ই-পেপার রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪
রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪

পাবনায় গুলিতে শিক্ষার্থী নিহত
এমপি প্রিন্সের নির্দেশেই গুলি করে সাঈদ চেয়ারম্যান, সোহেলের স্বীকারোক্তি
প্রকাশ: রবিবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৪, ৪:৫৮ পিএম  (ভিজিট : ৩৭০)

 পাবনায় ছাত্র-জনতার গণ অবস্থান কর্মসূচিতে গুলি করছেন সাবেক গোলাম ফারুক প্রিন্স। ছবি: সংগৃহীত

পাবনায় ছাত্র-জনতার গণ অবস্থান কর্মসূচিতে গুলি করছেন সাবেক গোলাম ফারুক প্রিন্স। ছবি: সংগৃহীত

পাবনা সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্সের নির্দেশেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ছাত্র-জনতার গণ অবস্থান কর্মসূচিতে গুলিবর্ষণ করেছিলেন পাবনার ভাঁড়ারা ইউনিয়নের আলোচিত সাবেক চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খান ও তার সহযোগীরা।

রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুরে গণমাধ্যমের কাছে এ তথ্য জানান গুলিবর্ষণকারী আবু সাঈদ খানকে গুলি এগিয়ে দেওয়া সহযোগী সোহেল খান। এর আগে এদিন ভোরে পাবনার সদরের নলদাহ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে র‍্যাব।

গ্রেফতার সোহেল খান গণমাধ্যমকে জানান, তারা ওইদিন (৪ আগস্ট) পাবনা শহরের গোডাউন মোড়ে অবস্থান করছিলেন কিন্তু এমপি প্রিন্স তখন ফোন করে সাঈদ চেয়ারম্যানকে। এই ফোন পাওয়ার পরই সাঈদ চেয়ারম্যান সবাইকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে শহরের দিকে আসে এবং গাড়ি থেকে নেমে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি করেন। পরে শিক্ষার্থীরা এগিয়ে আসলে তারা শালগাড়িয়া মহল্লা হয়ে পালিয়ে যান।
 পাবনায় গুলিতে শিক্ষার্থী নিহত হত্যা মামলার অন্যতম আসামি সোহেল খান র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার। ছবি: প্রতিনিধি

পাবনায় গুলিতে শিক্ষার্থী নিহত হত্যা মামলার অন্যতম আসামি সোহেল খান র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার। ছবি: প্রতিনিধি


এর আগে রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুরে র‍্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানি কমান্ডার মেজর এহতেশামুল হক খান জানান, জিজ্ঞাসাবাদে সোহেল খান হত্যাকাণ্ডের অংশ নেয়ার কথা স্বীকার করেছেন। এছাড়াও জিজ্ঞাসাবাদে সে ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্যান্য সন্ত্রাসীদের সম্পর্কেও চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রদান করেছে, তাদের ধরতে অভিযান চলছে।

উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে পাবনা শহরের ট্রাফিক মোড় বর্তমানে শহীদ চত্বরে ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ গণ অবস্থান কর্মসূচি করছিলেন। দুপুরের দিকে হঠাৎ করে পাবনার ভাঁড়ারা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ খান ও তার সহযোগীরা এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজন শিক্ষার্থী নিহত হোন। এরপর দ্বিতীয় দফায় সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্সসহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গুলিবর্ষণে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হোন। এ ঘটনায় ১০৩ জনের নাম উল্লেখ্য করে পাবনা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে মামলার পর থেকেই সকল নেতাকর্মী আত্মগোপনে রয়েছেন। 

সময়ের আলো/আরআই


আরও সংবাদ   বিষয়:  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন   ছাত্র-জনতার ওপর গুলি-নিহত   পাবনা  




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close