ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

বাংলাদেশের সহিংসতা নিয়ে ব্লিনকেনকে যুক্তরাষ্ট্রের ২২ সিনেটর ও কংগ্রেসম্যানের চিঠি
প্রকাশ: শনিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৪, ৯:০৪ পিএম  (ভিজিট : ২৭০)
শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি, বিশেষ করে গত দুই সপ্তাহে যে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে, তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্থনী জে ব্লিনকেনকে দেশটির ২২ জন সিনেটর ও কংগ্রেসম্যান চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে তারা বাংলাদেশ ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ চেয়ে বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই সকল সহিংসতার নিন্দা করতে হবে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মতো কর্মসূচি পালনের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, চিঠিতে যে সকল মার্কিন সিনেটর স্বাক্ষর করেন, তারা হলেন, অ্যাডওয়ার্ড জে. মার্কি, ক্রিস ভ্যান হোলান, টাম্মি বাল্ডিন, জেফরি এ মার্কলি, ক্রিস্টোফার এস মারফি, টিম কাইন, রিচার্ড জে ডারবিন। দেশটির যে সকল কনগ্রেসম্যান ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করেন, তারা হলেন, জেমস পি. ম্যাক গভার্ন, উইলিয়াম আর কিয়েটিং, গ্রেস মেঞ্জ, সেথ মল্টান, লরি ট্রাহান, জো উইলসন, জেমস সি. মোলান, ডিনা টিটাস, জিরাল্ড ই কনলি, গাবে আমো, আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্টেজ, ইলহান ওমর, নাইডিয়া ভেলাজকুয়েজ, ডেনিয়েল টি কিলডি ও বারবারা লি।

সিনেটর ও কংগ্রেসম্যানরা চিঠিতে বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে দমনের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দেশটির রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীকে ব্যবহার করেন। যার ফলে প্রচুর সহিংসতা এবং প্রাণহানির মত ঘটনা ঘটে এবং কমপক্ষে ১৭০ জন নিহত ও কয়েক হাজার আহত হয়। শিক্ষার্থীদের এই বিক্ষোভ দমনে বাংলাদেশ সরকার এরই মধ্যে নিষেধ্বাজ্ঞাপ্রাপ্ত র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে ব্যবহার করেছে। দেশটির দাঙ্গা পুলিশ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করেছে। এছাড়া সেনাবাহিনীর মাধ্যমে কঠোর কারফিউ এবং দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ দেয়া হয়। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ দমনে ইন্টারনেট সেবাও বন্ধ রাখা হয়। বিক্ষোভকারিদের অনেককেই আটক করা হয়। আটক হওয়াদের মধ্যে কেউ কেউ মুক্ত হলেও এখনো অনেকেই কারাগারে রয়েছেন। বর্তমানে বাংলাদেশে হয়রানি, নজরদারি কিংবা শারীরিক আক্রমণ চালানোর পাশাপাশি কঠোর ডিজিটাল সেন্সরশিপ অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও গণমাধ্যমকর্মী এবং সরকার বিরোধী সমালোচকরা অনলাইনে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে গুরুতরভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই সকল সহিংসতার নিন্দা করতে হবে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মতো কর্মসূচি পালনের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। সেইসঙ্গে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ দমনে দেশটির যে সকল সরকারি কর্মকর্তারা জড়িত ছিলেন তাদেরও জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে অংশীদার হতে হবে। যারা বাংলাদেশি জনগণের একটি প্রতিনিধিত্বশীল গণতান্ত্রিক সরকারের অধিকারের বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবে।

যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর ও কংগ্রেসম্যানরা চিঠিতে গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করে গত জানুয়ারিতে একটি ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন করেছে। দেশটির বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ওই নির্বাচন বয়কট করেছিল। এর আগে গত ২০২৩ সালের ২৮ শে অক্টোবর বিরোধী দলের বিক্ষোভের পর ঢালাওভাবে গ্রেফতার অব্যাহত রাখে সরকার।

সময়ের আলো/জেডআই




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close