চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত কালাউক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর প্রাক্তন শিক্ষার্থী মামুন মিয়া(২০)। সে হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামের মৃত সালেক মিয়ার ছেলে।
মঙ্গলবার (৬ জুলাই) উপজেলার তেঘরিয়া শাহী ঈদগাহ মাঠে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে হাজারো মানুষের ঢল নামে, জানাজায় অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন স্কুল কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থী , গণ্যমান্যব্যক্তিবর্গসহ নানান শ্রেণী পেশার মানুষ।
জানাজায় ইমামতি করেন মরহুমার ছোট ভাই আমীর হামজা। পরে মরহুমের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন লাখাই উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ। পরে মরহুমের মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এর আগে সোমবার রাতে নিহত মামুনের মরদেহ তার গ্রামে এসে পৌঁছালে এলাকার হাজারও মানুষ তার লাশ দেখার জন্য বাড়িতে ভিড় জমান। এ সময় সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণ হয়। স্বজনদের কান্নায় ভারী হয়ে যায় এলাকার পরিবেশ।
নিহত মামুনের ভাই মোঃ রানু মিয়া এ প্রতিবেদকে দেয়া এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, মামুন কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের ক্যান্টিনে চাকুরী করতেন, তার সুবাদে সে ঔ এলাকায় বসবাস করত তার এক বন্ধুর সাথে। গত সোমবার ঐ এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হলে তার বন্ধুদের সে বলে, চল আমরা আন্দোলনে যাই? আমিও ত ছাত্র! পরে তারা নিষেধ করলেও সে এ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে, একপর্যায়ে এ আন্দোলনে অংশগ্রহণকালীন সময় প্রচন্ড রোদের তাপের কারণে সে মাথা ঘুরে মাটিতে পড়ে যায়, পরে কয়েকজন আন্দোলনকারী তাকে পার্শ্ববর্তী কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়, হৃদরোগ এ আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত ডাক্তার। তার ভাই আরও বলেন, আমার ভাইয়ের দুই পায়ের হাঁটুতে জখমের দাগ রয়েছে, আমাদের ধারণা তার উপরে মানুষের পাড়া পরেছে। নিহত মামুনের নামে যে কোনো রাস্তা/ব্রিজ/ চত্বরের নামকরণের দাবি করেন জনতা।
সময়ের আলো/এএ/