ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

চুয়েট সংস্কারে ৩ দাবি সাধারণ শিক্ষার্থীদের
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৪, ৯:২৬ পিএম আপডেট: ১৩.০৮.২০২৪ ৯:৩০ পিএম  (ভিজিট : ২১৭)
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) সংস্কারের উদ্দেশ্যে ৩ দফা দাবি উত্থাপন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টির সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সকাল ১১ ঘটিকায় চুয়েটের ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. সাইফুল ইসলামের কাছে এই তিন দফা দাবি পেশ করা হয়।

উত্থাপিত দাবির প্রথম দফায় চুয়েটের বর্তমান উপাচার্য, উপ- উপাচার্য, রেজিস্ট্রার এবং ছাত্রকল্যাণ পরিচালককে আগামী ১৪ আগস্টের মধ্যে পদত্যাগ করতে বলা হয়। তাছাড়া কম্পিউটার বিজ্ঞান ও কৌশল বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ শামসুল আরেফিনকে তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডিন এর দায়িত্ব ও সকল প্রকার একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করতে হবে বলেও দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

পাশাপাশি ‘বঙ্গবন্ধু পরিষদ’ এবং রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা আছে এমন কোনো শিক্ষক ব্যবস্থাপনামূলক পদে থাকতে পারবেন না বলেও দাবি জানানো হয়।

দ্বিতীয় দফায় চুয়েট শিক্ষার্থী সাগরময় আচার্য, বিজয় হোসেন, আজহারুল মোহাম্মদ মুন্না, তৌফিকুর রহমান, ইমাম হোসেন নীরব সরাসরি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের প্রতি হামলা, হত্যা চেষ্টা এবং হুমকি ধামকিতে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের ছাত্রত্ব বাতিলসহ আইনের আওতায় আনার নিমিত্তে শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়।

শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত শেষ দফায় তারা চুয়েটের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের সংশ্লিষ্টদের খাম খেয়ালিপনা, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের কথা বিবেচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেন ও সংশ্লিষ্টদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান।

শিক্ষার্থীদের এই দাবিগুলো অতিসত্বর বাস্তবায়িত না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার কথা জানান তারা। চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান মোহাব্বত এ ব্যাপারে বলেন, ১৯ জুলাই রাতে শিক্ষার্থীদেরকে ক্যাম্পাস থেকে জোরপূর্বক বের করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়ার প্রতিবাদে আমরা সংশ্লিষ্টদের পদত্যাগ চাচ্ছি। সেক্ষেত্রে ২ দিনের সময়সীমা বেধে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া আমাদের অন্যান্য যুক্তিসঙ্গত দাবিগুলাও বিনা বিলম্বে মেনে নেওয়ার আহবান জানাচ্ছি। অন্যথায় শিক্ষার্থীরা আরও কড়া কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে। আমাদের এই দাবিগুলো পূরণ হলে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর আমরা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো সমাধানের পদক্ষেপ গ্রহণ করব।

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্টের পর থেকেই দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা ব্যক্তিদের পদত্যাগ করতে দেখা যায়। মূলত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অসহযোগিতা ও শিক্ষার্থীদের পক্ষে অবস্থান না নেওয়ার কারণেই শিক্ষার্থীদের চাপে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন সংশ্লিষ্টরা।

সময়ের আলো/আরআই


আরও সংবাদ   বিষয়:  চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়   সংস্কারে দাবি   




এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close