথ্যা গুজব ছড়ায়, যে আমি
নাকি মাদক সেবী, এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মিথ্যার মধ্যে একটি। আমার ডোপষ্টেট
করে দেখতে পারেন। সে একজন ডাক্তার হলেও তিনি প্রকৃতপক্ষে একজন মুখোশধারী
ভূমিদস্যু, আমার পৈতৃক সম্পত্তি অবৈধ ভাবে দখলের জন্য ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী
দিয়ে একাধিক বার আমাকে হত্যা চেষ্টাসহ এমন কোন ষড়যন্ত্রেই যে তিনি করেনি।
মুখোশধারী ভূমিদস্যু গাফ্ফার ডাক্তার হওয়ার সুবাদে অর্থের বিনিময়ে কিছু
রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও কতিপয় প্রশাসনকে ব্যবহার করে আমাকে প্রতিনিয়ত
হয়রানি করে আমার পৈত্তিক সম্পদ দখলের চেষ্টা করছে। এখনো আমি আমার পরিবার
এবং আমার প্রাণের সংশয়ে আছি। আমি ও আমার পরিবার সকলস্তরের প্রশাসনের
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও সচেতন মহলের সহযোগিতা কামনা করছি সেই সাথে মুখোশধারী
ভূমিদস্যু ডাক্তার গাফ্ফারের আমার সাথে করা সকল অন্যায়ের সুষ্ঠু তদন্ত
সাপেক্ষে বিচারের দাবী করছি। এসময় ভুক্তভোগীর ছেলে ও চাচাসহ স্বজনরা
উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে নওগাঁ মেডিকেল কলেজ এর প্যাথলজি বিভাগের
কিউরেটর ডাক্তার আবু জার গাফ্ফার বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা
হয়েছে তা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। বরং শ্যালক সৌরভ আমার বিরুদ্ধে অন্তত ২৫-২৬
টি মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। যার ১০ টি মামলার ডিগ্রী আমার পক্ষে রয়েছে।
সময়ের আলো/এএ/