ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে ফটিকছড়ি, ভেসে উঠছে ক্ষত
প্রকাশ: শনিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৪, ৬:৪২ পিএম  (ভিজিট : ৬৪০)
গত বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টি বন্ধ। ফলে চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে বন্যা পরিস্থিতির ক্রমেই উন্নতি হচ্ছে। লোকালয় থেকে পানি ক্রমেই নিচের দিকে নামছে। এরই মধ্যে ভেসে উঠছে ভয়াবহ বন্যার যত ক্ষত। সাধারণ মানুষ এসব ক্ষত দেখে চিন্তিত। আজ বা কালের মধ্যে সব পানি সরবে বলে লোকজনের ধারণা।

শনিবার (২৪ আগস্ট) সরজেমিনে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বন্যা কবলিত গ্রামগুলো থেকে পানি নেমে যাওয়ায় মানুষ তার আপন নীড়ে ফিরছে। অনেকে ঘরে ঢুকে আসবাবপত্র পরিষ্কার ও শুকানোর কাজ করছে। পূর্ব-ফরহাদাবাদ, নাজিরহাট পৌরসভা, সুয়াবিল, সুন্দরপুর, নারাণহাট, দাঁতামারা, বাগান বাজার ও পাইন্দংসহ প্লাবিত নিচু এলাকার বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যত ক্ষতগুলো সবই দৃশ্যমান হচ্ছে। কারও থাকার ঘর, কারও আবার রান্না ঘর। কারও কারও পুরো ঘর বিলীন হয়ে গেছে বন্যায়। এসব এলাকার বিভিন্ন দোকানেও পানি প্রবেশ করে ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে অনেক। অনেকের চাষের মাছ, মুরগির খামার, খেত ও বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারের ব্যবসা-বাণিজ্য। খুলছে দোকানপাট। একই সঙ্গে উপজেলা জুড়ে সড়কগুলোতে গতি ফিরছে। চলছে যাবতীয় যানবাহন।

বিবিরহাট বাজারের ব্যবসায়ী মো. শহীদুল আলম বলেন, ‘কয়েকদিন ঘর থেকে বের হইনি। নির্ঘুম রাত কাটিয়েছি। ঘরের চারপাশে ছিল পানি আর পানি। অনেকে বুক সমান পানিতে এসে খাবার দিয়ে গেছে। এখন পানি কমায় ঘরের জিনিসপত্র রোদে শুকাতে দিচ্ছি।’

সুন্দরপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. আবু তৈয়ব বলেন, ‘এলাকার কয়েকশ ঘর পানিতে ডুবে ছিল। গত শুক্রবার রাত থেকে পানি সরতে শুরু করলে অনেকের ঘর আস্তে আস্তে ধসে যাচ্ছে। কারও দেয়াল ভেঙে গেছে। গ্রামের প্রায় রাস্তাঘাটের ছোট-বড় ক্ষতি হয়েছে। বিশাল এ ক্ষতি সরকার কিভাবে পোষাবে এটি নিয়ে তিনি চিন্তিত।’

হালদা পাড়ের বাসিন্দা মো. শাহজাহান ঘর হারিয়ে দুশ্চিন্তায়। কিভাবে কী করবেন। সব যেন শেষ তার। তিনি বলেন, ‘ভাঙা বাঁধ দিয়ে আমার ঘরের ওপর হয়ে পানি যাচ্ছে। এ দৃশ্য অবর্ণনীয় অকল্পনীয়।’

নাজিরহাট বাজারের ব্যবসায়ী মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘বন্যায় চারদিন ধরে ব্যবসা বন্ধ। অনেকের দোকানের সব জিনিসপত্র ভিজে গেছে। কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, এখনি বলা যাচ্ছে না। সবই আল্লাহর ফায়সালা।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘সীমিত সামর্থ্যের মধ্যে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি দুর্গতদের সেবা দিতে। ত্রাণ বিতরণ ও জানমাল উদ্ধারে সেনাবাহিনী ও প্রশাসন সরাসরি কাজ করছে। তবে কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে সেটি তালিকা না করে বলা যাচ্ছে না। স্বেচ্ছাসেবীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দুর্গতদের জন্য দুই হাত ভরে সাহায্য এক অভাবনীয় মানবিক দেশের প্রতিচ্ছবি দেখাচ্ছেন তারা।

সময়ের আলো/আরআই


আরও সংবাদ   বিষয়:  বন্যা পরিস্থিতি-উন্নতি   বন্যার ক্ষত চিহ্ন   ফটিকছড়ি-চট্টগ্রাম  




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close