প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৮ আগস্ট, ২০২৪, ১১:২৪ পিএম (ভিজিট : ৫৮০)
সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্ত দিয়ে ভারত যাওয়ার সময় বরিশাল ও খুলনা আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে আটক করেছে বিজিবি। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) তাদেরকে আটক করে বিজিবি।
আটকরা হলেন- বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সেরেনিয়াবাদ সাদিক আব্দুল্লাহর কথিত ক্যাশিয়ার নিরব হোসেন ওরফে (খোড়া টুটুল) (৫৫) এবং খুলনার মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের কথিত ক্যাশিয়ার আমজাদ হোসেন (৫৭)।
নীরব হোসেন বরিশাল নগরের নাজির মহল্লায় হারুন অর রশিদের ছেলে। তিনি বরিশাল চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক ও জেলা মৎস্য মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক।
সাতক্ষীরাস্থ বিজিবি ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশরাফুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তাদের কাছে গোপন সংবাদ ছিল, ভোমরা ইমিগ্রেশন দিয়ে রাজনৈতিকভাবে প্রভাব বিস্তার করে সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে এমন মানুষ ভারতে পালিয়ে যেতে পারেন। এর ভিত্তিতে সীমান্তের তল্লাশি চৌকিতে বিশেষ নজর রাখা হয়।
তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার সকালে নীরব হোসেন ইমিগ্রেশন পার হয়ে ভারতে যাচ্ছিলেন। সেখান থেকে তাকে আটক করা হয়। এছাড়া দুপুরে খুলনার মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা তালুকদার খালেকের কালেক্টর হিসেবে প্রাপ্ত তথ্যে আমজাদ হোসেনকেও আটক করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ জুয়েল আহমেদ জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা এ পথে যেন ভারতে পালিয়ে যেতে না পারেন সে ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে দলের সবাইকে তো আর চেনা সম্ভব নয়। আগে থেকে তথ্য না পেলে সবাইকে আটকানো যায় না।
জানা যায়, ২০১৮ সালে সাদিক আবদুল্লাহ মেয়র নির্বাচিত হলে তার সঙ্গেও সম্পর্ক তৈরি করেন নীরব হোসেন। বরিশাল মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, বিভিন্ন ঘাট ও কাঁচা বাজার নিয়ন্ত্রণ করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বছর তিনেক আগে তার কয়েকজন সহযোগীকে পুলিশ আটক করে। তখন নীরব হোসেনের নেতৃত্বে বিমানবন্দর ও কাউনিয়া থানায় হামলা চালিয়ে তাদের ছড়িয়ে নেওয়া হয়।
সময়ের আলো/আরআই