ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

হাটহাজারীতে পানিবন্দী ২ লাখ মানুষ, শূন্য পড়ে আছে আশ্রয়কেন্দ্র
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২২ আগস্ট, ২০২৪, ৭:৫১ পিএম  (ভিজিট : ২৪৬)
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে টানা কয়েক দিন বৃষ্টি ও ভারী বর্ষণের ফলে পাহাড়ি ঢলের তোরে উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বিভিন্ন এলাকায় বাড়িঘর ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে দুই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ে জনদুর্ভোগে চরম আকার ধারণ করেছে।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুরের দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার পূর্ব মেখল খোয়াজ চৌধুরী বাড়ি সামনে থেকে মেখল মাদ্রাসা রোডটি পানির নিচে ডুবে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। যার কারণে সদর থেকে ওই সড়ক হয়ে দক্ষিণ মেখল, গড়দুয়ার, পুর্ব মেখল বাদামতল, কামদরআলী হাটসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের জনসাধারণের চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। গড়দুয়ারা ইউনিয়নের ড. শহীদুল্লাহ একাডেমি, মোহাম্মদপুর, ছিপাতলী, গুমাণমর্দ্দন, নাঙ্গলমোড়ার বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়েছে। পৌরসভার মুন্দরীছড়ার ভাঁঙ্গা বেড়িবাঁধ দিয়ে পাহাড়ি ঢলের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে ৮নং ওয়ার্ডের মিরেরখীল গ্রাম ও মীর রোড প্লাবিত হয়ে এলাকার বিভিন্ন বাড়ি ঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। 

এছাড়া কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির ফলে উপজেলার ফরহাদাবাদ, ধলই, মির্জাপুর, ছিপাতলী, নাঙ্গলমোড়া, গুমানমর্দ্দন, গড়দুয়ারা, উত্তর ও দক্ষিণ মাদার্শা, শিকারপুর, বুড়িশ্চর ও হাটহাজারী পৌরসভার কিছু কিছু এলাকা বন্যায় প্লাবিত হওয়ায় বাড়িঘর ও যাতায়াতে সড়কের ওপর পানি থাকায় দিনমজুর ও নিম্নআয়ের মানুষজন বিপাকে পড়েছেন। বন্যার পানিতে আমান ধান, মৎস্য খামার-পুকুর তলিয়ে গেছে। 

পৌর সদরের কামালপাড়া সড়কের মাথায় দাঁড়িয়ে বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুরের দিকে হাটহাজারী সরকারি কলেজের ৭/৮ জন শিক্ষার্থীদের বন্যা কবলিত মানুষদের সাহায্যার্থে চাঁদা তুলতে দেখা গেছে। বেলা দুইটার দিকে পৌর সদরের ব্যস্ততম কাচারি সড়ক প্রায় লোকজন শূন্য দেখা যায়।

উপজেলার ১২ নং চিকনদন্ডী ইউনিয়নের বাসিন্দা কৃঞ্চ নাথ জানান, প্রবল বর্ষণে ফতেয়াবাদ সত্যানন্দ মঠ তথা সাধুর পাহাড়ের মন্দিরে ধস দেখা দিয়েছে। এতে মন্দিরটি ধসে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

মির্জাপুর ইউপির সাবেক মেম্বার রুপেন কুমার শীল জানান, কুমারী খালের বেড়ি বাঁধ ভেঙ্গে গিয়ে লোকালয়ে পাহাড়ি ঢল ঢুকে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।

এনায়েতপুর এলাকার কৃষিজীবী অহিদুল আলম জানান, প্রবল বর্ষণে তার ১২ কানি জমির রোপা আমন চারা পানিতে তলিয়ে গেছে। 

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (অ.দা.) নিয়াজ মোর্শেদ জানান, দুর্যোগ মোকাবেলায় আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি আছে। আশ্রয়কেন্দ্রে আসা দুর্গতদের খাওয়া-দাওয়ারও ব্যবস্থা আমরা করবো এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ সামগ্রীও প্রস্তুত করা হয়েছে। আপাতত ২০টি আশ্রয়কেন্দ্র এবং ২০টি মেডিকেল টিমও গঠন করা হয়েছে। 

এব্যাপারে জানতে চাইলে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এ.বি.এম মশিউজ্জামান বলেন, পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিপাতে উপজেলার আটটি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে আর সংশ্লিষ্ট যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে সেগুলো আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের তরফ থেকে মেডিকেল টিম, ত্রাণ রেডি করে রাখা হয়েছে। তবে কোনো কেন্দ্রে এখনো পর্যন্ত কেউ আশ্রয় নেননি বলেও জানান তিনি।

সময়ের আলো/আরআই


আরও সংবাদ   বিষয়:  ভারী বর্ষণ-পাহাড়ি ঢল   জনদুর্ভোগে চরম   হাটহাজারী-চট্টগ্রাম  




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close