গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় তিস্তা নদীর ডান তীরের ভাঙ্গন রোধে (নদী শাসন) ব্লক ফেলার সময় ট্রলার থেকে পড়ে নিখোঁজ তিন শ্রমিকের আজও সন্ধান মেলেনি। রোববার (২৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত তাদের কোন সন্ধান না মেলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুব আলম।
এর আগে, শনিবার (২৭ জুলাই) বিকেল পৌনে ৩ টার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের বাবুর বাজার সংলগ্ন তিস্তা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ শ্রমিকরা হলেন- গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নের বাগুরিয়া গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে আতোয়ার হোসেন (৪০), একই গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে রাজু মিয়া (৪৫) ও একই গ্রামের আব্দুর জব্বারের ছেলে আব্দুর রশিদ (৪২)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের তিস্তা নদীর ডান তীরের ভাঙ্গন রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড ব্লক বসানোর একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রতিদিনের মতো শনিবার দুপুরে একটি ট্রলারে করে ৫০০ পিচ ব্লক নিয়ে নদীতে ফেলার জন্য ২৮ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন। এসময় হঠাৎ করে ট্রলারটি ভারসাম্য রক্ষা করতে না পেরে নদীতে ডুবে যায়। পরে ট্রলারের চালকসহ ২৬ জন শ্রমিক সাঁতরে নদীর তীরে উঠে আসলেও তিন জন শ্রমিক উঠতে পারেনি।
তীরে উঠে আসা শ্রমিকদের মধ্যে ৮ জন শ্রমিক আহত হয়। তাদেরকে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতাল ও গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।
সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুব আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ব্লক ফেলার সময় ২৮ জন শ্রমিকসহ একটি ট্রলার ডুবে যায়। এসময় ২৬ জন শ্রমিক তীরে উঠে আসলেও প্রথমত দুই জন ও পরে আরও একজন মোট তিন শ্রমিক নিখোঁজের তথ্য মেলে। তাদেরকে উদ্ধারে স্থানীয়দের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের কর্মী অংশ নেয়। পরে রংপুর থেকে আসা ডুবুরিদল উদ্ধার তৎপরতা চালায়। কিন্তু আজ বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত নিখোঁজ তিন শ্রমিকের কোন সন্ধান মেলেনি।
সুদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, নিখোঁজ তিন শ্রমিকের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা করা হবে।