ই-পেপার রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪
রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪

নতুন শীতল যুদ্ধের শঙ্কা
প্রকাশ: বুধবার, ৩১ জুলাই, ২০২৪, ৩:২৯ এএম আপডেট: ৩১.০৭.২০২৪ ৮:১৬ এএম  (ভিজিট : ২৫৩)
১৯৮৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন ‘ইন্টারমিডিয়েট রেঞ্জ নিউক্লিয়ার ফোর্সেস ট্রিটি’ নামে একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল। ৫০০-৫০০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে এমন অস্ত্রের উৎপাদন ও মোতায়েন নিয়ন্ত্রণ করতে এ চুক্তি করা হয়। তবে পরস্পরের বিরুদ্ধে ওই চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে ২০১৯ সালে উভয় পক্ষই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্র গত ১০ জুলাই ঘোষণা দেয় যে, ২০২৬ সাল থেকে তারা জার্মানিতে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন শুরু করবে। এসব ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে রয়েছে এসএম-৬, টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং সর্বাধুনিক হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র।

রাশিয়া জানিয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্র বিদেশে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন না করলে তারা আর একই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন করবে না। তবে চলতি মাসের শুরুতে ওয়াশিংটন জার্মানিতে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের ঘোষণা দেয়। যুক্তরাষ্ট্র যদি জার্মানিসহ ইউরোপে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে, তা হলে মস্কোও পাল্টা ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন স্বয়ং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

তিনি বলেন, এ ধরনের পদক্ষেপের ফলে শীতল যুদ্ধের সময়কার মতো ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের সূত্রপাত হতে পারে। ২৮ জুলাই সেন্ট পিটার্সবার্গে রাশিয়ার নৌবাহিনী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত জাঁকজমকপূর্ণ কুচকাওয়াজে এ হুঁশিয়ারি দেন পুতিন। তিনি বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যদি এ পথে এগিয়ে যায়, তা হলে মধ্য ও স্বল্পপাল্লার অস্ত্র মোতায়েন স্থগিত করা সংক্রান্ত চুক্তি থেকে আমরাও সরে আসার কথা ভাবব।’

পুতিন আরও বলেন, ‘এসব ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা হলে পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত ক্ষেপণাস্ত্র মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে আমাদের ভূখণ্ডে পৌঁছে যেতে পারবে। এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়াও পাল্টা পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে।’ তিনি আরও জানান, পশ্চিমাদের আওতায় আনার জন্য রাশিয়াও একই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করবে। পুতিনের মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই উত্তেজনা বাড়াচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ডেনমার্ক ও ফিলিপাইনে টাইফুন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা স্থাপন করেছে।

তিনি বলেন, এ ধরনের পদক্ষেপের ফলে শীতল যুদ্ধের সময়কার মতো ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের সূত্রপাত হতে পারে। 

অবশ্য এর কয়েক দিন আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার রুশ প্রতিপক্ষ ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে মাথা নত না করার অঙ্গীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সবসময় ইউক্রেনের অটল মিত্র থাকবে এবং কিয়েভে চলমান রাশিয়ান আক্রমণের মোকাবিলা করতে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায় করার জন্য কাজ করবে। ১১ জুলাই ওয়াশিংটনে ন্যাটো মিত্রদের সঙ্গে বৈঠকের সময় বাইডেন স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘আমি রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট পুতিনের কাছে কখনো মাথা নত করব না।’ এরপর তিনি সংবাদ সম্মলনে বলেছেন, ‘আমি ইউক্রেন থেকে সরে যাব না। আমি ন্যাটোকে শক্তিশালী রাখব। আমরা আগেও ঠিক এটিই করেছি এবং আমরা এটিই চালিয়ে যাব।’

সংবাদমাধ্যমগুলো থেকে জানা যায় ইউক্রেনকে আরও ২.৩ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কথা উল্লেখ করে তিনি যোগ করেন, ‘যারা ভেবেছিল ন্যাটোর সময় শেষ হয়ে গেছে, তারা পুতিনের ইউক্রেন আক্রমণ করার পর এ বিষয়ে সতর্ক হয়েছে। ইউরোপের প্রাচীনতম এবং গভীরতম ভয়গুলোর মধ্যে একটি আবার প্রাণ ফিরে পেয়েছে। কারণ আবারও একজন খুনি পাগলের আবির্ভাব হয়েছে।’

উল্লেখ্য, ৯ জুলাই থেকে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে তিন দিনের ৭৫তম ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের সম্মেলনের বেশিরভাগ অংশই ইউক্রেনকে কেন্দ্র করে ছিল। দুই বছরের যুদ্ধে রাশিয়া দেশটির যেসব অঞ্চল দখল করেছে, তা পুনরুদ্ধারে সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এবারের ন্যাটো সম্মেলনে ইউক্রেনের কাছে পাঁচটি প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমসহ প্রয়োজনীয় অস্ত্র হস্তান্তরের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দেশটিকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমানও দেওয়া হচ্ছে। ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দীর্ঘদিন ধরেই এই যুদ্ধবিমানগুলো চেয়ে আসছিলেন।

অন্যদিকে পোলিশ ভূখণ্ডে আঘাত হানতে পারে-ইউক্রেনের আকাশে থাকা এমন রুশ ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে ভূপাতিত করার বিষয়টি বিবেচনা করছে পোল্যান্ড। এ নিয়ে কিয়েভের সঙ্গে একটি চুক্তিও করেছে ওয়ারশ সরকার। তবে এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়ার কোনো প্রতিক্রিয়ার মুখে পড়ার কথা ভাবছে দেশটি। পোলিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাডোস্লা সিকোরস্কি বলেছেন, ইউক্রেনের আকাশসীমায় থাকাকালীন পোলিশ ভূখণ্ডের দিকে আসতে থাকা রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে গুলি করার জন্য ওয়ারশ কিয়েভের একটি প্রস্তাব বিবেচনা করছে।ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি গত সপ্তাহে পোল্যান্ড সফরকালে দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তিতে প্রস্তাবটি অন্তর্ভুক্ত ছিল।

পোলিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিকোরস্কি বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন সফরকালে আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানে বলেন, এখন পর্যন্ত বিষয়টি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। চুক্তি হলেও শর্তে বলা হয়েছে, আমরা এই বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খ খতিয়ে দেখব। সিকোরস্কি জানান, সেন্ট পিটার্সবার্গ এলাকা নিক্ষিপ্ত কিছু রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনের পশ্চিমের শহর লভিভের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায়। এটি পোলিশ সীমান্ত থেকে খুব দূরে নয়। এসব ক্ষেপণাস্ত্র বেলারুশ অতিক্রম করে ইউক্রেনের লক্ষ্যবস্তুর দিকে মোড় নেওয়ার আগে প্রায় ৪০ সেকেন্ডের জন্য পোলিশ আকাশসীমায় প্রবেশ করে।

সিকোরস্কি স্বীকার করেন, পোল্যান্ডের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এটি খুবই অল্প সময়, তবে এটি পোল্যান্ডের আকাশসীমা লঙ্ঘন বৈকি। আর এ কারণে আমরা এই যুদ্ধে একটি ফ্রন্টলাইন রাষ্ট্র হয়ে পড়েছি। আর এখানেই আত্মরক্ষার প্রশ্ন এসে যায়। সিকোরস্কি আরও বলেন, যদিও আমরা দ্বিধাগ্রস্ত। কেননা, আমাদের আকাশসীমায় এলেই যদি আমরা সেটি ভূপাতিত করি, তবে বিধ্বস্ত ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ আমাদের জনগণ ও সম্পদের ক্ষতিসাধন করতে পারে। যদিও ইউক্রেন বলছে, পোলিশ ভূখণ্ডে প্রবেশের শঙ্কা রয়েছে এমন রুশ ক্ষেপণাস্ত্র কিয়েভের আকাশসীমায় থাকা অবস্থায়ও ভূপাতিত করার অনুমোদন দেবে তারা।

সিকোরস্কি জানান, একটি রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বেলারুশিয়ান সীমান্ত থেকে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দূরে পোল্যান্ডের সীমান্তের ভেতরে পড়েছিল। এ ছাড়া গত মাসে ইউক্রেন পোল্যান্ড সীমান্তের কাছে একটি রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করার সময় ধ্বংসাবশেষ পড়ে দুই পোলিশ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। 

জেলেনস্কির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের আগে পোলিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভ্লাদিস্ল কোসিনিয়াক কামিস বলেছেন, রাশিয়ার যেকোনো ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করার চেষ্টার আগে ওয়ারশ ন্যাটো মিত্রদের সঙ্গে বিষয়টি পরামর্শ করবে। ওয়াশিংটনে ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনে তিনি বলেন, এটি একক সিদ্ধান্তের বিষয় নয়। জোটগত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কেননা, এমনটি হলে আমরা রাশিয়ার প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হতে পারি।

ইতিমধ্যে ইরান তার অবস্থা পরিষ্কার করেছে। ইরানের সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান দৃঢ়তার সঙ্গে ঘোষণা দিয়েছেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের চাপের কাছে ইরান কখনোই নতি স্বীকার করবে না। ১৩ জুলাই দৈনিক তেহরান টাইমসে প্রকাশিত ‘নতুন বিশ্বের কাছে আমার বার্তা’ শীর্ষক এক বিবৃতিতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের এই বাস্তবতা মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান। পেজেশকিয়ান জোর দিয়ে বলেন, ‘ইরানের প্রতিরক্ষা নীতিতে পারমাণবিক অস্ত্রের কোনো স্থান নেই। আমরা পারমাণবিক অস্ত্রের সন্ধান করছি না।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের উচিত এই বাস্তবতা উপলব্ধি করা যে, কেবল চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে ইরানের কাছ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যাবে না।’ এ সময় তিনি চীন ও রাশিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘কঠিন সময়ে এই দুই বন্ধু রাষ্ট্র সবসময় ইরানের পাশে দাঁড়িয়েছে।’

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে পেজেশকিয়ান বলেন, সক্রিয়ভাবে সংঘাতের অবসানের লক্ষ্যে যেকোনো উদ্যোগকে তেহরান সমর্থন করবে। তিনি আরও বলেন, ইরান প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার এবং ইউরোপের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি করবে। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ইরানের মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পর্যায়ে যোগ্য ভূমিকা রাখার জন্য ইরানি জনগণ আমাকে শক্তিশালী ম্যান্ডেট দিয়েছেন।’

ইউক্রেনে হামলার জেরে জব্দ করা রাশিয়ার সম্পদ থেকে ১৫০ কোটি (১.৫ বিলিয়ন) ইউরো কিয়েভকে দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা ও পুনর্গঠনের জন্য ২৬ জুলাই এই অর্থ স্থানান্তর করা হয়। মস্কো ইইউর এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

ইইউ প্রধান উরসুলা ভন ডার লিয়েন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ইইউ ইউক্রেনের পাশে আছে। আমরা আজ জব্দকৃত রুশ সম্পদের লভ্যাংশ থেকে ১৫০ কোটি ইউরো ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা ও পুনর্গঠনের জন্য হস্তান্তর করেছি। ইউক্রেন ও সমগ্র ইউরোপকে একটি নিরাপদ জায়গা হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে রুশ অর্থের এর চেয়ে ভালো ব্যবহার আর হতে পারে না।’ ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী দেনিস শিমহাল এই অর্থ প্রদানের জন্য ইইউকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘ভন ডার লিয়েন ও ইইউকে তাদের অটল সমর্থন এবং এই গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।’ একই বিষয়ে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘এই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আমরা ইইউর প্রতি

কৃতজ্ঞ। এটি আমাদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে।’ রাশিয়া এই পদক্ষেপকে ‘অবৈধ’ আখ্যা দিয়ে ইইউর তীব্র নিন্দা করেছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ ধরনের অবৈধ সিদ্ধান্ত অবশ্যই বিবেচনামূলক পদক্ষেপ গ্রহণের কারণ হিসেবে বিবেচিত হবে।’

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আক্রমণের জন্য মস্কোর ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার অংশ হিসেবে ইইউ প্রায় ২১৭ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণের রুশ সম্পদ জব্দ করেছিল। এসব জব্দকৃত রুশ সম্পদের প্রায় ৯০ শতাংশই বেলজিয়ামে অবস্থিত আন্তর্জাতিক আমানত সংস্থা ইউরোক্লিয়ারে রাখা হয়েছে। ইইউ সদস্য রাষ্ট্রগুলো গত মে মাসে সিদ্ধান্ত নেয়, রাশিয়ার জব্দ করা সম্পদের মাধ্যমে অর্জিত বিলিয়ন ডলারের লভ্যাংশ ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ এবং যুদ্ধ পরবর্তী পুনর্গঠনে সহায়তার জন্য ব্যবহার করা হবে। সে সময়ই রাশিয়া পুরো বিষয়টিকে অনৈতিক ও অবৈধ আখ্যা দিয়ে এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে ইইউর প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল।

সাংবাদিক

সময়ের আলো/আরএস/





https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close