প্রকাশ: সোমবার, ১২ আগস্ট, ২০২৪, ১১:০৯ পিএম (ভিজিট : ২০২)
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে এক সন্তানের জনকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পারিবারিক কলহের জেরে তার স্ত্রী স্বামীকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে বলে পরিবারের অভিযোগ। ঘটনার পর পালিয়ে যাওয়া স্ত্রীকে খুলনা থেকে আটক করা হয়।
সোমবার (১২ আগস্ট) সকালে শ্যামনগর উপজেলার আবাদচন্ডিপুর গ্রাম থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।
নিহত আবু হাসান মালি (৩০) ওই গ্রামের আব্দুল হামিদ মালির ছেলে। তিনি ঢাকায় রিকশা চালাতেন।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল (রোববার) রাতের খাবার খেয়ে পাঁচ বছরের একমাত্র সন্তানকে নিয়ে নিজেদের ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে আবু হাসান ও খাদিজা বেগম। সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ছেলে-বউ-নাতির সাড়া না পেয়ে আব্দুল হামিদ তাদের ডাকতে যায়। এ সময় বাইরে থেকে ঘর তালাবদ্ধ দেখে তিনি জানালা খুলে ভেতরে আবু হাসানের গলাকাটা মরদেহ দেখতে পান।
নিহতের বাবা আব্দুল হামিদ জানান, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ার জেরে পুত্রবধূ তার ছেলেকে গলাকেটে হত্যা করেছে। তার ছেলে ঢাকায় রিকশা চালাতেন। খাদিজা বেগমের দুই ভাই একদিন আগে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসে। আবু হাসানকে তারা পরিকল্পনা করে হত্যা করেছে।
পরিবারের বরাত দিয়ে বুড়িগোয়ালিনী ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জানান, পারিবারিক কলহের জেরে রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রী খাদিজা খাতুন তার স্বামী আবু হাসানকে জবাই করে হত্যা করে। এরপর ভোরে ঘাতক খাদিজা স্থানীয় মুন্সিগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড হতে বিআরটিসি বাসে খুলনা যাওয়ার সময় তার কথাবার্তা ও আচরণ অস্বাভাবিক মনে হয়। একপর্যায়ে বাসের সুপারভাইজার খুলনায় পৌঁছানোর পর সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমাজের কাছে তাকে হস্তান্তর করে। ছাত্র সমাজের কাছে খাদিজা তার স্বামী হত্যার কথা স্বীকার করে। এরপর তারা তাকে খুলনা হরিনটানা থানায় সোপর্দ করে।
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জীব দাস বলেন, শ্যামনগর থানার কার্যক্রম চালু না থাকায় একজন উপ-পরিদর্শকের সহায়তায় ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সময়ের আলো/আরআই