বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেলের বাইরে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ‘মেসার্স কালা ফকির’ নামের মাছ ধরার ফিশিংবোটসহ ২০ মাঝি-মাল্লা নিখোঁজ হয়েছেন। এতে উপজেলার শেখেরখীল ইউনিয়নের টেকপাড়ায় নিখোঁজ জেলে পরিবারের সদস্যরা উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার (২৪ জুলাই) ভোরে বাঁশখালী উপজেলার শেখেরখীল ফাঁড়ির মুখ মৎস্য ঘাট থেকে মেসার্স কালা ফকির নামের মাছ ধরার বোটের মালিক ফজল কাদের, মাঝি মুবিন, জাহাঙ্গীর আলম, মো. নয়ন, আজিজুর রহমান ও গুরা মিয়াসহ ২০ মাঝি-মাল্লা গভীর সাগরে মাছ ধরতে যায়। সাতদিন পার হলেও তাদের কোন খোঁজ মেলেনি এখনো।
শেখেরখীল ফাঁড়ির মুখ ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি আবদু শুক্কুর বলেন, সাগরে যাওয়া বিভিন্ন মাঝি-মাল্লার কাছ থেকে খবর নেওয়া হয়েছে। এখনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি কোস্ট গার্ড আর যৌথ বাহিনীকে অবহিত করা হয়েছে।
বাঁশখালী সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মো. মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ৬৫ দিন সামুদ্রিক মাছ আহরণ সম্পূর্ণ বন্ধ থাকার পর মাছ ধরতে গিয়ে জেলেসহ মাছ ধরার একটি বোট নিখোঁজ রয়েছে শুনেছি।
শেখেরখীল পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা মোরশেদুল ইসলাম ফারুকী বলেন, শেখেরখীল ৩ নম্বর ওয়ার্ডের টেকপাড়ার ২০ জন জেলে ফজল কাদেরের মালীকানাধীন মাছের বোট নিয়ে গভীর সাগরে মাছ ধরতে গিয়েছিল। গত ৭ দিন ধরে জেলেরা নিখোঁজের পর পরিবারের সদস্যরা কান্নাকাটি শুরু করেছে।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন আকতার সময়ের আলোকে বলেন, নিখোঁজ জেলেরা মোবাইল নেটওয়ার্কের বাইরে রয়েছে বলে স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। বিভিন্ন মাধ্যমে নিখোঁজ জেলেদের খবর নেয়ার চেষ্টা চলছে।