ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

ফেনীতে ভয়াবহ বন্যায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি
প্রাণহানি ১, উদ্ধার অভিযানে সেনাবাহিনী
প্রকাশ: বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০২৪, ১১:০২ পিএম আপডেট: ২১.০৮.২০২৪ ১১:০৬ পিএম  (ভিজিট : ৪৬৭)
ভারতীয় উজানের পানি ও টানা বর্ষণে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে ফেনীর ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়ার শতাধিক গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ। ৮৬ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার উপর দিয়ে বইছে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর পানি। ফলে তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট ও বসতবাড়ি। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বন্যাদুর্গতরা। এতে একজন প্রাণ হারিয়েছেন ও  একজন নিখোঁজ রয়েছে। ২ হাজার ৭৬০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রান সামগ্রী বিতরণ করা হয়। 

জানা গেছে, ফুলগাজী উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৫৩টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে করে ৪ হাজার ৮০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। সেনাবাহিনীসহ উদ্ধার কাজে নিয়োজিতরা এখন পর্যন্ত ৩০০ জনকে নিরাপদ জায়গায় পৌঁছে দেন।

এদিকে সোমবার রাত ১০টার দিকে ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ শ্রীপুর পশ্চিমমাথা এলাকায় চার বন্ধুর সাথে বেড়িবাঁধের ভাঙনকবলিত স্থানে মাছ ধরতে যান মিজানুর রহমানের ছেলে মো. রাজু। একপর্যায়ে প্রবল স্রোতে ভেসে যান তিনি। স্থানীয়রা রাজুকে উদ্ধার করে ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অন্যদিকে পরশুরাম উপজেলা ও  পৌরশহরসহ ৪৩টি গ্রাম প্লাবিত হয়। এতে প্রায় ১৪ হাজার ৭০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৪৬০ জনকে উদ্ধার করা হয়।

এছাড়া ফেনী সদর উপজেলার ছনুয়া ও ছাগলনাইয়ার পাঠান নগর, রাধানগর, শুভপুর ইউনিয়নেরও বেশ কয়েকটি গ্রামে বন্যায় হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কিন্তু সেখানে উদ্ধার কাজে তেমন অগ্রগতি জানা যায়নি।

বন্যাদুর্গত এসব এলাকায় তলিয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট, পুকুর ও ফসলি জমি। এরমধ্যে কিছু কিছু এলাকায় মানুষের ঘরের ছাদ ও টিনের চাল পর্যন্ত ছুয়েছে বন্যার পানি। আশ্রয়ের খোঁজে স্থানীয়রা। বন্যাদুর্গতদের জন্য ত্রাণ সহায়তা নিয়ে মাঠে নেমেছে স্থানীয় প্রশাসন ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা হাবিব শাপলা বলেন, মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে ফায়ার সার্ভিসের সদস্য এবং স্বেচ্ছাসেবক ছাত্রদের সহায়তায় দু’টি ডিঙি নৌকা দিয়ে লোকজনকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এখন সেনাবাহিনীর সদস্যরাও উদ্ধার কাজে নেমে পড়ে।

এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। আরও পাঁচ শত প্যাকেট শুকনো খাবার ও ৫০ টন চাল মজুদ রয়েছে।

ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া ভূঁইয়া বলেন, উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের প্রায় অধিকাংশ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানির উচ্চতা বাড়ছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সেনাবাহিনী এবং কোস্টগার্ডের সহায়তায় উদ্ধার কাজ চলছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। 

ফেনী জেলা প্রশাসক মুসাম্মত শাহীনা আক্তার বলেন, ত্রাণ সহায়তা ও উদ্ধার অভিযানে প্রশাসন তৎপর রয়েছে।

ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল কাশেম জানান, মুহুরী নদীর পানি বিপদ সীমার ৮৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ভেড়িবাধের ভাঙন সংস্কার করা হবে।

সময়ের আলো/জিকে




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close