প্রকাশ: শুক্রবার, ১২ জুলাই, ২০২৪, ৭:০০ পিএম আপডেট: ১২.০৭.২০২৪ ৭:১৫ পিএম (ভিজিট : ৩২৯)
ময়মনসিংহ সদরের চুরখাই উইনারপাড় এলাকায় লিখন মিয়া (২৭) নামে এক ক্যাবল অপারেটর শ্রমিকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মৃত যুকক একই গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে।
শুক্রবার (১২ জুলাই) দুপুরে সদরের চুরখাই উইনারপাড় থেকে পুলিশ লিখন মিয়ার মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
জানা গেছে, লিখন মিয়া বেশ কিছুদিন ধরে একই গ্রামের এক কিশোরীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। সেই মেয়ের বাড়ির পাশেই লিখনের মরদেহ পরেছিলো।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে নিজের প্যান্টের বেল্ট দিয়ে পেঁচানো অবস্থায় কিশোরীর বসতঘরের জানালার নিচে পাওয়া যায় ওই যুবকের মরদেহ।
স্থানীয়রা জানান, রাতে লিখন আত্মহত্যা করেছে বলে লিখনের স্বজনদের ফোনে জানায় কিশোরীর পরিবার। পরে নিহতের স্বজনরা গিয়ে লিখনের গলায় প্যান্টের বেল্ট পেঁচানো অবস্থায় মরদেহটি দেখতে পায় এবং পুলিশে খবর দেয়। পরে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
কিশোরী ও তার পরিবার জানায়, গত দুই বছর ধরে লিখন মেয়েটিকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। মেয়েটি স্থানীয় একটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এর আগেও তিনবার বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল লিখন। বৃহস্পতিবার রাতেও মেয়েটির বাড়িতে এসে প্রেমের প্রস্তাব দিতে থাকে এবং তার প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় হঠাৎ করে ঘরের জানালার বাহিরের প্রান্তে প্যান্ট থেকে বেল্ট খুলে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে পড়ে। কিছুক্ষণ পর মেয়েটি লিখনের কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে গৃহস্থালি দাঁ দিয়ে বেল্টটি কেটে দেয় এবং নিহতের পরিবারকে মুঠোফোনে বিষয়টি অবহিত করে বলে জানায় মেয়েটির পরিবার।
তবে নিহত লিখনের বড় ভাই নিয়ামত আলীর দাবি, তার ভাই বিবাহিত এবং তার একটি সন্তান রয়েছে। মেয়েটি দীর্ঘদিন ধরে তার ভাইকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। ‘এ ব্যাপারে আমি নিজেও মেয়েকে ফোনে বেশ কয়েকবার বলেছি তুমি আমার ভাইকে ফোন দিও না তার স্ত্রী সন্তান আছে। এরপরে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এই ঘটনা ঘটে’।
কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রেমঘটিত কারণে লিখন আত্মহত্যা করতে পারে তবে বিষয়টি তদন্ত করে জানা যাবে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে মেয়ে ও তার মাকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তবে শুক্রবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন মামলা দায়ের করা হয়নি।
সময়ের আলো/জেডআই