ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

সপ্তাহের মধ্যে তিনবার ডুবল চট্টগ্রাম, কাপ্তাই বাঁধ খোলার পরিস্থিতি হয়নি
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২২ আগস্ট, ২০২৪, ৮:৪০ পিএম  (ভিজিট : ৪৭৪)
ভারি বর্ষণে এক সপ্তাহের মধ্যে বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) তৃতীয়বারের মতো ডুবেছে চট্টগ্রাম মহানগরী। নগরীর নিচু এলাকা জলমগ্ন হওয়ায় দিনভর দুর্ভোগে পোহান নগরবাসী। নগরীর বেশিরভাগ বড় বড় সড়ক কোমর পানিতে তলিয়ে ছিল। ভোর থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত থেমে থেমে ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বিকেল ৩টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৫৮ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এর মধ্যে সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ৭২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। 

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ উজ্জল কান্তি পাল সময়ের আলোকে বলেন, সমুদ্র বন্দরগুলোর জন্য কোন সতর্ক সংকেত নেই। মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তবে বৃষ্টিপাতের মাত্রা কমে আসবে। 

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মুরাদপুর থেকে বহদ্দারহাট পর্যন্ত কোমর পানি। চরম দুর্ভোগের মধ্যে লোকজন চলাফেরা করেছেন। পানি প্রবেশ করায় সড়কের দুই পাশের দোকাটপাট দিনভর বন্ধ ছিল। নিচু এলাকার বাসা বাড়িতেও ছিল কোমর পানি। কাতালগঞ্জ, বাকলিয়া, মুরাদপুর, ষোলশহর দুই নম্বর গেট, চকবাজার এলাকার সড়কগুলোতেও ছিল কোমর সমান পানি। এসব সড়কে কেউ হেঁটে কেউ রিকশায় করে গন্তব্যে যাচ্ছেন। বৃষ্টির সময় টইটম্বুর পানিতে নিমজ্জিত এলাকার চেনা পথঘাটের চিত্রই পাল্টে যায়। এসব এলাকা ছাড়াও নগরীর ষোলশহর, আগ্রাবাদ, সিডিএ আবাসিক, হালিশহর এলাকার সড়ক কোমর সমান পানিতে তলিয়ে যায়। 

অপরদিকে বহদ্দারহাট থেকে কালুরঘাটগামী সড়কের মোহরা ও সিঅ্যান্ডবি অংশের সড়ক দিনভর নিমজ্জিত ছিল পানিতে। বিকেল ৫টার পর পানি নেমে গেলে এসব সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।  

এদিকে রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাইয়ে অবস্থিত দেশের একমাত্র পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের গেট ছাড়া হবে বা খুলে দেয়ার খবরে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গেট খোলা নিয়ে নানা তথ্য পোস্ট করা হয়। তবে এখনো বাঁধের গেট খুলে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি হয়নি বলে কেন্দ্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। 

কাপ্তাইয়ে অবস্থিত কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ এ টি এম আবদুজ্জাহের সময়ের আলোকে বলেন, কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাঁধ খুলে দেয়ার মতো পরিস্থিতি এখনো সৃষ্টি হয়নি। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বিকেল ৫টা পর্যন্ত বাঁধে পানির লেভেল ছিল ১০৪ এমএসএল (মিনস সি লেভেল)। ১০৮ বা ১০৯ এমএসএলে পৌঁছলে কেবল বাঁধের গেট খুলে দেয়ার বিষয় চিন্তা করা হবে। 

তিনি বলেন, গেট খোলা হলে আগেই জানিয়ে তা করা হবে। আরও ৪/৫ দিন টানা বৃষ্টিপাত হলেই কেবল গেট খোলা হবে। পরিস্থিতি উন্নতি হলে গেট খোলার প্রয়োজন হবে না। এই নিয়ে গুজব ছড়ানো কিংবা উদ্বিগ্ন হওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। 

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার বাসিন্দা আজিজুল হক বলেন, এই উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে। উপজেলা সদরে হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাঁধ খুলে দেয়া হতে পারে এমন খবরে আমরা আতঙ্কে আছি। কারণ বাঁধ খুলে দেয়া হলে চট্টগ্রামের বিরাট অংশ পানির নিচে তলিয়ে যাবে। 

সময়ের আলো/আরআই


আরও সংবাদ   বিষয়:  ভারী বৃষ্টি-পাহাড়ি ঢল   ডুবল চট্টগ্রাম নগরী   কাপ্তাই বাঁধ  




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close