ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

বন্যা-কারফিউয়ে সিলেটের পর্যটন খাতে ‘হাহাকার’
প্রকাশ: রবিবার, ২৮ জুলাই, ২০২৪, ৭:৩৮ পিএম আপডেট: ২৮.০৭.২০২৪ ৭:৫৩ পিএম  (ভিজিট : ২১৩)
অপরূপ সৌন্দর্যের মায়াবী বিছনাকান্দি। ছবি: সংগৃহীত

অপরূপ সৌন্দর্যের মায়াবী বিছনাকান্দি। ছবি: সংগৃহীত

দফায় দফায় বন্যা, কোটা সংস্কার আন্দোলন ও কারফিউয়ের কারণে ধুঁকছে সিলেটের পর্যটনখাত। দীর্ঘদিন ধরে পর্যটকশূন্য থাকায় সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রগুলো খাঁ খাঁ করছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বন্যা-কারফিউয়ে আইসিইউতে সিলেটের পর্যটন খাত। প্রায় দু’মাস ধরে পর্যটকরা সিলেটমুখী না হওয়ায় এ খাতে হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

গত মে ও জুন মাসে তিনদফা বন্যায় সিলেটে গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর উপজেলায় বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ তিনটি উপজেলায় রয়েছে জাফলং, বিছানাকান্দি, রাতারগুল, পান্থুমাই ঝর্ণা, সাদা-পাথর, উৎমা, জৈন্তা রাজবাড়ী লালাখাল, শ্রীপুর, শাপলাবিলসহ সিলেটের প্রধান পর্যটনকেন্দ্রগুলো। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের তীব্র স্রোতে এবং পর্যটনকেন্দ্রগুলো পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেয় উপজেলা প্রশাসন। ফলে ঈদ পূর্ববর্তী ও পরবর্তী পর্যটন ব্যবসা ছিলো শূন্যের কোটায়।
সিলেটের জাফলং। ছবি: সংগৃহীত

সিলেটের জাফলং। ছবি: সংগৃহীত


বন্যার পানি কমতে শুরু করলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। যখন পর্যটনখাত ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায়, তখনই কোটা সংস্কার আন্দোলনে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সারাদেশ। আতঙ্কিত পর্যটকরা সিলেট ভ্রমণ বাতিল করতে থাকেন। আন্দোলনের জের ধরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার কারফিউ জারি করলে পর্যটকের আগমন একেবারে বন্ধ হয়ে যায়।

দরগাহ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান দুদু বলেন, ‘দফায় দফায় বন্যা আর অস্থিরতার কারণে দু’মাস ধরে শূন্য সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রগুলো। ফলে এ খাতে জড়িত হোটেল-মোটেল, পরিবহনসহ অন্যান্য ব্যবসায়ীর নিঃস্ব হওয়ার পথে। একজন পর্যটক বেড়াতে আসলে তার থাকা, খাওয়া, কেনাকাটা, যাতায়াত করতে হয়। আর পর্যটক না থাকায় এই সকল খাতের ব্যবসা-বাণিজ্য একেবারেই বন্ধ।’

সিলেটের গ্র্যান্ড প্যালেস হোটেল এন্ড রিসোর্টের এসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার ফখরুল ইসলাম শোভন বলেন, ‘পর্যটনখাতের প্রধান ব্যবসাই বেড়াতে আসা পর্যটকদের কেন্দ্র করে। দফায় দফায় বন্যা এবং চলমান পরিস্থিতির কারণে হোটেল মোটেলসহ এ খাত সংশ্লিষ্ট ব্যবসা-বাণিজ্য না থাকায় কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে মালিকপক্ষকে। পর্যটনখাত সংশ্লিষ্ট লক্ষাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী সিলেটে পর্যটকদের সেবা দিয়ে থাকেন। ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও কর্মীদের পাশে থেকে নিয়মিত বেতনভাতা পরিশোধ করে যেতে হচ্ছে। ফলে একটা বাড়তি অর্থনৈতিক চাপ মালিকপক্ষের ওপর পড়ছে। এছাড়া ভ্যাট প্রদানের তাগিদে বিপাকে অনেকেই। সামগ্রিক অবস্থা বিবেচনায় ভ্যাট মওকুফ কিংবা কিছুটা রেয়াত দিয়ে সময় বর্ধিত করলে পুরো পর্যটনখাত উপকৃত হবে।’
সিলেটের রাতারগুল। ছবি: সংগৃহীত

সিলেটের রাতারগুল। ছবি: সংগৃহীত


হোটেল গ্র্যান্ড নূরজাহান-এর স্বত্বাধিকারী ডা. নাসিম আহমদ বলেন, ‘সিলেটের পর্যটনখাত আইসিইউতে আছে। দফায় দফায় পর্যটকশূন্য হয়ে পড়ায় এ খাতে ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ অবস্থা উত্তরণে সরকারের বিশেষ নজর দেওয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, দফায় দফায় বন্যা আর অস্থিতিশীল পরিস্থিতির ধকল কাটিয়ে সিলেটের পর্যটন খাতে সুদিন ফেরার প্রত্যাশা করছি আমরা।’

সময়ের আলো/আরআই


আরও সংবাদ   বিষয়:  কোটা সংস্কার আন্দোলন   বন্যা-কারফিউ   সিলেট-পর্যটন খাত  




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close