ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

ট্রলার-স্পিডবোটে ভাড়া কমলেও থামেনি চাঁদাবাজি
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৪, ২:৪২ এএম  (ভিজিট : ২৫৬)
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগের পর রাষ্ট্রের বিভিন্ন স্তরে পরিবর্তন এবং সংস্কার কার্যক্রম শুরু হয়। তারই ধারাবাহিকতায় দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় পরিবর্তনের হাওয়া লাগতে শুরু করলেও এখন পর্যন্ত বন্ধ হয়নি হাতিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম রুট নলচিরা-চেয়ারম্যান ঘাটে ট্রলার এবং স্পিডবোটের ভাড়া থেকে চাঁদা বাণিজ্য। সেই সঙ্গে রয়েছে যাত্রীদের দুর্ভোগ। 

জানা যায়, হাতিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম প্রধান রুট নলচিরা-চেয়ারম্যান ঘাটে যাত্রীদের যাতায়াতের বাহন স্পিডবোট, ট্রলার ও সি-ট্রাক। জনপ্রতি পূর্বে ভাড়া ছিল স্পিডবোটে ৫০০, ট্রলারে ২৫০ ও সি-ট্রাকে ১৪৫ টাকা। সরকার পতনের পর ছাত্ররা ভাড়া কমিয়ে স্পিডবোটে ২৫০ ও ট্রলারে ১৫০ টাকা নির্ধারণ করে দেন। সরকারি সি-ট্রাকের ভাড়া বিআইডব্লিউটিসির নির্ধারিত হওয়ায় তা অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে করে সাধারণ যাত্রীরা খুশি হলেও ঘাটে এখনও বন্ধ হয়নি চাঁদাবাজি। সুকৌশলে আদায় করা হচ্ছে চাঁদা। 

এ বিষয়ে জানার জন্য মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শুভাশীষ চাকমা বলেন, সরকারি সি-ট্রাক দৈনিক দুই বার দুই দিক থেকে সার্ভিস দেওয়ার বিষয়ে আমরা ডিসির সঙ্গে আলাপ করে ব্যবস্থা করেছি। স্পিডবোট এবং ট্রলার সার্ভিসের ভাড়া নির্ধারণের বিষয়ে নৌবাহিনী ও ছাত্ররা মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখানে কোনো পক্ষ যদি চাঁদা আদায় করে এবং তার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আসে আমরা ব্যবস্থা নেব।

চাঁদা আদায়ের বিষয়ে ঘাটের দায়িত্ব পালন করা মনু মাঝি এবং রুবেল মাঝি বলেন, ঘাট থেকে কাউকে চাঁদা দেওয়া হয় না। ছাত্ররা যে ভাড়া নির্ধারণ করে দিয়েছে আমরা তাই নিচ্ছি। সি-ট্রাক আগে একবার চলত, এখন দুইবার চলে। এ কারণে আগের মতো বোটে যাত্রী হয় না। ঘাটে ইজারাদারের কোনো লোকজন নেই। আমাদের ১৯ জন লোক কাজ করে। তাদের বেতন বাবদ বোটের ভাড়া থেকে ৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। তারপরও আমাদের খরচ পোষায় না। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, ছাত্ররা দেশ স্বাধীন করেছেন। কিন্তু হাতিয়া খেয়াঘাট এখনও স্বাধীন হয়নি। এক গ্রুপের চাঁদা বন্ধ হলেও আরও অনেক গ্রুপ সক্রিয় হয়েছে। ট্রলারের ভাড়া কমিয়ে ১৫০ টাকা করা হলেও সেখান থেকে ৫০ টাকা চাঁদা নেওয়া হচ্ছে। স্পিডবোট ভাড়া ২৫০ টাকা করা হলেও নেওয়া হচ্ছে ৩০০ টাকা। কারণ সেখান থেকেও ৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছে চাঁদা হিসেবে। এ ছাড়াও মাছের ঝুড়ি থেকে টাকা আদায় ও কয়েকজন স্থানীয় নেতাকে চাঁদার ভাগ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

সময়ের আলো/জিকে




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close