প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই, ২০২৪, ৪:১৮ পিএম (ভিজিট : ২৬০)
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে এক দিনে ১৪টি ভারতীয় ট্রাকে পেঁয়াজ এলো ৪০৭ মেট্রিক টন। তারপরও স্থানীয় বাজারে কমে নায় আমদানিকৃত ও দেশীয় পেঁয়াজের দাম।
বুধবার (১০ জুলাই) ১৪টি ভারতীয় ট্রাকে ৪০৭ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেডের জনংযোগ কর্মকর্তা মো. সোহরাবহোসেন মল্লিক।
বৃহস্পতিবার (১১ জুন) হিলি বাজার ঘুরে দেখা ভারতীয় আমদানিকৃত পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা। আর দেশীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। এতে বিপাকে পড়েছে সাধারণ ক্রেতারা। তবে বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় রসুনের দাম কমেছে কেজিতে ৪০ টাকা। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি রসুন বিক্রি হয়েছে ২৪০ টাকা। আজ সেই রসুন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি। এতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে।
বন্দরের আমদানিকারক নুর ইসলাম বলেন, দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে হিলি বন্দরের আমদানিকারকেরা আগের এলসি’র পেঁয়াজগুলো আমদানি করছেন। কিন্তু ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় প্রতিকেজি পেঁয়াজে অতিরিক্ত ২৫ টাকা বেশি পড়ছে। ভারত সরকার ৪০ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার না করলে এরপর হয়তো আর পেঁয়াজ আমদানি করা সম্ভব হবে না বলে জানান তিনি।
হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা মইনুল হোসেন বলেন, বুধবার হিলিবন্দর দিয়ে যেসব পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। সেসব পেঁয়াজ হিলি বাজারে আসেনি। বন্দর থেকেই বিভিন্ন মোকামে পাঠানো হয়েছে। তাই আমরা আগের দামেই ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৮৫ থেকে ৯০ টাকা বিক্রি করছি। আর দেশি পেঁয়াজ ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।
হিলি পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের জনংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক বলেন, কিছুদিন ধরে হিলি বন্দর দিয়ে ২ থেকে ৪ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছিল। বুধবার (১০ জুলাই) একদিনে ১৪টি ভারতীয় ট্রাকে ৪০৭ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।
সময়ের আলো/জিকে