ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত, পানিবন্দি এখনও ২ লাখ মানুষ
প্রকাশ: বুধবার, ১০ জুলাই, ২০২৪, ৬:৪৩ পিএম আপডেট: ১০.০৭.২০২৪ ৬:৪৭ পিএম  (ভিজিট : ২১৩)
কুড়িগ্রামে গত দুদিন ধরে সবকটি নদ-নদীর পানি দ্রুত কমতে শুরু করলেও সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। বুধবার (১০ জুলাই) বিকেল ৩টায় পাউবো নিয়ন্ত্রণ কক্ষ জানায়, ব্রহ্মপুত্রের চিলমারী পয়েন্টে ৩৪ সেন্টিমিটার, হাতিয়া পয়েন্টে ২২ সেন্টিমিটার ও দুধকুমার নদের পাটেশ্বরী পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ধরলা ও তিস্তাসহ অন্য নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে জেলার ৯ উপজেলার ৫৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ৩৭ হাজার ১০০ পরিবারের প্রায় ২ লক্ষাধিক মানুষ এখনও পানিবন্দি জীবন-যাপন করছেন। বন্যায় প্লাবিত হওয়ায় ৩৯৭টি বিদ্যালয়ের শ্রেণি পাঠদান ও মূল্যায়ন পরীক্ষা বন্ধ রাখা হয়েছে।

গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বন্যার পানিতে তলিয়ে আছে ঘরবাড়ি, চৌকি ও মাচান। অনেকের চলাচলের জন্য একমাত্র কলার গাছের ভেলাই ভরসা। বাঁধের রাস্তা ও উঁচু বিদ্যালয়ের দালান ঘরে এবং বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন অনেক বানভাসি মানুষ। অনেকের ঘরের মজুদ খাবার শেষ হয়ে গিয়ে পড়েছেন বিপাকে। অপরদিকে, তিস্তা নদী তীরবর্তী এলাকায় দেখা দিয়েছে ব্যাপক নদী ভাঙন। এ নদীতে পানি অনেক কমে গিয়ে ভাঙন প্রবল আকার ধারণ করেছে।

রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙা ইউনিয়নের তিস্তা পাড়ের বাসিন্দা লোকমান হাকিম জানান, বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। তবে এখন আবার নদীর ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন রোধে সময় মতো পদক্ষেপ নেয়া না হলে দুর্ভোগের সীমা থাকবে না।

উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের সাহেবের আলগার বাসিন্দা সহিরন, কুলসুম বলেন, টানা ৮ দিন থেকে বাড়িতে পানি। এ ঘর থেকে ও ঘর যাওয়া যায় না। উপায় না প্যায়া ছোঁয়া পোওয়া নিয়া উঁচু জায়গার খোঁজে যাচ্ছি। খাওন-দাওনেরও ভীষণ কষ্ট। হামাক গুল্যাক কাইয়ো দেখে না।

এলাকার বানভাসি দুর্গতদের অবস্থা জানতে চাইলে বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাবলু মিয়া জানান, আমার এলাকায় প্রায় ৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তবে সাধ্যমত দুর্গতদের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যেই সরকারের সহায়তা দুর্গতদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এখনও চলমান আছে।
 
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, সরকারি ত্রাণ তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। এ পর্যন্ত ২১ লাখ ৮৫ হাজার নগদ টাকা, ৩৮৭ মেট্রিক টন চাল, ১৮ হাজার ৯৮০ প্যাকেট শুকনো খাবার বন্যার্তদের জন্য বিতরণ করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ২৮৯ মেট্রিক টন চাল ও নগদ সাড়ে ৮ লাখ টাকা মওজুদ রয়েছে।

সময়ের আলো/আরআই


আরও সংবাদ   বিষয়:  বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত   পানিবন্দি মানুষ   কুড়িগ্রাম   




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close