ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

শেখ হাসিনার পতন
সিলেটে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা, এখনও মেলেনি ক্ষতির হিসাব
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৮ আগস্ট, ২০২৪, ৪:২৯ এএম  (ভিজিট : ২৭৮)
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে সিলেটে সরকারি-বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, পুলিশ সুপার কার্যালয়, থানা ও ফাঁড়ি এবং আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা চলছে। এ সময় অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটে। এসব ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির হিসাব পাওয়া না গেলেও সিলেট সিটি করপোরেশনের ক্ষতির পরিমাণ ১২ কোটি টাকার কথা জানা গেছে। তবে এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দুর্বৃত্ত হিসেবে দেখছেন বিএনপির নেতৃবৃন্দ। তারা বলছেন, সরকারি স্থাপনাসহ সিলেটের নিরাপত্তার জন্য দলীয় নেতাকর্মীরা কাজ করে যাচ্ছেন।

ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালিয়ে যান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তার সরকারের পতনের পর সারা দেশের মতো সিলেটেও উল্লাসে মেতে ওঠেন ছাত্র-জনতা। ওইদিন সন্ধ্যা থেকেই সিলেটে হামলা শুরু হয়। উল্লাসের মধ্যে বিভিন্ন দল উপদলে বিভক্ত হয়ে সিলেট সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ কার্যালয়, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, কোতোয়ালি থানা, লামাবাজার পুলিশ ফাঁড়ি, তামাবিল কাস্টমসসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় গাড়ি, মোটরসাইকেল ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটে। সিলেটের বিভিন্ন সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে হামলা, ভাঙচুরে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রায় ১২ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিটি করপোরেশনের কয়েকজন কাউন্সিলরের বাসভবনসহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের বাসভবনে হামলার ঘটনা ঘটে।

সিলেট জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কামরুল হাসান শাহীন বলেন, আমাদের দলীয় নেতাকর্মীরা এসব করেনি। সুবিধাবাদী, টোকাই ও আওয়ামী লীগের দোসররা এমনটি করেছে। আমরা থানা, ফাঁড়ির নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করছি। রাষ্ট্রীয় সম্পর্ক রক্ষা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, যারা ভাঙচুর করেছে তারা আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতা নয়, তারা অনুপ্রবেশকারী, দুষ্কৃতকারী। সবাই মিলে তাদের প্রতিহত করতে হবে। বিএনপির নেতাকর্মীরা সরকারি স্থাপনা রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছেন। দলীয় কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদির বলেন, প্রশাসনিক শূন্যতার কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। যারা যেখানে দায়িত্ব পালন করার কথা, তারা সেখানে না থাকায় অপরাধীরা সুযোগ নিচ্ছে। পুলিশকে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, প্রয়োজনে জনবল দিয়ে বিএনপি আপনাদের সহযোগী হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রশাসনিক চেইন অব কমান্ড ফিরবে-এমন প্রত্যাশা তার।


সময়ের আলো/আরএস/




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close