ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

দুশ্চিন্তায় এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা, মনে স্বস্তি ফেরানো জরুরি
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই, ২০২৪, ৩:১০ এএম  (ভিজিট : ২৪২)
বন্যা ও কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বারবার এইচএসসি পরীক্ষার সময়সূচি পেছানোর ফলে দুশ্চিন্তায় পরীক্ষার্থীরা। তিন দফায় আট দিনের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন শিক্ষার্থী। যে পরীক্ষাগুলো স্থগিত করা হয়েছে সেগুলোর জন্য নতুন করে প্রস্তুতি নিতে হবে। গত এক মাসে মাত্র তিনটি বিষয়ে পরীক্ষা দিয়েছে তারা। ফলে পরবর্তী সময়ে সেশনজটে পড়ার শঙ্কার কথাও জানিয়েছে পরীক্ষার্থীরা। এতে পরীক্ষা শেষে বিশ্ববিদ্যালয় বা মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে হাতে সময় থাকবে না।

অভিভাবকরা বলছেন, পরীক্ষা পেছানোয় আমাদের সন্তানরা পড়ার টেবিলে আর নিয়মিত হতে পারছে না। বারবার পরীক্ষাসূচি পেছানোয় ফলাফলে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করছেন শিক্ষকরা। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড জানিয়েছে, সব শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি ও সমমানের ২৮, ২৯, ৩১ জুলাই ও ১ আগস্টের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এর আগে গত ১৮, ২১, ২৩ ও ২৫ জুলাইয়ের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছিল। স্থগিত হওয়া পরীক্ষার তারিখ পরে জানানো হবে। 

গত ৩০ জুন থেকে সিলেট বোর্ড ছাড়া সারা দেশে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। আর বন্যার কারণে সিলেট বোর্ডের পরীক্ষা ৯ জুলাই শুরু হয়। পূর্বঘোষিত পরীক্ষাসূচি অনুযায়ী, ১১ আগস্ট লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখন জানা যাচ্ছে, স্থগিত হওয়া পরীক্ষাগুলো ১১ আগস্টের পর নেওয়া হবে।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রভাব পড়েছে দেশের শিক্ষা কার্যক্রমের ওপর। অনির্ধারিত বন্ধের প্রভাব পড়েছে প্রাথমিক শিক্ষা থেকে উচ্চশিক্ষা স্তর পর্যন্ত। অন্যদিকে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী জানিয়েছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার মতো পরিবেশ তৈরি হয়নি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, আরও বেশি কিছু দিন বন্ধের মধ্য দিয়েই যেতে হতে পারে। শিক্ষার্থীদের নিয়ে কোনো ঝুঁকি নিতে চাচ্ছেন না তারা। 

পরীক্ষার সময়সূচি বারবার পরিবর্তন হওয়ায় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া বাধাগ্রস্ত হয়। কোনো একটি বিষয় প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে, দেখা গেল ওই পরীক্ষাটি হলো না। এতে করে শিক্ষার্থীদের মাঝে মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়। তারা কিছুটা অমনোযোগী হয়ে পড়ে। পড়ায় একনিষ্ঠতা ধরে রাখতে পারে না। এ কারণে পরীক্ষা প্রস্তুতিতে ব্যাঘাত ঘটে। 

দেখা যায়, পরে ওই বিষয়ে শিক্ষার্থী ভালো করতে পারে না। এতে শিক্ষার্থীদের যেমন ক্ষতি হয়, তেমনি সামগ্রিক শিক্ষায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চশিক্ষায় পদার্পণে প্রাথমিক ধাপ। এ সময় তাদের মন-মানসিকতায় স্থিতিশীলতা দরকার, যাতে তারা পাঠমনস্কতা ধরে  রাখতে পারে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং চলমান আন্দোলনের ফলে দফায় দফায় পরীক্ষা পেছানোর ফলে শিক্ষার্থীদের ওপর যে মনস্তাত্ত্বিক চাপ সৃষ্টি হয়েছে তা দ্রুত উপশম দরকার। আমরা আশা করি, শিক্ষাঙ্গনে দ্রুত স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসবে।

এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা স্বস্তি সহকারে পরীক্ষা হলে যেতে পারবে- এমন নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন। এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

সময়ের আলো/জিকে




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close