প্রকাশ: বুধবার, ১০ জুলাই, ২০২৪, ৭:২৬ পিএম (ভিজিট : ৭৫৪)
প্রতারণা করে কৌশল টাকা ইনকামের জন্য সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে হত্যা হুমকির তথ্য প্রদান করে গ্রেফতার সোহাগ মিয়া। সোহাগ একজন অনলাইন জুয়াড়ি, সে বিভিন্ন ডার্ক ওয়েবসাইট ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষের সাথে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করে বলে জানান পুলিশ সুপার (এসপি) আক্তার হোসেন। বুধবার (১০ জুলাই) বিকেলে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য জানানো হয়।
গ্রেফতার সোহাগ মিয়া মৌলভী বাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার মোবারকপুর গ্রামের মো. মন্তাজ মিয়ার ছেলে। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুরে সিলেট মেট্রোপলিটন এলাকা থেকে পুলিশের বিশেষ ইউনিট তাকে গ্রেফতার করে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে এসপি আরও জানান, সোহাগ প্রায় ৬ বছর বিদেশে ছিল। বিদেশ থেকে এসে একটি দালাল চক্র গড়ে তুলে। দালাল চক্রের মাধ্যমে বিদেশে মানুষ পাঠানোর নামে টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করে। যার কারণে তার বিরুদ্ধে আরও দুটি প্রতারণার মামলা রয়েছে। সে দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন ডার্ক ওয়েবসাইট ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষের সাথে প্রতারণার করে আসছে। ভারতীয় একটি গল্প পড়ে বেশি টাকা ইনকামের আশায় সে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের সাথে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে জানায়। গ্রেফতার সোহাগ দুটি বিয়ে করেছে, তার একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। সে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। পরবর্তীতে ২০১১ সালে কাজের অনুসন্ধানে বিদেশ যায় এবং ৬/৭ বছর অবস্থান করে ২০১৮ সালে দেশে আসে। দেশে আসার পর কতিপয় দালালের সাথে যোগাযোগ করে তার এলাকার ১২ জন লোককে পর্তুগাল পাঠাবে বলে প্রতিজনের নিকট হতে ৮/১০ লাখ করে টাকা নিয়ে দালালকে প্রদান করেও তাদের বিদেশ পাঠাতে ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে বিদেশ গমনেচ্ছুদের চাপে সোহাগ মিয়া তাদের টাকা দিতে না পেরে পালিয়ে ভারতে চলে যায় এবং সেখানে এক বছর অবস্থান করে দেশে ফেরত আসে। তারপর সে আর্থিক অভাব-অনটনের দূর করতে হ্যাকার হওয়ার চেষ্টা করে এবং ইন্টারনেট হতে হ্যাকিং এর বিষয়ে ধারণা নিতে গিয়ে ডার্ক ওয়েব এর সাথে পরিচিত হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় সে ইউএসএ এর ভিপিএন অ্যাপস ডাউনলোড করে এবং এর মাধ্যমে ডার্ক ওয়েব সাইট ব্যবহার করে হিটম্যান নেটওয়ার্ক লিংকসহ বিভিন্ন সাইটে প্রবেশ করে।
যে গল্পে শুরু:
হিটম্যান নেটওয়ার্ক সাইটে প্রবেশ করার পর সে ভারতীয় একটি গল্প পড়ে। যাতে একজন প্রভাবশালী ব্যক্তিকে তার জীবনের হুমকি আছে মর্মে তথ্য দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করার বিষয়টি তার নজরে আসে। কিছুদিন যাবত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাধবপুর-চুনারুঘাট এর সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন তার জীবনের উপর হুমকি আছে মর্মে বিভিন্ন ভিডিওতে প্রকাশ করে। যা উক্ত সোহাগ মিয়া দেখতে পেয়ে সে নিজে নিজে একটি পরিকল্পনা করে যে, হিটম্যান নেটওয়ার্ক সাইটে উল্লেখিত গল্পের আঙ্গিকে ব্যারিস্টার সুমন থেকে মোটা অংকের অর্থ আত্মসাৎ করবে।
কিন্তু ব্যারিস্টার সুমন কিংবা তার ব্যক্তিগত সহকারী এর মোবাইল নাম্বার তার কাছে না থাকায় সে স্থানীয় চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ এর সরকারী মোবাইল নাম্বারে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করে এবং সে ব্যারিস্টার সুমনের সাথে কথা বলিয়ে দেয়ার জন্য অফিসার ইনচার্জকে অনুরোধ করে। তারই ধারাবাহিকতায় অফিসার ইনচার্জ এর মাধ্যমে ব্যারিস্টার সুমনের সাথে সে কথা বলে এবং ব্যারিস্টার সুমন সাহেবকে সে জানায় যে, ৪/৫ জনের একটি দল তাকে হত্যা করার জন্য কিলিং মিশনে নেমেছে। তার উদ্দেশ্য ছিল ব্যারিস্টার সুমন নিজে কিংবা তার ব্যক্তিগত সহকারী এর মাধ্যমে কিলিং মিশনের সদস্যদের সম্পর্কে তার কাছে তথ্য চাইবে।
তখন সে তথ্য প্রদানের বাহানা করে ব্যারিস্টার সুমন কাছে মোটা অংকের অর্থ দাবি করবে। কিন্তু ব্যারিস্টার সুমনকে বিষয়টি জানানোর পরদিন তিনি এই বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভে এসে এর প্রতিকার চান ও থানায় জিডি করেন এবং ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলেন মর্মে সে জানতে পারে। তখন সে ভয় পেয়ে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম চলে যায়। যখন সে বুঝতে পারে তাকে কেউ ট্র্যাক করছে তখন সে চট্টগ্রাম থেকে সিলেটে চলে আসে। অতঃপর, গতকাল (মঙ্গলবার) বিকেলে হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ ও সিটিটিসি ঢাকা এর সমন্বয়ে তাকে সিলেট মেট্রোপলিটন এলাকা হতে তাকে আটক করা হয়।
সময়ের আলো/আরআই
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্মেলন জরুরি
দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনেও অস্বস্তিতে রিয়াল
দিয়াবাতেকে ছাড়বে না মোহামেডান
বিসর্জনে অর্জন
মৃত্যুঞ্জয়ী গাজা
হাতিয়ায় জামায়াতে ইসলামীর ব্যবসায়ী সমাবেশ
কালিহাতীতে কোটা আন্দোলনের মামলায় গ্রেফতার ৩
সোলস আমার পরিবারের একটি অংশ: তুষার
ছাত্রদলের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
টস জিতলো ভারত, ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী
শেয়ারবাজারে এক সপ্তাহে হাওয়া ১৩ হাজার কোটি টাকা!