ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সকল প্রকার দলীয় ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি বন্ধ ও অতি দ্রুত ডাকসু নির্বাচন দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী।
সোমবার (১৯ আগষ্ট) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত এক সমাবেশে এ দাবি করেন তারা।
এসময় শিক্ষার্থীরা ‘দখলদারিত্বের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’, লেজুড়বৃত্তির ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’, ‘রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘গেস্টরুমের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’সহ নানা স্লোগান দেন।
‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’র সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলাম বলেন, এই ক্যাম্পাসে আর কোনো ধরনের লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি চাই না। শিক্ষার্থীরা চায় স্বাধীনতা। কেউ দলীয় ছাত্ররাজনীতি চালু করতে আসলে তারা গণশত্রুতে পরিণত হবে এবং শিক্ষার্থীরা তাদের ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আশরেফা বলেন, ছাত্ররাজনীতি ও দখলদারিত্বেরা ছাত্ররাজনীতির মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ পর্যায়ে ছাত্ররাজনীতি হওয়া উচিত ছাত্র সংসদভিত্তিক। কিন্তু এই ক্যাম্পাসে ছাত্র সংসদভিত্তিক ছাত্ররাজনীতি চলে না, এখানে চলে দখলদারিত্বের রাজনীতি।
তিনি বলেন, ছাত্ররাজনীতি করতে হলে ডাকসুভিত্তিক রাজনীতি করেন। ডাকসুতে যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারলে কোনো দলের প্রয়োজন হয় না। শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করতে চাইলে ডাকসুর চেয়ে ভালো প্ল্যাটফর্ম নেই।
২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের আরেক শিক্ষার্থী নাফিউর রহমান রাকিব বলেন, কেউ যদি দলীয় ছাত্ররাজনীতি ও এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায়, তাহলে তাদেরকে প্রতিহত করা হবে। যেভাবে প্রতিহত করা হয়েছে হাসিনার ১৬ বছরের দুঃশাসন, যেভাবে ভেঙেছি আয়নাঘর। আমাদের দুটো দাবি হলো- ক্যাম্পাসে ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে এবং অতিসত্বর ডাকসু নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।
সময়ের আলো/এম