ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

ভোমরা স্থলবন্দরে রপ্তানির সঙ্গে বেড়েছে রাজস্ব আদায়
প্রকাশ: রবিবার, ২৮ জুলাই, ২০২৪, ১০:৫৮ পিএম  (ভিজিট : ৩২৮)
সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশনে আমদানি কমলেও বেড়েছে রপ্তানি, সেই সাথে বেড়েছে রাজস্ব আদায়। ভারতের কলকাতা থেকে সব চেয়ে কাছের ভোমরা স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশনে বিগত ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের ৬৩১.৭২ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছিল। সেখানে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে রাজস্ব আদয় হয়েছে ৯০৭.৫৮ কোটি টাকা। ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে ৬ লাখ ৫৪ হাজার ৮৯৩ মেট্রিক টন পণ্য কম আমদানি হয়েছিল। কিন্তু তারপরও রাজস্ব আদায় বেড়েছে ২৭৫.৮৬ কোটি টাকা।

ভোমরা শুল্ক স্টেশন সূত্রে জানা যায়, এই বন্দর দিয়ে ৭৮টি পণ্য আমদানির অনুমতি আছে। ২০২২-২০২৩ গত অর্থ বছরে রপ্তানিকৃত পণ্যবাহী গাড়ির সংখ্যা ছিল ২১ হাজার ৬২৭টি এবং ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে রপ্তানিকৃত পণ্যবাহী গাড়ির সংখ্যা ছিল মোট ২৪ হাজার ৫৮০টি। যা আগের অর্থ বছরের তুলনা গত অর্থ বছরে রপ্তানিকৃত গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি পায় ১৩.৬৫ শতাংশ।  

এছাড়া গত ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে আমদানিকৃত পণ্যবাহী গাড়ি এসেছিল ৮২ হাজার ২২৮টি। ২০২৩ -২০২৪ অর্থ বছরে আমদানিকৃত পণ্যবাহী গাড়ি এসেছে ৬৩ হাজার ৯০২টি। অর্থাৎ আগের অর্থবছরের বছরের তুলনায় গত অর্থ বছরের ১৮ হাজার ৩২৬টি পণ্যবাহী গাড়ির সংখ্যা কম এসেছে। অপরদিকে বিগত অর্থ বছরে আমদানিকৃত পণ্যের পরিমাণ ছিল ৩০ লাখ ৯ হাজার ৯৫৫ মেট্রিক টন এবং গত ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে আমদানিকৃত পণ্যের পরিমাণ ২৩ লাখ ৫৫ হাজার ৬২ মেট্রিক টন। গত ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে আমদানিকৃত পণ্য ৬ লাখ ৫৪ হাজার ৮৯৩ মেট্রিক টন কম এসেছে।

ভোমরা স্থল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৮শত থেকে এক হাজার জন পাসপোর্টধারী যাত্রী বাংলাদেশ থেকে ভারত ও ভারত থেকে বাংলাদেশে আসা যাওয়া করেন। শুরু থেকেই এই বন্দরে আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে কিছু বাঁধা বিপত্তি থাকলেও বর্তমানে বন্দরটির কার্যক্রমে গতিশীলতা এসেছে।

ব্যবসায়ীরা দাবি জানিয়ে বলেন, পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বেনাপোল বন্দরে যে সকল সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয় ভোমরা স্থলবন্দরে সেই সুযোগ-সুবিধা পায়না ব্যবসায়ীরা। ফলে অনেক ব্যবসায়ী এই বন্দর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। পণ্য খালাসে হয়রানি বন্ধসহ প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা পেলে দেশের ব্যবসায়ীরা ভোমরা স্থলবন্দরমুখী হবে। ফলে দেশের রাজস্ব আয় বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই স্থলবন্দরটি।

ভোমরা স্থলবন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি এজাজ আহমেদ স্বপন বলেন, কলকাতা থেকে আমাদের বন্দরটি সব থেকে কাছে হওয়ায় আমদানি-রপ্তানিতে ভোমরা বন্দর খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এজন্য এখানে একটি কাস্টমস হাউজ অত্যন্ত জরুরি। এছাড়া এই বন্দর দিয়ে সব ধরনের পণ্য আমদানির অনুমতি নেই। কাস্টমস হাউজ বাস্তবায়নের পাশাপাশি সব ধরনের পণ্য আমদানির সুযোগ সৃষ্টি হলে যে কোন সময়ের তুলনায় এই বন্দরে রাজস্ব আদায় কয়েক গুণ বেড়ে যাবে।

ভোমরার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (প্রশাসন) মুশফেকুর রহমান জোসেফ বলেন, এ বন্দরে ফলের ট্রাকের ওজন শতভাগ নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া  প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করার কারণে বিগত অর্থ বছরের তুলনায় চলতি অর্থ বছরে ২৭৫.৮৬ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় বেশি হয়েছে। সকলের সহযোগিতায় সরকারের রাজস্ব আদায় গত অর্থ বছরের তুলনায় চলতি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে আরও বেশি হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ভোমরা স্থলবন্দরের সহকারী উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) রুহুল আমিন জানান, ভোমরা বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়নে সরকার ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এ বন্দরে দ্রুত কাস্টম হাউজ চালু করা হবে। এই কার্যক্রমের অংশ হিসাবে সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ভোমরা স্থল বন্দর পরিদর্শন করেছেন। বন্দরের প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশপাশি সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা গেলে এই বন্দর দিয়ে রেকর্ড পরিমাণ রাজস্ব আদায় সম্ভব হবে।

উল্লেখ্য, আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বেনাপোল স্থল বন্দরের পরেই সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের অবস্থান। দিনে গড়ে ২০০ থেকে ২৫০টি ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাকের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি হয় এই স্থলবন্দর দিয়ে। অন্যদিকে প্রতিদিন গড় ৫০ থেকে একশত পণ্যবাহী ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য বাংলাদেশ থেকে ভারতে রপ্তানি হয়ে থাকে।  

সময়ের আলো/আরআই


আরও সংবাদ   বিষয়:  ভোমরা স্থলবন্দর   আমদানি-রপ্তানি   রাজস্ব আদায়  




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close