ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

রিমান্ডের নামে নেওয়া ঘুষের টাকা ফেরত চাইলেন শিক্ষার্থীরা
প্রকাশ: রবিবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৪, ১১:৩৪ পিএম  (ভিজিট : ২২০)
সাতক্ষীরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলায় রিমান্ডের নামে পুলিশের নেওয়া ঘুষ ফেরত চেয়েছেন ছাত্র নেতারা। একই সাথে মোবাইলসহ অন্যান্য ব্যবহার্য জিনিসও ফেরত চেয়েছেন তারা। অন্যথায় অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে করা মামলায় আইনি সহায়তা দেওয়া আইনজীবীরা।

রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুরে সাতক্ষীরা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন আইনজীবী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।

ব্রিফিংয়ে আইনজীবী অ্যাড. শহীদ হাসান জানান, তারা ঝুঁকি নিয়ে ছাত্রদের মামলায় বিনামূল্যে আইনি সহায়তা দিয়েছেন। বিবেক আর মানবতার কল্যাণে তারা এ কাজ করেছেন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ছাত্রদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলায় রিমান্ডের নামে প্রচুর অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন সদর থানার ওসি মোহিদুল ইসলাম, তদন্তকারী কর্মকর্তা মোল্যা মো. সেলিমসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা। অনতিবিলম্বে টাকা ফেরত না দিলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সাতক্ষীরার অন্যতম সমম্বয়ক ইমরান হোসেন জানান, তাদের বিরুদ্ধে হওয়া ২টি মামলা এখনো চলমান আছে। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী অনতিবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জানা যায়, রিমান্ডে থাকা অবস্থায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ইমরান হোসেনের কাছ থেকে এক হাজার, শাহারুজ্জামানের কাছ থেকে ৬ হাজার, কাজী সাকিবের কাছ থেকে ৫ হাজার, ইব্রাহিম হোসেনের কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা ঘুষ নেন পুলিশ পরিদর্শক মোল্যা মো. সেলিম। এছাড়া মঈনুল ইসলামের কাছ থেকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর তারেক বিন আব্দুল আজিজ নেন ১৪ হাজার টাকা। এসএম রোকনুজ্জামানের কাছ থেকে সদর থানার ওসি মহিদুল ইসলাম ঘুষ নেন ৩৫ হাজার টাকা।

এভাবেই পুলিশ কর্মকর্তারা রিমান্ডে থাকা শিক্ষার্থীদের নির্যাতন থেকে রেহাই দেওয়ার অজুহাতে তাদের অভিভাবকদের কাছ থেকে ২ লক্ষাধিক টাকা ঘুষ নেন। এছাড়া পুলিশ শিক্ষার্থীদের ব্যবহৃত কমপক্ষে ১০টি অ্যান্ড্রয়েড ফোন কেড়ে নেন। যা এখনো তাদেরকে ফেরত দেয়া হয়নি।

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আন্দোলনকে দমন করতে সদর থানায় দুটি মামলা করে পুলিশ। একটি মামলায় ১৮ জনকে ও আরেকটি মামলায় ১৩ জনকে আসামি করা হয় । প্রথম মামলায় ১৩ জনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স) মোল্যা মো. সেলিম।

এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মতিউর রহমান সিদ্দিকী বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সময়ের আলো/আরআই





আরও সংবাদ   বিষয়:  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন-মামলা   রিমান্ডের নামে ঘুষ   সাতক্ষীরা  




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close