গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র নদের ডান তীরের ভাঙ্গন রোধে (নদী শাসন) ব্লক ফেলার কাজ করার সময় ট্রলার থেকে পড়ে দুই শ্রমিক নিখোঁজের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া এসময় আহত হয়েছেন ৮ শ্রমিক।
শনিবার (২৭ জুলাই) পৌনে ৩টার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের বাবুর বাজার সংলগ্ন তিস্তা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ দুই শ্রমিক হলেন- গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নের বাগুরিয়া গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে আতোয়ার হোসেন (৪০) ও একই গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে রাজু মিয়া (৪৫)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের তিস্তা নদীর ডান তীরের ভাঙ্গন রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড ব্লক বসানোর একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রতিদিনের মতো শনিবার দুপুরে একটি ট্রলারে করে ৫০০ পিচ ব্লক নিয়ে নদীতে ফেলার জন্য ২৮ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন। এসময় হঠাৎ করে ট্রলারটি ভারসাম্য রক্ষা করতে না পেরে নদীতে ডুবে যায়। পরে ট্রলারের চালকসহ ২৬ জন শ্রমিক সাঁতরে নদীর তীরে উঠে আসলেও দুইজন শ্রমিক উঠতে পারেনি।
তীরে উঠে আসা শ্রমিকদের মধ্যে ৮ জন শ্রমিক আহত হয়। তাদেরকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয়রা তাৎক্ষণিক নিখোঁজ দুই শ্রমিককে উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। কিন্তু সন্ধ্যা পৌনে সাতটা পর্যন্ত তাদের কোন সন্ধান মেলেনি।
সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুব আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ব্লক ফেলার সময় ২৮ জন শ্রমিকসহ একটি ট্রলার ডুবে যায়। এসময় ২৬ জন শ্রমিক তীরে উঠে আসলেও দুই শ্রমিক নিখোঁজ হয়। তাদেরকে উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কাজ করছে।
এদিকে, এ ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রেভিনিউ) মো. জাহিদ হাসান সিদ্দিকি ও সুদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. তরিকুল ইসলাম।
এসময় ইউএনও মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, নিখোঁজ দুই শ্রমিককে উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কাজ করছেন। এছাড়া রংপুরের ডুবুরি দলকে খবর দেওয়া হয়েছে। ডুবুরি দল আসলে নিখোঁজদের উদ্ধার তৎপরতা চালানো হবে। ট্রলার থেকে পড়ে নিখোঁজ দুই শ্রমিকের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা করা হবে।